Breaking Bharat: আপনার ‘বাড়ির বাচ্চা’ কি দুষ্টু? কিছুতেই কথা শুনছে না? ‘বাচ্চা সর্বক্ষণ জেদ’ করছে?বাড়ির বাচ্চা যদি এটা চাই ওটা চাই করে তাহলে তাকে কোন কিছুই দেবেন না। এটা আমরা নই বিশেষজ্ঞরা বলছেন। বাচ্চার সব সময় যদি জেদ করতে থাকে তাহলে তাকে পাত্তা দেবেন না।
এরকম করলে হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। আপনার বাড়ির বাচ্চা কে বুঝতে দিন আপনি আজ ভালো নেই বা আপনার শরীর খারাপ। সে যখনই যেটা চাইবে তখনই সেটা তাকে দিলে সে কোনদিনই ভালো বাচ্চা হবে না সবাই তাকে খারাপ বলবে।
বাচ্চাদের দুষ্টুমি কমানোর উপায়:
বাইরের লোকেরা যদি বলে ‘আপনার বাড়ির বাচ্চা খারাপ‘ তাহলে কি শুনতে ভালো লাগবে? মা বাবা দাদু ঠাকুমা প্রত্যেকেই বাচ্চাকে ভালোভাবে মানুষ করতে হলে তার সব জেদ এবং চাওয়াকে প্রশ্রয় দেবেন না। মনে রাখবেন যে বাচ্চা সারাক্ষণ এটা চাই ওটা চাই বলে জেদ করে না দিলে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে তাকে মোটেও কেউ ভালো বলে না।
তাই তাকে বোঝান সে যখন যেটা চাইবে তখন সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। সে কান্নাকাটি করুক আর জেদ করুক তাকে কোনমতেই গুরুত্ব দেবেন না তাকে এড়িয়ে চলুন। বাড়ির বাচ্চা কে বুঝিয়ে দিন সবার আগে তাকে পড়াশোনা করে বড় হতে হবে (You have to study and grow up)। সে যদি পড়াশুনা করে ভালো রেজাল্ট করে তাহলে সবাই তাকে এমনি ভালবাসবে। পরীক্ষার খাতায় নম্বর পাওয়াটা দরকার।
আপনার বাচ্চা খারাপ কি করে বুঝবেন?
এই বিষয়ে বলে রাখি আপনার বাচ্চা খারাপ কি করে বুঝবেন? কয়েকটা লক্ষণ হল সে কারণে অকারণে আপনাকে মিথ্যে কথা বলবে। ধরুন স্কুলে গেছে কোন একটা ঘটনা ঘটেছে বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসা না করলে সেই ঘটনার বিষয়ে আপনাকে কিছু বলবে না। কথায় কথায় মুখে মুখে তর্ক করবে।
স্কুল থেকে বারবার কমপ্লেন আসবে, যাতে মাকে বাবাকে বা বাড়ির লোককে সমস্যায় পড়তে হবে। এইসব বাচ্চারা কিন্তু ক্রমশ ‘খারাপ বাচ্চা‘ হওয়ার দিকেই এগিয়ে যায়। ক্লাসে মন দেবে না, জিনিসপত্রের যত্ন নেবে না, আপনি যদি কোন কিছু কিনে এনে তাকে উপহার দেন তাহলে সে সেটিকে সঠিকভাবে রাখবে না।
বাচ্চাকে কখনোই তার পছন্দের খাবার দেবেন না:
এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে তার সঙ্গে ব্যবহার করুন বলছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। ধরুন তার জন্য আপনি দুটো পেন্সিল কিনে এনেছেন কিন্তু সেই পেন্সিল নষ্ট করেছে বা ভেঙে ফেলেছে কিংবা হারিয়ে ফেলেছে। যদি দেখেন যুক্তিসঙ্গত কারণে ঘটনা ঘটেছে তাহলে তার পাশে থাকুন।
কিন্তু যদি দেখেন পেন্সিল ভাঙ্গা টা হারিয়ে ফেলাটা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে রাখাটা তার অভ্যাস তাহলে তাকে আর কোন কিছু কিনে দেবেন না। সে যদি ‘খাওয়া নিয়ে জেদ‘ করতে থাকে তাহলে কখনোই তাকে পছন্দের খাবার দেবেন না । তাকে বুঝতে হবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবকিছুর একটা রুটিন আছে।
ভালো বাচ্চারা কখনোই হাতের সামনে সবকিছু পায়নি:
যখন তখন এটা ওটা খাওয়া মানে শরীর খারাপ হওয়া। আর তাতে ভোগান্তি বাড়ির লোকের কম নয়। এছাড়া অসুস্থ হলে বাড়ির বাচ্চাটি নিজেও কষ্ট পাবে। শিশু সকলেই ভালোবাসে কিন্তু তাই বলে আপনার ভালোবাসার সে যেন সুযোগ না নেয়। যা খুশি আবদার করলে সেটা তখনই দেওয়ার কোন দরকার নেই।
জীবনে যারা ভালো বাচ্চা হয়েছে তারা কখনোই হাতের সামনে সবকিছু পায়নি। তাদেরকে কষ্ট করতে হয়ে যায়। তাকে কোনদিনই নিজে থেকে কিছু চয়েস করতে দেবেন না ছোটবেলায়। বাচ্চা ছোট মানে আপনি তাকে যা জামা কিনে দেবেন যে রং এর কিনে দেবেন সে সেটাই পরবে তার কোন অধিকার নেই এটা করব ওই রংটা চাই বলে চিৎকার করার।
বাড়ির বাচ্চাকে ঠিক আর ভুলের বিচার শেখান:
আপনার বাড়ির বাচ্চাকে সুন্দরভাবে মানুষ করতে হলে তাকে ঠিক আর ভুলের বিচার করতে শেখান। বয়স একটা সংখ্যা মাত্র ছোট বাচ্চা বলে আর যেটা হেসে খেলে উড়িয়ে দিচ্ছেন বড় হলে সেটাই তার স্বভাব হয়ে যাবে। সবার আগে এটা চাই ওটা চাই এই মানসিকতা বাচ্চা থেকে দূরে সরাতে হবে।
আরো পড়ুন – বাচ্চা একদম কথা শুনছে না? একটু সাবধানে থাকুন! ‘বাচ্চার জেদ নিয়ন্ত্রণ’ করুন এখনই
ভালো শিশু তৈরি হতে গেলে পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ গান আঁকা আবৃত্তি সবেতেই পারদর্শী হতে হবে। চেষ্টা করে দেখুন আপনার বাচ্চা কিসে বেশি আগ্রহ পাচ্ছে। সে যেটা করতে চায় সেটা যদি সে সঠিকভাবে করতে পারে অর্থাৎ সিরিয়াসলি করে তাহলে সেটা করতে দিন।
বাচ্চাকে কোন চয়েজ দেবেন না। ছোটবেলা থেকে বাইরের খাবার বেশি খেতে দেবেন না। মাথায় রাখুন পুজো হোক কিংবা আনন্দ উৎসব প্রত্যেকদিন তার পড়াশোনা করা দরকার। সকালে নির্দিষ্ট করে পড়াশোনা রাতেও নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করতেই হবে। তারপর বাকি কাজ।
আরো পড়ুন – চাকরির পরীক্ষা? ‘ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার আগে’ জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ টিপস!
তা না হলে সে চর্চায় থাকবে না কিংবা আগের ক্লাসের পড়া পরের ক্লাসে ভুলে যাবে। বাচ্চাকে বেশি কথা বলতে দেওয়ার দরকার নেই যখন বড়রা কথা বলবে তার মাঝে যদি বাচ্চা কথা বলে তার মানে বুঝে যাবেন সেই বাচ্চাটি খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
ডাক্তাররা বলেন শিশুকে তার মতই থাকতে হবে সে বড় বড় আচরণ করলে তার মানে আপনার চিন্তার কারণ। ধরুন একটা বাচ্চা আপনার থেকে কিছু চেয়েছে তা কি তখনই সেটা দিয়ে দিলে সে ভবিষ্যতে আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন – কাজের জায়গায় যদি ‘নারীকে সফল’ হতে হয়, তাহলে কয়েকটা বেদ মন্ত্র মেনে চলতেই হবে
তাকে শাসন করুন তাকে বকাবকি সময় সে যদি কান্নাকাটি করে তাহলে তার পাশে গিয়ে আহা উহু করার কোন দরকার নেই। প্রয়োজনে তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়াটা দরকার যাতে সে ভবিষ্যতে একজন মানুষ হিসেবে সঠিক শিক্ষা পায়।
ধরুন যে বাচ্চাটার বয়স তিন বছর, তাকে কিন্তু তখন থেকেই আপনাকে তৈরি করতে হবে ।এরপর ৪,৫, করে এইভাবে বয়স বাড়তে থাকবে। কিন্তু অভ্যাস তৈরি না হলে সে আরো খারাপ হয়ে যাবে। আপনার বাচ্চার সঙ্গে গল্প করুন কিন্তু সেটা পড়াশোনার বিষয় বা স্টোরি বুকের গল্প।
আরো পড়ুন – ননদ আর বৌদির সম্পর্ক! দাদা বৌদির মান অভিমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ননদ
পাশের বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে বা অন্য বাড়িতে কে কি করতে পারছে সেই নিয়ে তার কথার কোন উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। তাকে বলে বখাটে বাচ্চা। সন্তানের উপর জোর করে কিছু করার বা করানোর দরকার নেই।
- বাচ্চাদের দুষ্টুমি কমানোর দোয়া
- বাচ্চাদের দুষ্টুমি কমানোর উপায়
- চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত করার উপায়
- বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ
- শিশুর অতিরিক্ত দুষ্টুমি
- বাচ্চাদের মারলে কি হয়
- বাচ্চাদের শান্ত করার দোয়া
- শিশুর কান্না বন্ধের আমল
কিন্তু তার সাথে এমন ব্যবহার করুন বা তার চারপাশের পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করুন যাতে সে যদি কোন ভুল পথে এগোবার কথা ভাবেও তাহলেও যেন তার সংস্কার এবং শিক্ষা তাকে আটকে দেয়। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।