Breaking Bharat: ফুচকা খেতে খুব ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? কিন্তু ফুচকা কি আপনাকে ভালোবাসে?
প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই খুব অবাক হয়েছেন? মানে ফুচকা শব্দটা বললেই জিভে জল চলে আসে আট থেকে আশি সবার। এখন তো তিন চার বছরের বাচ্চারাও জমিয়ে ফুচকা খায়। ফুচকা নিয়ে নানা খারাপ কথা বলেও ফুচকা প্রেমীদের মন এতটুকু টলাতে পারবেন না আপনি।
কিন্তু প্রশ্ন করছে আপনি যতটা ভালবাসেন ফুচকা খেতে ফুচকা কি আপনাকে ততটাই ভালোবাসে? এ প্রশ্নটার অর্থ হল আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি তার যাতে ভালো হয় সে যাতে ভালো থাকে এই বিষয়গুলোকে সবসময় নজরে রাখি। তাহলে ফুচকা যদি আপনাকে ভালোবাসে নিশ্চয়ই সে চাইবেন আপনার শরীর খারাপ হোক। কিন্তু অতিরিক্ত ফুচকা প্রেম আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
কোথাও গোলগাপ্পা কোথাও পানিপুরি, একেক জায়গায় একেক রকমের নাম। সুতরাং নামের সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট একটু আধটু বদলালেও বেসিক কনসেপ্ট কিন্তু একই। ফুচকা, আলু মাখা আর টকজল এই তিনজনে মিলে এমন এক স্বাদ সৃষ্টি করে যেটা বিশ্বের কোন কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যায় না। তাই এক কথায় অতুলনীয় হলো এই খাবার।
কিন্তু এটা মোটেই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় পড়ে না। আপনি যদি ফুচকা ভালোবাসেন তাহলে আপনার হয়তো পরবর্তী কথাগুলো পড়তে ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমরা যে তথ্য আপনার সঙ্গে তুলে ধরছি সেটা সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞানসম্মত এবং চিকিৎসকেরা এই ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন বলেই তা আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করা হলো।
দেখুন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ‘ফুচকা‘ বানানো হয়, তাই পরিচ্ছন্নতার অভাবের পাশাপাশি রোগ জীবাণু যে ফুচকার মধ্যে মিশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর এটা কখনোই আপনার পেটের জন্য উপকারী হতে পারেনা। ডায়েরিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় প্রাথমিকভাবে দেখা দিতে পারে। পরবর্তীতে যা বড় আকার নিতে বেশি সময় নেবেনা। ফুচকা অতিরিক্ত ঝাল এবং টপ দিয়ে বানানোর কারণে পাকস্থলীতে এসিডিটির সমস্যা তৈরি হয়।
পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে আলসার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা এড়িয়ে যেতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। আর বাঙালি মানেই তো গ্যাস অম্বলের একটা সমস্যা। তাই সেটা বড় আকার ধারণ করলে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া অন্য কোন অপশন আপনার হাতে থাকবে না। দেখুন কোন জিনিসের সব কিছু খারাপ বলছি না তবে বিস্তারিতভাবে খাবার সম্পর্কে আপনার জানা দরকার (fuchka khele ki hoy in bengali)।
তেঁতুলের জল ছাড়া ফুচকা প্রায় অসম্ভব। আর এই জলেই থাকে টারটারিক অ্যাসিড, যা আসলে অর্গানিক অ্যাসিড । আঙুরেও দেখতে পাওয়া যায় এটি। অ্যাসিড যখন অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে যাবে তখন অসুবিধে হতেই পারে যেমন পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া ইত্যাদি।
তবে ভালো দিক হল পরিমাণমতো খাওয়া গেলে এই অ্যাসিড আবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্টি-ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে বলে দেখা গেছে। টারটারিক অ্যাসিড বেশি খেলে পাকস্থলীর সংকোচন বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও থেকে যায়।
এত কিছু পর একটা ভালো কথা বলি? ফুচকা বাড়িতে বানিয়ে খেলে কিন্তু এইসব ঝুঁকি অনেক কম। নেট দুনিয়ার সৌজন্যে আজকাল সব রেসিপি তো হাতের কাছে তাই না?