Breaking Bharat: মহিলাদের বন্ধ্যাত্বর (Female infertility) ক্ষেত্রে পরিচিত অসুখ কী কী? রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমে কোনও সমস্যা হচ্ছে? একজন মহিলা নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। এক নতুন মানুষকে পৃথিবী আনার দায়িত্ব ভার যার উপরে , তাঁকে অনেক কষ্ট করতে হয়।
সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমে (Reproductive system)। আর এই জটিলতা থেকেই কনসিভ করা খুব সমস্যা হয়ে পড়ে। আজকের আলোচনায় উঠে আসবে বেশ কিছু রোগের কথা। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আসলে ওভারির মধ্যে অসংখ্য ছোট ছোট সিস্ট।
এবার আপনার মনে হতেই পারে সিস্ট ব্যাপারটা কী?
আপনাকে জানাই হরমোনের ইমব্যালেন্সের কারণে ঠিকভাবে ম্যাচিওরড না হওয়া এগ বা ডিম ফলিকলের মধ্যে অবস্থান করে। এমন অনেক জমে যাওয়া ফলিকলকেই সিস্ট মনে হয়। এর ফলে, ওভারির সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে এবং ফার্টিলিটির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
কিছু রোগের কথা আপনাকে জানিয়ে রাখি। প্রথমেই বলি এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis)- এর কথা। এটি অত্যন্ত জটিল শারীরিক অবস্থা। এই ক্ষেত্রে জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু পেলভিক অঞ্চলের অন্যান্য অংশে এই যেমন, ওভারি, ফ্যালোপিয়ান টিউব অথবা ব্লাডার এইসবে স্থানান্তরিত হয়।
এই টিস্যুগুলি হরমোন পরিবর্তনে সাড়া দিয়ে পিরিয়ডের সময় একই ধরনের রক্তক্ষরণ ঘটায়। এদের থেকে কালক্রমে ক্ষত হয়। কনসিভ না করার কারণগুলির মধ্যে এন্ডোমেট্রিওসিস অন্যতম। এই রোগের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ হল অনেকটা বেশি পিরিয়ড হওয়া বা ধরুন যৌনমিলন কালে বেদনা।
এই রোগের কিছু উপসর্গ হল: তেলতেলে ত্বক , অনিয়মিত পিরিয়ড, বারেবারে গর্ভপাত হওয়া এবং প্রেগনেন্ট হতে সমস্যা হওয়া। রক্ত সম্পর্কিত কারও এই ধরনের সমস্যা থাকলে, এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মৃদু পর্যায়ের এন্ডোমেট্রিওসিস হলে অল্প চিকিত্সায় প্রেগনেন্সি সম্ভব।
আরো পড়ুন- শ্রেষ্ঠ বাঙালি নারীর তালিকা! সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় নারী। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কোন নারীরা ?
তবে মডারেট এবং সিভিয়ার আকারের এন্ডোমেট্রিওসিসে কনসিভিং-এর সম্ভাবনা বাড়াতে সার্জারিরও প্রয়োজন হতে পারে দরকার। ফাইব্রয়েডস রোগ সাধারনত ইউটেরাসের ভেতরে, দেওয়ালে বা বাইরে এই ধরনের বেনাইন টিউমার দেখা যায়। ২০% থেকে ৫০% ক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের এই রোগ খুব বেশি হয় এবং বহু ক্ষেত্রে এরা প্রেগনেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয় না।
আরো পড়ুন- Tunnel way : কখনও সুড়ঙ্গ পথে হেঁটেছেন? লালবাগ কেল্লার রহস্যে ঘেরা সুড়ঙ্গে কী আছে?
প্রায়শই ফাইব্রয়েডে কোনও রকম উপসর্গ থাকে না, যদিও কিছু কিছু মহিলা যন্ত্রণা, বেশি ও অনিয়মিত ব্লিডিং এবং মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্পের সমস্যায় ভোগেন। তবে সব ক্ষেত্রেই বলা দরকার ডাক্তারি পরামর্শ অবশ্যম্ভাবী।