Breaking Bharat: কলেজের প্রোফেসর বা সুন্দরী ম্যাডামের প্রেমে পড়েছেন? এখানে কি প্রেমে পড়া বারণ? বই পড়ার জায়গা প্রেমে পড়া আজ নতুন নয়। আসলে স্কুল কলেজেই প্রেম টা সব থেকে বেশি হয়। কিছু স্টুডেন্ট থাকে যারা জমিয়ে পড়াশোনা করে।
আর কিছু এরকম স্টুডেন্ট থাকে যারা প্রেম করতে কলেজে যায়। আসলে এই জীবনটা আপনি আর ফিরে পাবেন না। তাই এই আনন্দ লুটেপুটে উপভোগ করতে চান অনেকেই। তাছাড়া স্কুল কলেজের প্রেমের একটা আলাদা মিষ্টি টাচ থাকে। তবে স্কুলের থেকে কলেজে এটা ভালো বোঝা যায়।
কলেজের প্রোফেসর বা সুন্দরী অধ্যাপিকা দেখলে প্রেম:
স্কুলে বয়সটা কম থাকে কলেজে বয়স বাড়ে। প্রেম করার ইচ্ছে গুলো বাড়তে থাকে। আর তারপর কলেজের হ্যান্ডসম প্রোফেসর বা সুন্দরী ম্যাডাম দেখলে প্রেম হওয়া অস্বাভাবিক নয় (It is not unusual to fall in love with a teacher)। হয়েছে নাকি এইরকম কিছু আপনার সঙ্গে? কী করবেন জানেন?
প্রেম নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার আমরা কেউ নই। কিন্তু প্রেমের অভিজ্ঞতার সাক্ষী সবাই হতে চায়। জীবনে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে প্রেমের অনুভূতি আপনার মন ভরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু যাকে ভালবাসেন বা যার প্রেমে মজেছে মন তার সম্পর্কে কতটা জানেন?
হয়তো বা ফেভারিট প্রফেসরের টানেই পড়াশোনা হয়ে যায়:
কলেজের কথায় যদি ধরা হয় তাহলে এক্ষেত্রে প্রেমের থেকে বেশি ইনফাচুয়েশন বা পছন্দ কাজ করে। অর্থাৎ সিনেমায় দেখা নায়িকা বা নায়কের মত কাউকে দেখে মনে ধরে যায়। সেক্ষেত্রে এত কিছু বোঝার মত পরিবেশ বা পরিস্থিতি থাকেনা । এই প্রেমের একটা আলাদা মজা আছে।
হয়তো বা ফেভারিট প্রফেসরের টানেই পড়াশোনা হয়ে যায়। কখনো বা ঘটে ঠিক উল্টোটা। ঠিক ওই কথা মাথায় রেখেই পড়াশুনা লাটে ওঠে। এরকম ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কলেজের ছেলে বা মেয়েদের মধ্যে ঘটতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আপনি সবার আগে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন কী করছেন।
অন্তর থেকে টান অনুভব নাকি সবটাই শারীরিক চাহিদা?
মাথায় রাখবেন প্রেম সাময়িক ভালো লাগা থেকেই তৈরি হয়। কিন্তু সেই প্রেম কি ভালবাসার দিকে এগোচ্ছে মানে অন্তর থেকে টান অনুভব করছেন নাকি সবটাই শারীরিক চাহিদা? মাথায় রাখতে হবে, প্রেমে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র আবার সামাজিকতার ক্ষেত্রে প্রেমে বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর।
আরো পড়ুন – Mahadev Temple : এই দেশেই আছে অদৃশ্য শিব মন্দির? কেন দর্শন দিয়েই ডুবে যান দেবাদিদেব?
আপনি স্টুডেন্ট মানে আপনার টিচার বা প্রফেসর আপনার থেকে অনেকটাই বড়। তিনি হয়তো আপনার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছেন একদম প্রফেশনাল জগতের নিয়ম মেনেই। কিন্তু আপনি বিষয়টাকে ঠিকভাবে ধরতে পারেন নি। এমনটা হামেশাই হয়ে থাকে।
প্রফেসরের বা সুন্দরী অধ্যাপিকার প্রতি আপনি দুর্বল?
জীবনে সবার আগে ঠিকমতো পড়াশোনা করা দরকার। হতেই পারে কোন একজন ম্যাডামের প্রতি আপনি দুর্বল। তাহলে তাকে খুশি করতে হলে সবার আগে খুব ভালো করে পড়াশোনা করে সেই সাবজেক্টটা দারুন নম্বর পেয়ে পাশ করুন। এতে তিনি বুঝবেন যে হ্যাঁ, আপনি পড়াশোনাতে ভালো।
মনে রাখবেন গুণের পরিচয় কিন্তু সবসময় কাজে লাগে। কথাটা জ্ঞানের মত শোনালেও এটার কিন্তু পরীক্ষিত প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপনার অনুভূতির কথা আপনার এমন কোনও বন্ধুকে বলবেন না যা থেকে জল ঘোলা হয়। প্রয়োজনে সেই প্রফেসরের সঙ্গে খোলাখুলি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করুন আপনার মনের অবস্থা বোঝান।
আরো পড়ুন – Black Magic : শিশুরা বলে চলেছে তন্ত্র মন্ত্র! গ্রাম জুড়ে শুধুই কালা জাদু, কোথায় এমন হয় বলুন তো?
তবে সব থেকে বেশি যেটা দরকার সেটা হলো আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার উল্টো দিকের মানুষটি আপনার সম্পর্কে একই রকমের টান বা আকর্ষণ না অনুভব করতে পারে। এমনটা যদি হয় তাহলে বাস্তবটা মেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখতে হবে।
আরো পড়ুন – কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ! জানেন এই নিয়ম আছে ভারতের একাধিক মন্দিরে
আমরা বলছি না প্রেম বা ভালোবাসা বয়সের থেকে বেশি মানুষের সঙ্গে হয় না, কিন্তু সবকিছুর একটা নিয়ম বা নীতি আছে। এক্ষেত্রে সমাজ একটা বড় ভূমিকা নেয়। প্রাথমিকভাবে হয়তো আপনি বিষয়টা বুঝতে পারছেন না সেক্ষেত্রে ভালো কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি আবার যেন প্রেমে আঘাত পাওয়া কোনও ব্যর্থ দেবদাস না হন, মাথায় রাখবেন।
সব সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে একটা ভালো বন্ধুত্ব। যদি সেটা বজায় রাখতে পারেন তাহলে সম্পর্ক সুন্দর হবে। আর ভবিষ্যতের কথা কে বা বলতে পারে তাই না?