Positive Pregnancy Test: প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ মানেই কি আপনি অন্তঃসত্ত্বা? আজকের প্রতিবেদনে সেই তথ্যই দেব আপনাদের।
শিরোনামে প্রশ্নটা একটু বোকা বোকা লাগল কি? অনেকেই হয়তো ভাবছেন এ আবার কেমন প্রশ্ন, ইংরেজি বাংলা অনুবাদ ক্লাস হচ্ছে নাকি? ঠিক এই সব প্রশ্ন যাদের মাথায় ঘুরছে তারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে আমরা কোনো মস্করা করছি না। আমরা আসলে বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়েই এই বিষয়টা দেখার চেষ্টা করেছি।
আর তাতে নিজেরাই আশ্চর্য হয়ে গেছি। সাধারনত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ‘ মানেই কি আপনি অন্তঃসত্ত্বা ধরে নেওয়া হলেও এটা যে সব সময় ঠিক হবে এমনটা নাও হতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে সেই তথ্যই দেব আপনাদের (getting a positive pregnancy test result)।
সন্তান মা বাবার কাছে সবথেকে বড় আর শ্রেষ্ঠ সুন্দর উপহার। সকলেই চান যাতে মা আর বাবা ডাকার মতো একজন মানুষ থাকুক, যে ভরসা হয়ে উঠবে, যাকে নিয়ে অহংকার করা যাবে, সমাজে দশ জনের একজন হয়ে উঠবে। এখন ‘সন্তান উৎপাদনের প্রক্রিয়া‘ আমরা সকলেই জানি।
তাই পুরুষের সঙ্গে নারীর যৌন সম্পর্ক হলে সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কমপ্লিকেেড কেস ব্যতিক্রম হয়ে খবরে উঠে আসে বটে। কিন্তু সাধারণ ভেবে মেয়েরা ওপর লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার পর যদি menstrual cycle বিগড়ে যায় তাহলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে।
কিন্তু মেডিক্যাল সায়েন্স বলছে পিরিয়ড হঠাৎ বন্ধ হওয়া বা দেরি হওয়ার জন্য একাধিক কারণ দায়ী হতে পারে। এই অবস্থায় নিজে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বলেন ডাক্তাররা। ধরুন তার মধ্যে একটি হল ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট‘।
হতেই পারে চিকিৎসকের মনে হয়েছে একবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া দরকার, অকারণে অন্য ওষুধ দেওয়ার আগে। এবার এই কথা শোনার পরই অবিবাহিত মেয়ের বাড়ির লোকের মাথায় হাত। মেয়ের কথা পরে ভাবা যাবে আগে চিন্তা, সমাজ কী বলবে এবং লোকের সামনে মুখ দেখানো যাবে না। এইসবের মাঝে চিকিৎসক জোর করবেন বলবেন যা বলা হয়েছে তাই করুন।
আরো পড়ুন – বাজাজ চেতক ই-স্কুটার কিনতে চাইছেন বুঝি? 20 হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ভাবা যায়!
এটা গেল একটা অধ্যায়, এবার যদি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তবে? ব্যাস কিছু বোঝার আগেই আপনি হয়তো আপনার বাড়ির মেয়ের উপর রাগারাগি করবেন । কিন্তু একটু দাড়ান, হয়তো মেয়ে ঠিক বলছে।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ আসার পর যদি মেয়েটি জোর দিয়ে জানায় যে তার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয় নি তাহলে ডাক্তার আরো একটি পরীক্ষা করতে বলেন যেটা হল আলট্রাসনোগ্রাফি। আর এখানেই সব পরিস্কার হয়ে যায় অর্থাৎ দেখা যায় তলপেটে কোন ফেটাস নেই। অর্থাৎ সে অন্তঃসত্ত্বা নয়। তাহলে?
আরো পড়ুন – Project December AI: মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ! ‘প্রজেক্ট ডিসেম্বরের’ কথা জানলে চমকে উঠবেন
দেখুন প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের যে স্ট্রিপ দিয়ে সাধারণত পরীক্ষা করা হয় সেই স্ট্রিপ আসলে সন্তান আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য নয়। মনে রাখতে হবে কনসিভ করার দিন ছয়েকের মধ্যে ‘Human Chorionic Gonadotropin‘ হরমোন সেই দেহে নিঃসৃত হয় যা ইউরিনের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। হরমোনটি মূলত প্লাসেন্টা অংশকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুন – খাবার খেতে খেতেও ফোন ঘাঁটতে হয় বুঝি? এই অভ্যাস না বদলাকে বড় বিপদ !
তবে এই একই হরমোন অনেক টিউমারের কারণেও নিঃসৃত হয় বলে পরীক্ষায় জানা গেছে। তাহলে হতেই পারে এই কারণেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ ! তাই আগে থেকে কিছু ভেবে নেবেন না। বিজ্ঞানের ওপর ভরসা রাখুন। আর নিজে সতর্ক হয়ে অন্যকেও সতর্ক করুন।