Breaking Bharat: ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’! কেন টাকা দেবেন তিনি ? কে তিনি? কত টাকা আছে তার কাছে? কিছু প্রয়োজন হলে বিশেষ করে টাকার কথা বললেই ‘গৌরী সেন’ (Gauri Sen) নামে একজনের কথা তুলনায় টানা হয়। তুমি কখনো কি জানার চেষ্টা করেছো কে এই গৌরী সেন? তিনি মহিলা না পুরুষ?
প্রবাদের গৌরী সেন কে ছিলেন, তা জানতে অনেক গবেষণা হয়েছে। অনেকে বলেন গৌরী আসলে ছিলেন এক নারী, অনেকেই বলে তিনি পুরুষ। তথ্য আর তত্ত্ব কী বলছে আজ সেটাই দেখার পালা।
গৌরী সেন আসলে কে?
কোন কিছুর সম্পর্কে জানতে গেলে একেবারে ইতিহাস থেকেই শুরু করতে হয় অতীতকাল থেকে যে প্রচলন চলে আসছে , বর্তমানের মধ্যে তার সূত্র খুঁজতে যাওয়া বৃথা। তবে গৌরী আসলে কে এটা জানতে একটু বাংলা সাহিত্যে নজর দেওয়া ভালো।
জানা যায় ‘গৌরী আসলে গৌরীকান্ত সেন (Gaurikant Sen)‘। বাংলা প্রবাদ বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণাগ্রন্থ থেকে যা জানা যায়, তাতে গৌরী ছিলেন সুবর্ণবণিক সম্প্রদায়ের সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী (Gauri Sen was a business man)।
বাবা নন্দরাম সেন। আনুমানিক ১৫৮০ সালের কাছাকাছি সময় এই গৌরীর জন্ম। হুগলিতে জন্ম হলেও পরবর্তীতে কলকাতার কলুটোলা স্ট্রিটে বড় হয়ে ওঠা। তবে জন্মস্থান নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। কেউ বলেন হুগলি কেউ বলেন হাওড়া। মুর্শিদাবাদেই জন্মস্থান বলে অনেকের দাবি। সে জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক নয় হলো কিন্তু ধন সম্পদ এল কোথা থেকে?
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় ব্যবসার অংশীদার বৈষ্ণবচরণ শেঠের সঙ্গে একটি ডুবে যাওয়া জাহাজে বোঝাই-করা দস্তা কিনেছিলেন গৌরী। কিন্তু পরে বোঝা যায় আসলে দস্তার তলায় লুকিয়ে রুপো পাচার করা হচ্ছিল ওই জাহাজে।
ব্যাস রাতারাতি ধনী। দস্তার দরে রুপো পেয়ে তাঁকে আর পায় কে?। কিন্তু সব মানুষ এক রকমের হয় না। লোভ একেবারে ছিল না তাঁর। যে অর্থ তিনি পেয়েছিলেন তা সকলের মধ্যে দান ধ্যান করে ভাগ করার চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুন- Pain after period : পিরিয়ডের এর পরে সমস্যা বাড়ছে ,যন্ত্রণা কমছে না? কী করবেন?
অন্তত এমনটাই জনশ্রুতি। যখন যেখানে যার প্রয়োজন হত এবং তার যৌক্তিকতা থাকত সেখানে এগিয়ে যেতেন ‘গৌরী সেন’। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতামাতা হোন বা জমিদারের ঋণ শোধ করতে না পারা প্রজা – সকলকে রক্ষা করতেও এগিয়ে যেতেন তিনি। বাংলার ঘরে ঘরে তখন সেই কথা প্রচারিত হয়, আর প্রবাদ তৈরি হয়ে যায় ‘লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন।’
আরো পড়ুন- Black spots under the eyes: চোখের তলায় কালো দাগ, তাহলে কি চোখে চোখে কথা হবে না?
জনশ্রুতি বা পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে এরকম অনেক তথ্যই পাওয়া যায় যার সত্যতা বিচার করা সব সময় সম্ভব হয় না। তবু কথায় আছে যা রটে তার কিছুটা বটে। তাই গৌরী সেন নামের মানুষটি যে নিঃসন্দেহে মানুষের পাশে দাঁড়াতেন একথা স্বীকার না করে উপায় নেই, বলছেন ইতিহাসবিদরাই।
আরো পড়ুন- কী বিড়ম্বনা! শেষমেশ আলোচনায় হাটে হাঁড়ি ভাঙা? এমন হাড়ি ভেঙেছেন কখনো?
অবশ্য এই যুগে এরকম মানুষ পাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান হতেই হয়। যদি এরকম কারোর সাথে পরিচয় হয়, দয়া করে তার ঠিকানা জানাতে ভুলবেন না যেন।