Types of family problems: পারিবারিক সমস্যায় জীবন জেরবার? আপনার হাতের কাছেই আছে সমাধান, একটু খুঁজে দেখবেন নাকি?
সমস্যা সব পরিবারেই থাকে। কিন্তু ভাগ্যবান তারা হন যাদের সঙ্গে পরিবার থাকে। এই ছোটখাটো ঝামেলাকে কখনোই বাড়তে বাড়তে বড় মহীরুহে পরিণত হতে দেবেন না। কোনো ঘটনা ঘটলে গোড়া থেকে সমস্যার সমাধান করুন (family problems and solutions)।
যখন একটা পরিবারের মধ্যে আছেন তখন হাজার একটা ঝামেলার মুখোমুখি হতেই হবে আপনাকে এটা জেনেই জীবন কাটাতে হয়। কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা-ভাবনা করলে বোধ হয় প্রতিটা সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারকে সুখী করা সম্ভব হয়। চলুন সমস্যার মূল প্রান্তে পৌঁছে শুরু থেকে বিষয়টার দিকে নজর দেওয়া যাক।
কিভাবে পারিবারিক সমস্যা আমাদের প্রভাবিত করে?
প্রথমে মনে রাখতে হবে পরিবারের সমস্যা কোথা থেকে তৈরি হচ্ছে। ধরে নিয়ে যাকে এই বিষয়টা সব থেকে বেশি পরিলক্ষিত হয় যৌথ পরিবারে কারণ সেখানে সদস্য সংখ্যা একাধিক। প্রত্যেকে নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যস্ত আর তার জন্য ছোটখাটো অন্যায় ভুল মিথ্যে কথা এসব চলতেই থাকে।
তাই সবার আগে এই মিথ্যে গুলোকে খুঁজে বের করতে হবে আর সেটা শান্ত মাথায় নিরপেক্ষভাবে। এই কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সব সময় যে খোলাখুলি কথাবার্তা বললেই সমস্যার সমাধান হয় এমনটা নাও হতে পারে। যখন কোন সমস্যা হয়েছে বলে বুঝতে পারছেন তার সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে একটা বেসিক আইডিয়া নিজের মনের মধ্যে তৈরি করতে হবে।
তারপর এক দুই তিন করে এপ্লাই করে দেখতে হবে কোন ফর্মুলা টা ঠিক বাস্তবে কাজে লাগছে। যদি আপনার নিজের কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে দোষ স্বীকার করা সবার আগে দরকার। অনেক সময় একটা ছোট্ট স্যরি ম্যাজিক এর মতো কাজ করে।
পরিবারের সদস্যরা একে অন্যের সঙ্গে অবিচ্ছেদ ভাবে জড়িত কিন্তু সেটা বোঝার জন্য মাঝেমধ্যে ছলনা আশ্রয় নিতে হয়। যদি সেটা করতে গিয়ে আখেরি পরিবারের উপকার হয় তাহলে তা সাধুবাদ যোগ্য কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যেন হিতে বিপরীত কিছু না হয়ে যায়।
একটা পরিবারের মধ্যে বোঝা পড়া ঠিক থাকা খুব দরকার আর সেই কারণেই এই দায়িত্ব অনেকটাই বর্তায় পরিবারের গুরুজন বা অভিভাবকদের ওপর। আসলে শিক্ষা যদি সঠিক হয় তাহলে কোনোভাবেই ভুল পথে কেউ চালিত হতে পারে না। সঠিক সংস্কার একটা পরিবারকে সঙ্ঘবদ্ধ রাখতে খুব প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুন – মধ্যবিত্তদের উচ্চশিক্ষা কি শুধুই স্বপ্ন নাকি আদৌ বাস্তবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
ছোটবেলা থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বোঝাপড়া, আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এই বোধগুলো গড়ে উঠলে সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে সুবিধা হয়। যে কোন সমস্যা মেটাতে গেলে মাথা ঠান্ডা রাখা আর সঠিকভাবে কথাবার্তা বলাটা প্রয়োজনীয়।
আসলে যখন চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি থাকে তখন প্রত্যেকে যদি মাথা গরম করে আর উচ্চস্বরে কথা বলে তাহলে সেই সিচুয়েশন কে কখনোই কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। নমনীয় কথাবার্তা এমনিতেই মানুষের মেজাজ ঠান্ডা করে চট করে। এই পদ্ধতিকে টোটকা হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।
আরো পড়ুন – মন দিয়ে লেখাপড়া করতে গেলে কলম সবার আগে দরকার তাই না? কিন্তু এই কলম এলো কোথা থেকে?
আর্থিক সমস্যা হতে পারে, দাম্পত্যে সমস্যা হতে পারে, পরিবারে দুজন মানুষের মধ্যে তৃতীয় জনের আগমনকে কেন্দ্র করে সমস্যা হতে পারে। একলা সমস্যা একটা পরিবারকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবার জন্য চারপাশে হাজির হয়ে আছে। নিজেদের ভেতরে থাকা একটা ভালো বন্ডিং একটা পরিবারকে মজবুত রাখে।
আরো পড়ুন – বিয়ে মানেই কি পাত্র পক্ষের দাবি পূরণ? টাকা, সোনা, আসবাব আর কত দেবে কন্যা পক্ষ?
পারিবারিক সমস্যায় আছি, কী করবো কিছুই বুঝছি না?
পারিবারিক সমস্যাগুলো সামাল দেবেন?
পারিবারিক সমস্যা কী?
পারিবারিক সমস্যা কাকে বলে?
কিভাবে পারিবারিক সমস্যা আমাদের প্রভাবিত করে?
একটি পরিবারের সাধারণ সমস্যা কি?
পারিবারিক সমস্যা নিয়ে উক্তি