Breaking Bharat: হ্যাঁচ্চো! একবার? না না আরও বার দুয়েক, চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব কেন? হাসির মধ্যে একটা প্রশস্তি আছে সেটা একবারেই আসে না। দু-তিনবার না হলে তৃপ্তি লাগে না, সহমত পোষণ করবেন তো?
সমস্যা একটাই, হ্যাঁচ্চো করার মধ্যে যে তৃপ্তি সেটা নিজেই দেখা যায় না। যাবেই বা কী করে, চোখ বন্ধ হয়ে যায়। এমনটা হয় কেন, কখনো এ প্রশ্ন করেছেন নিজেকে ?
চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব কেন?
কথায় আছে এই পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাই সেই সূত্র ধরেই বলা যায় চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব বোধহয় নয়। কিন্তু কঠিন যে , সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শরীর নিয়ে যখন কথা তাহলে তো শারীরবিদ্যার ভাষাকেই মেনে নিতে হয়।
দেখুন হাঁচি আমাদের শরীরের একটি প্রতিবর্ত ক্রিয়া। মানে কিছু একটা শরীরের সঙ্গে ঘটলে শরীর তৎক্ষণাৎ যে আচরণ করে তাকেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
একটু উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই যেমন ধরুন আপনার চোখে হঠাৎ করে ভীষণ আলো পড়লে যেমন চোখ কুঁচকে যায়। বা ধরুন আপনি খালি পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন ,পায়ের নিচে কিছু একটা লাগলো আর আপনি সঙ্গে সঙ্গে পা সরিয়ে দিলেন।
গরমে হাত পড়লে যেমন আমরা সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিই, ঠিক তেমনই হাঁচি দেওয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায় (eyes close when sneezing)।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হাঁচি হয় কেন? (Why sneeze)
উত্তরটা বেশ সহজ। কোন ক্ষুদ্র বস্তু যেমন, ধুলো, বালি, ফুলের রেণু বা বাইরে থেকে অন্য যে কোনো ক্ষুদ্র কণা নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলেই আমরা হাঁচির মাধ্যমে বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করি।
এছাড়াও বিভিন্ন অ্যালার্জি থেকে বা ধরুন রান্না করার সময় বিভিন্ন মশলা নাকে প্রবেশ করলেও হাঁচি হতে পারে (May cause sneezing)। অর্থাৎ হাঁচির মাধ্যমে শুধু বায়ুই নয়, আমরা এই সমস্ত ছোটো ছোটো ধূলিকণাগুলিকেও শরীর নিজে থেকেই বাইরে বের করে দেয়।
আরো পড়ুন- Loves to crack fingers: আঙুল ফাটাতে ভালবাসেন? আঙ্গুল ফোটালে হাড়ে শব্দ হয় কেন ?
এবার চোখ বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে আসি। মস্তিষ্কের যে অংশটা হাঁচির দায়িত্ব নিয়ে আছে সেখানে হাঁচির সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে সংকোচন হয় মানে পেশী কুঁচকে যায় বা প্রসারিত হয়। ফলে চোখ ,চোখের পাতাও সংকুচিত হয়ে পড়ে।
তাই স্বাভাবিকভাবেই চোখ বন্ধ হয় অনেক সময় চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে। এখন প্রতিবর্ত ক্রিয়া আমাদের শরীরে কেন হয় এটার সঠিক ব্যাখ্যা হয়তো দেওয়া মুশকিল। চিকিৎসকেরা যে বিষয়টির ওপর জোর দেন তা হচ্ছে প্রতিরক্ষা।
আরো পড়ুন- Eyes are jumping: ডান চোখ না বাঁ চোখ ? কোন চোখ লাফাচ্ছে ? চোখের সমস্যা না তো?
মানে নিজেকে রক্ষা করতে ভেতর থেকে একটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়া, এটাই প্রতিবর্ত ক্রিয়া। হাঁচির সময়, আমাদের শরীরের ভিতরের বায়ু প্রায় ১০ কিলোমিটার থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বেরিয়ে আসে।
এই সময় অন্যান্য যে সমস্ত পার্টিকেল বাইরে আসে তা যাতে ফের চোখের ভিতর প্রবেশ করে যাতে সংক্রমণ ঘটাতে না পারে তার জন্যই এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্ম।
আরো পড়ুন- ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাক ডাকেন? আচ্ছা চোখ খুলে নাক কেন ডাকেন না? Breaking Bharat
আমাদের এই প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য থেকে সম্পর্কিত সূত্র গুলি বের করা হয়েছে। নানা মাধ্যম থেকে এগুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল। যদি এই সবের সত্যতা যাচাই নিয়ে প্রশ্ন থাকে তাহলে বিজ্ঞানের শরণাপন্ন হতে হবে আপনাকে।