Facebook is officially banned: আপনি কি জানেন ফেসবুক বিহীন দেশ রয়েছে এই বিশ্বে? ভাবুন কি অদ্ভুত কান্ড এই ফেসবুকের এত জনপ্রিয়তার সত্ত্বেও নাকি ৫ দেশে ফেসবুক চলেনা? সেই দেশের নামগুলো জানা দরকার। জানুন বিস্তারিত
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মানে সবার আগে যে নামটা উঠে আসে সেটা হল ফেসবুক। এখন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বাবাও ফেসবুকে যথেষ্ট সক্রিয়। দূরের মানুষ কি কাছের করে দিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম।
ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ফেসবুক নিষিদ্ধ:
আপনি যার সঙ্গে হয়তো কথাও বলতে পারেন না বা যোগাযোগ করতে পারেন না সেই মানুষটির সমস্ত আপডেট সোশ্যাল মিডিয়ায় পেয়ে যান। এতে তার সম্পর্কে জানতেও পারেন এবং কোথাও একটা যোগাযোগ স্থাপন হয়ে যায়। ফেসবুক অনেক স্মৃতিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং মানুষ বিভিন্ন স্মৃতিকে ফেসবুকের মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
আজকের দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠাতে কে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যদি মোবাইলে হাজার একটা কাজ হয় তার মাঝে একটা কাজ হল ফেসবুকটা চেক করে নেওয়া। অথচ ভাবুন কি অদ্ভুত কান্ড এই ফেসবুকের এত জনপ্রিয়তার সত্ত্বেও নাকি ৫ দেশে ফেসবুক চলেনা? সেই দেশের নামগুলো জানা দরকার আর কেন চলে না সেটাও একটু বুঝে নেবার পালা (Facebook is banned despite its popularity)।
ফেসবুক নিষিদ্ধ দেশগুলোর নাম জেনে নিন:
সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক সংস্থার মালিকানা রয়েছে মেটার হাতে। এটি আসলে একটি আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি সংগঠন। এই সংগঠনের সদর দফতর বর্তমানে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অবস্থিত। ফেসবুকের আবিষ্কারক অবশ্যই মার্ক জুকারবার্গ।
মেটা সংস্থার অধীনে যেমন facebook রয়েছে তেমনি রয়েছে whatsapp এবং instagram। জনপ্রিয়তার জন্যই facebook সারা বিশ্বের পরিচিত একটা নাম। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে facebook কে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – CBI Officer: আপনি কি সিবিআই অফিসার হতে চান? এই চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি জেনে নিন
এই তালিকার সবার আগে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের নাম। জিনপিং এর দেশে ফেসবুক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে শুরু থেকেই যেটা নিষিদ্ধ ছিল এমনটা নয় ২০০৯ সাল থেকে এই ফেসবুক ব্যবহার করা যায় না পাশাপাশি বিভিন্ন ভিডিও বা মেসেজ শেয়ার করার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামকেও ব্লক করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – Rachna Banerjee: দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা ব্যানার্জী নতুন ব্যবসা খুলছেন? কি সেই ব্যবসা?
এই তালিকায় দ্বিতীয় নামটি হল উত্তর কোরিয়া। ২০১৬ সাল থেকে এখানে facebook কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে এখানকার মানুষ যোগাযোগ করতে না পারেন তা সরকারের তরফ থেকে কঠিন পদক্ষেপ করে সজাগ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন – Indian millionaires: ভারতীয় কোটিপতিরা কি দেশ ছাড়ছেন? কী ব্যাপার বলুন তো?
২০০৯ সালে বিতর্কিত নির্বাচন এবং গণবিক্ষোভের কারণে ইরানে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। কি উপাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক নিষিদ্ধ না করা হলেও এই রাষ্ট্রে ফেসবুক ব্যবহার করা খুব কঠিন ব্যাপার (Facebook is officially banned)।
শুধুমাত্র সাংবাদিকরা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এবং স্টুডেন্টরা প্রয়োজনের জন্য বাড়ি থেকে এই ফেসবুক এক্সেস করতে পারেন। এই তালিকায় আমরা সর্বশেষ জানাবো তুর্কমেনিস্তান দেশের কথা কারণ তথ্য বলছে প্রাক্তন সোভিয়েত মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্র তুর্কমেনিস্তানেই ফেসবুক-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৷
আরো পড়ুন – হঠাৎ করে টিসিএস এ কেন মহিলাদের গণ ইস্তফা? ঠিক কি ব্যাপার বলুন তো?
এই দেশে আরো একটা অদ্ভুত নিয়ম আছে যা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আসলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাতে নিষিদ্ধ সাইটগুলিতে অ্যাক্সেস করার প্রবণতা না জন্মায় সেই জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়।