Breaking Bharat: Flower : প্রায় ১৮৮ বছর আগে চিরকালের মতো শেষ হয়ে গেছিল, সে আবার ফিরে এলো পুনর্জন্ম নিয়ে। যা চলে গেছে তা কি একেবারেই গেছে, কিছুই কি নেই বাকি? জানেন কি যা বিলুপ্ত তার হঠাৎ করেই ফিরে এলো পৃথিবীর বুকে?
এই পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে, এই প্রকৃতিতে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু চিরস্থায়ী কোনটাই নয়। যার সৃষ্টি হয় বা জন্ম হয় তার ধ্বংস বা মৃত্যুটাও অবশ্যম্ভবী। কিন্তু অনেককাল আগে হারিয়ে যাওয়া বা শেষ হয়ে যাওয়া বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কোনও কিছু যদি আপনার চোখের সামনে আবার পুনর্জন্ম নেয়।
এমন ঘটনা বিরল বটে কিন্তু অসম্ভব বোধহয় নয়। অন্তত আজকের প্রতিবেদনের পর আপনিও আমাদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করবেন। কারণ আজ থেকে প্রায় ১৮৮ বছর আগে যা চিরকালের মতো শেষ হয়ে গেছিল সে ফিরে এলো পুনর্জন্ম নিয়ে। পরিচয় করবেন না তার সাথে? এবার তাহলে আলাপটা সেরে নেওয়া যাক।
ব্র্যাকিসটেলমা অ্যাটেনুয়াটম:
বিজ্ঞানসম্মত নাম হয়তো নাও শুনে থাকতে পারেন। তবু আপনাকে জানিয়ে রাখি ব্র্যাকিসটেলমা অ্যাটেনুয়াটম এর কথা (Brachystelma attenuatum)। আসলে এটি একটি ফুল গাছ। ১৮৮ বছর আগের কথা। সে সময় হিমালয়ের কোলেই দেখা গিয়েছিল এই বিরল ফুলগাছ।
হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের নজরে পড়েছিল সেই ফুলগাছ। তারপর সেই গাছের খোঁজ কম হয়নি। কিন্তু তার আর দেখা মেলেনি। বছরের পর বছর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার দেখা না পাওয়ায় এক সময় বিজ্ঞানীরা হাল ছাড়েন। বিশ্বাস করেন ওই গাছটি বিলুপ্ত প্রজাতির মধ্যে চলে গিয়েছে।
ও গাছ আর এ বিশ্বে দেখা যাবেনা। কিন্তু প্রকৃতির লীলা কি মানুষ বুঝতে পারেন? কথায় আছে প্রকৃতি চলে নিজের খেয়ালে। তাই তাই ১৮৮ বছর পর সেই ফুল আবার দেখা দিল জনসমক্ষে। আর মিলল সেই একই স্থানে যেখানে ১৮৮ বছর আগে তার দেখা মিলেছিল।
জানা যায় গত বছর এক ঝলক এই গাছের ডাল দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তাতে ফুল ছিলনা। এবার তাই মার্চ মাসেই ঠিক ওই জায়গায় হাজির হন দেরাদুনের বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং সিমলা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। আর এবার প্রকৃতি নিরাশ করে নি, দর্শন মিলল এই বিরল ফুল গাছের। আজ বিজ্ঞানীদের ভাবনায় একে সংরক্ষণ করার নয়া পদ্ধতি।
আরো পড়ুন- Skin Problems : ত্বকের সমস্যা? দেখতে খারাপ লাগছে? ক্রিম মেখে মুখের দাগ দূর করবেন?
এই প্রকৃতি থেকে বা পৃথিবী থেকে কোন কিছুই বিলুপ্ত হয়ে যাক এটা কখনোই কাম্য নয়। তবে নিয়ম মেনেই কিছু সময় পর সবেরই শেষটা সামনে চলে আসে। তবে সঠিক পরিচর্যা আর রক্ষণাবেক্ষণ থাকলে হয়তো স্থায়িত্বকাল বাড়ানো সম্ভব। তা সে মানুষ বা প্রাণী হোক বা উদ্ভিদ।
আরো পড়ুন- Nurse : হাসপাতালের নার্স বা সেবিকাদের কী চোখে দেখি আমরা? নার্সদের কখনো নিচু চোখে দেখবেন না!
বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন এই বিরল প্রজাতির গাছের ডাল কেটে নিয়ে স্থানীয় গ্রামের মানুষেরা বাড়িতে রান্নাবান্না করেন। স্বভাবতই শাখা বিস্তার করতে পারে না এই ফুলের গাছ। এসব থেকে বাঁচিয়ে এই বিরল গাছকে বাঁচানোর রাস্তা খুঁজছেন গবেষকেরা।
আরো পড়ুন- Red Indian : রেড ইন্ডিয়ান কারা ? আমরা এ সমস্ত খাদ্যের জন্যই কিন্তু রেড ইন্ডিয়ানদের কাছে ঋণী।
পাশাপাশি এতদিন কেন এর দেখা মেলেনি তাও খুঁজে দেখার চেষ্টা চলছে। সবমিলিয়ে এভাবেই বিলুপ্ত উদ্ভিদ খুঁজে পেয়ে উচ্ছ্বসিত উদ্ভিদ গবেষকরা। এই প্রতিবেদনে যাবতীয় তথ্যাবলী বিভিন্ন সূত্র ঘেটে বের করা হয়েছে। তাই আপনি নিজে যদি এই বিষয়ে আরো তথ্য জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন ভুলবেন না।