Breaking Bharat: আজকে অনেক চিন্তা করে এই বিষয় উত্থাপন করা। নারী সংসারের ধারক-বাহক, এ কথা সবাই জানে। কিন্তু একথা মানে কজন? যদি সত্যিই মানতো তাহলে এত নারী নির্যাতন ধর্ষণ আর হেনস্থার কথা আলোচনায় আসতো না। আসলে যাদের এই পৃথিবীতে কোনও নিজের বাড়িই নেই তাদেরকে নিয়ে তো এমনটা হবেই, তাই না?
মেয়ে মানেই জন্ম থেকে বিয়ের জন্য বলি প্রদত্ত। এখনো পর্যন্ত কন্যা সন্তান ঘরে এলে কিছু মানুষ অখুশি থাকেন। পৃথিবী আজ কোথায় চলে গেছে, নারী আর পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। কোথাও নারী-পুরুষকে ছাপিয়ে যাচ্ছে , তবু মেয়ে মানেই অন্যের বাড়ি গিয়ে সংসার করবে এই ধারণা আজও সমাজের কাছে বদ্ধমূল।
বাবার কাছে মেয়ে বড় আদরের হয় (daughter is fond of the father) ,পাশাপাশি মায়ের কাছে চিন্তার। একটা ছেলে রাত্রিবেলা ফিরতে পারে ,মেয়ে হলে টেনশন থাকে। যেদিন মেয়েটাও রাত ১টা বা ২টোর সময় প্রয়োজনে বাড়ি ফিরতে পারবেন নির্ভয়ে, সেদিন হয়তো বলা যাবে নারী-পুরুষ সমান সমান (Men and women are equal), তার আগে নয়।
যেখানে দেশ মা, জন্মভূমি মা সেখানে মেয়েদের সামান্য নিজের বাড়ি বলে কিছুর অস্তিত্বই নেই। অনেকে এই প্রতি সমর্থন করবেন না জানি। অনেকে বলবেন মেয়েদের তো অনেক বাড়ি। বাপের বাড়ি, মামার বাড়ি, মাসির বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি। এখন প্রশ্ন মেয়েদের আসল বাড়ি, নিজের বাড়ি “একান্ত আপন” কোথায় ? (Girls have their own home)
আসলে বাড়ি, ঘর এই শব্দটা একটা সম্পর্ক আর তার সাথে জড়িয়ে থাকা অনেক অনুভূতিকে ব্যক্ত করে। যুগ যুগ ধরে বাবার বাড়িকে মেয়েরা নিজের বাড়ি বা নিজের পৃথিবী বলে ভেবে এসেছে। সেই মেয়েকে একটা সময় পর কনকাঞ্জলি অনুষ্ঠানের পর অন্য একটা বাড়িতে গিয়ে, সেই বাড়িকে নিজের বলে ভাবতে শুরু করতে হয়।
সেটা কখনও নিজের বাড়ি হয়ে ওঠে, কখনও ওঠে না। তখন বাবার বাড়িকে নিজের বাড়ি বলার অধিকার সমাজ দেয় না। অসহায় এক দোটানায় দুটো বাড়ির মাঝে এগিয়ে যায় মেয়েদের জীবন। এটাই সত্যি, ঠিক বলছি তো?
এই প্রতিবেদনের লেখার সাথে আপনার ভাবনা নাও মিলতে পারে। আপনার মতামত আপনার ব্যক্তিগত। আমরা শুধুমাত্র পরিসংখ্যান আর সার্ভের ভিত্তিতে এই তথ্য জানালাম। আমরা এই পৃথিবীতে একা আসি, পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে একা ফিরে যাই। মাঝের সময়টা একা থাকতে ভয় পাই। তাই একজন বা একাধিক জন প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুন- তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর, কখন আসে এই অবস্থা? কী বলেন তখন মেয়েরা ?
এই একাধিক মানে বাবা-মা পরিবার আত্মীয় সকলে মিলেমিশে থাকা। কিন্তু সেখানেও একটা বড় কথা হচ্ছে টাকা। যদি একটা মেয়ে স্বাবলম্বী হয় অর্থাৎ নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করতে পারে তাহলে তার অস্তিত্ব অনেকটাই পাকা। নিজের দাবি সে স্পষ্টভাবে রাখতে পারে সবার সামনে। তবে অনেকেই মনে করেন মেয়েরা লাকি, কারন বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি রেডি সবসময়, ছেলেদের এমনটা নয়।
আরো পড়ুন- Mutton Biryani Recipe : বাড়িতেই সুস্বাদু মটন বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব,রেসিপি আমরা বলে দিচ্ছি
এখানে কোথাও ভুল হচ্ছে না তো ? মেয়ে যদি বরের বাড়িকে নিজের বাড়ি ভাবতে পারে, থাকতে পারে তাহলে বর কেন মেয়ের বাড়িকে নিজের বাড়ি ভাববে না ? তাহলে তো বলা যায় ছেলেদেরও দুটো বাড়ি, বাপের বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি।
আরো পড়ুন- হাতে টাইম নেই দাদা ,তাই বলে সবেতেই তাড়াহুড়ো? কিছু ভুল হচ্ছে না তো ?
তবে আসল বিষয়টা ছেলে বা মেয়ে নয়। আসল ব্যাপারটা হলো চিন্তাভাবনা , সমাজের মানসিকতা। বাড়ি মানে শুধুই কি মাথার ওপরে একটা ছাদ? নাকি আশ্রয় মানে নিরাপত্তা আর ভরসা? যদি তাই বলেন তাহলেই নিজের বাড়ি বলে আদৌ কিছু হয় কি? ভেবে দেখুন না সম্ভব হয় কিনা? আপনার উত্তর আমাদের লিখে পাঠান।