Breaking Bharat: কৃষকের যন্ত্রনা বোঝেন? ফসল উৎপাদন করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন কৃষকরা (Farmer)! না খেয়ে কি মানুষ বাঁচতে পারে? অন্ন সংস্থানের আশায় সকাল থেকে ছুটছেন, কিন্তু জানেন কি আপনার অন্ন আসলে কে জোগাড় করে দিচ্ছে?
জীবন মানে প্রবাহমানতা। অর্থাৎ নিজের গতিতে জীবন চলতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন নদী বয়ে চলে আপন বেগে। তবে জীবনে বাঁচতে গেলে বেসিক কিছু প্রয়োজন সম্পূর্ন করতেই হয়। যার মধ্যে অবশ্যই আছে অন্ন বস্ত্র আর বাসস্থান। কিন্তু জানেন কি এই অন্নের সংস্থান কোথা থেকে হয়?
ফসল উৎপাদন করা পরিশ্রমী কৃষক:
দোকান থেকে চাল কিনে আনলেই তো হল না , বা দোকান পর্যন্ত চাল যোগান দিলেই হল না। চাল যে ধান থেকে আসবে সেই ধান যদি উৎপন্ন না হয় আমাদের তো ভাত জুটবে না ! ঠিক বলছি তো? তাহলে আজ তাদের অবস্থার কথা একটু তুলে ধরা যাক। বলছি মাঠে কাজ করা ফসল উৎপাদন করা পরিশ্রমী কৃষকদের কথা (Hardworking farmers producing crops)।
আমাদের দেশ ভারত বর্ষ নদীমাতৃক দেশ আর কৃষি প্রধান বটে। ছোটবেলায় যখন বাংলা রচনা লিখতে হতো দেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে ভাতের কথাই উঠে আসত। আর বাঙালি তো ভাত ছাড়া ভাবতেই পারে না। পারলে সকালে দুপুরে রাতে ছাড়াও সন্ধ্যেবেলা যদি ভাত দেওয়া হয় সেটাই প্রিয় খাদ্য হয়ে যায়। কথা শুনে আপনার বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে কিন্তু এটাই সত্যি।
সন্ধ্যেবেলার দিকে যেভাবে ফ্রাইড রাইস আর চিলি চিকেন খাবার ভিড় জমে, স্ট্রীট ফুড হিসেবে ভাতের জনপ্রিয়তা ওখানেই বোঝা যায়।। এবার মূল প্রসঙ্গে চলে আসি। কৃষক একজন ব্যক্তিবিশেষ যিনি কৃষিকার্য পেশায় (Agricultural occupation) নিয়োজিত থেকে ফসল উৎপাদন করেন (produce crops)।
পাশাপাশি তিনি খাবারের উপযোগী করে গৃহপালিত প্রাণী লালন-পালন করেন। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে এ পেশার মাধ্যমে কৃষক মানুষের জন্যে খাদ্য সরবরাহ করে জীবনকে চলমান রেখেছেন (Farmers provide food for people)।
কৃষকরা যে খুব বড়লোক হন এমনটা নয়। একজন কৃষক তাঁর নিজের জমিতে (Farmer on his own land) অথবা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে কিংবা অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে ফসল উৎপাদনে নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু যেকোনো উন্নয়নশীল দেশে অর্থনীতিতে কৃষক বলতে মূলতঃ যার নিজস্ব খামার বা জমি আছে তাকে বুঝায়। জমিতে নিয়োজিত কর্মীগণ খামার কর্মী, ক্ষেত মজুর ইত্যাদি নামে অভিহিত হয়ে থাকেন।
অনেকেই কৃষক বা চাষীদের সম্মানের চোখে দেখেন না। মাঠে ঘাটে কাজ করা মেহনতী মানুষ ঝাঁ চকচকে গ্ল্যামারেস লাইফ স্টাইল পায় না। সভ্য সমাজের বড় বড় অনুষ্ঠানে তাদের কদর নেই। অথচ সেই অনুষ্ঠানের আসল কেন্দ্রবিন্দু অর্থাৎ খাওয়া দাওয়া সেটাই কিন্তু তার দয়াতেই পাওয়া যায়।
ব্যাপক অর্থে কৃষক শব্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় নির্দিষ্ট গৃহপালিত পশু যেমনঃ গবাদিপশু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, ঘোড়া ইত্যাদি লালন-পালনও এর সাথে জড়িত। কৃষক শব্দটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেঞ্চার্স, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে গ্র্যাজিয়ার্স বা স্টকম্যান নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন- Daughter: মেয়েরাই বাবাদের নয়ন মনি, কেন কন্যা সন্তান বাবাদের বড়ই প্রিয়?
ভেড়া, ছাগল এবং গবাদীপশুর সাথে জড়িত কৃষকগণকে যথাক্রমে শেফার্ড, গোথার্ড এবং কাউহার্ড নামে আখ্যায়িত করা হয়। ডেইরী ফার্ম বা দুগ্ধ খামারের সাথে জড়িত ব্যক্তি দুগ্ধ খামারীরূপে পরিচিত। তিনি দুধ উৎপাদন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন। হাঁস-মুরগীর খামারী বা পোল্ট্রি ফার্মার বাচ্চা উৎপাদন, টার্কি, হাঁসের ছানা কিংবা এগুলোর মাংস, ডিম বা পালক সংগ্রহ অথবা উক্ত তিনটি কাজই করে থাকেন।
আরো পড়ুন- Tanah Lot Temple : মন্দির আটকে রাখে সাপ, মন্দিরে প্রবেশ করতে লাগে ৬০ হাজার টাকা!
একজন ব্যক্তি যদি রকমারী শাক সব্জি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রয় করে তখন তিনি ট্রাক ফার্মার বা মার্কেট গার্ডেনার নামে পরিচিত হন। ডার্ট ফার্মার আমেরিকার চলতি ব্যবহৃত শব্দ যা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কৃষক বা যিনি তাঁর নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের সাথে (Crop production on own land) সরাসরি সংশ্লিষ্ট থাকেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বাংলা নিঃসন্দেহে কৃষক দরদী।
আরো পড়ুন- Srabanti Chatterjee : অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কেন বারবার বিয়ে করেন ?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের সাহায্য করতে চালু করেছেন কৃষক বন্ধু প্রকল্প। ১৭ জুলাই কেন্দ্রের কৃষি মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাথা কিছু আয়ের নিরিখে বাংলার কৃষকরা প্রথম স্থানে। যুগ্ন ভাবে প্রথম হয়েছে পুদুচেরি। এভাবেই পরিবর্তন আসছে যা বেশ বোঝা যাচ্ছে। যারা সারাক্ষণ রোদে পুড়ে জলে ভিজে আমাদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করেন তাদের কুর্নিশ।