Breaking Bharat: সারাদিনের কাজের পরে শরীর মন ক্লান্ত হয়। একটু বিশ্রাম তখন খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে যদি রাত্রে ঘুমোতে না যান তাহলে কিন্তু সকালটা বেশ খারাপ যায়। আর সকাল থেকে তরতাজা ফুরফুরে মেজাজ না থাকলে সারাদিনে তার প্রভাব পড়বে আর ফের রাত্রে ফিরলে আবারো সেই একই ভুল রুটিনে চলতে হবে আপনাকে। তাই কিছু সংশোধন করে নিলে একটু ভালো থাকবেন বৈকি (The best habits of the night)।
ঘুমের দেশে যাওয়ার আগে ঠিক কী কী করণীয়?
তাহলে এর উত্তরে আপনাকে বলি, অফিস থেকে বাড়ি ফিরেই একটু বিশ্রাম নিতে নিতে ঠাণ্ডা জল খান, ভালো লাগবে। বাড়ি ফিরেই অশান্তি এক্কেবারে মুড অফ করে দেয়। তাই বাড়ির পরিবেশ শান্ত থাকা কাম্য এবং বাঞ্ছনীয়।
ফ্রেশ হয়ে নিয়ে হালকা কথা বার্তা সাথে টেলিভিশন দেখতে পারেন। তবে লাইট মুডের কিছু হলেই ভালো। খাওয়া সেরে চট করে ঘুমোতে যাবেন না।
একটু হাঁটাহাঁটি করা ভালো অভ্যেস, এতে হজম হয় আর শরীরের অস্বস্তি কেটে যায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা হতে পারে। শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করবেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ খাবেন। আর একবার বাথরুম থেকে ঘুরে আসবেন।
আসলে আয়েশ করে শুতে যাওয়ার পর যদি আবার উঠতে হয় তাহলে সেখানেই ঘুমের ব্যাঘাত আর ব্যাস ঘুম যায় কেঁচে। রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার সময় মোবাইল ঘাঁটা মারাত্মক খারাপ অভ্যেস।
আরো পড়ুন- সারাক্ষণ মন খারাপ থাকা কি মানসিক অবসাদের লক্ষণ? এ থেকে মুক্তির উপায় কি?
দরকার হলে প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলে নিন ফোনে। কিন্তু চোখ রাখবেন না মোবাইল স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফোনগুলিকে সাইলেন্ট মোডে স্যুইচ করে দেহ থেকে দূরে রাখুন, কারণ এটি আপনার মস্তিষ্ককে রেডিও তরঙ্গ দ্বারা আবদ্ধ করে, ফলে টিউমার হতে পারে।
আরো পড়ুন- নিজের আসল শত্রু বা মুখোশের আড়ালে থাকা মানুষটাকে চিনতে শিখুন! কিভাবে?
আরো পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা! যেখানে আজও পর্যটন নিষিদ্ধ! কেন জানেন?
এবার বলি ঘুমোতে যাওয়ার আগে পারলে সঙ্গিনীকে একটু আদর করুন, অবশ্যই তার সম্মতি নিয়ে। সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ঘুমোতে যান, এর থেকে পরম শান্তি আর পাবেন না জীবনে।
পারলে প্রিয় মানুষের গায়ে মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে শান্তির ঘুম আপনার সব ক্লান্তি দূর করুক এটাই আমাদের প্রার্থনা। একটু চেষ্টা করলেই ভালো থাকা যায়, দেখুন না পারেন কিনা! ভালো সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে পারলে আপনার আমার সমাজের মঙ্গল।