Breaking Bharat: অফিস পলিটিক্স! নিজেদের মধ্যে রেষারেষি থেকেই শুরু হয় এই অফিস পলিটিক্স? অফিসে কাজ করলে রাজনীতিকে এড়িয়ে চলতে পারা যায় কি? মাঠে ময়দানে নেমে হাল্লা বোল নয় আমরা বলছি অফিস পলিটিক্স এর কথা (examples of negative office politics)!
(অফিসে যারা কাজ কর্ম করেন তারা নানা ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানে একাধিক মানুষের সঙ্গে থাকতে থাকতে রেষারেষি তৈরি হয়ে যায়। আর এখান থেকেই শুরু হয় রাজনীতি বা পলিটিক্স।)
অফিস পলিটিক্স (office politics examples):
বাঙালি হোক বা ও বাঙালি বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই এমনকি দেশে বিদেশে ওতপ্রতভাবে মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে। একে ছাড়া জীবন কোনভাবেই এগিয়ে যেতে পারে না। বিভিন্ন দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করে পলিটিক্স করা হোক, বা ধরুন টেলিভিশন চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা বলা।
এক একটা রাজনীতির একেক রকমের স্টাইল হয়। দিদি আর মোদি তে আটকে নেই গোটা বিশ্ব। এর বাইরে কি নানা ধরনের পলিটিক্সের প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অফিস পলিটিক্স। কেমন হয় এই ধরনের ‘পলিটিক্সের শিকার‘ হওয়ার অনুভূতি (victim of office politics)?
অফিসের কাজ কর্ম থেকেই শুরু হয় এই অফিস পলিটিক্স!
অফিসে যারা কাজ কর্ম করেন তারা নানা ধরনের ঘটনা সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানে একাধিক মানুষের সঙ্গে থাকতে থাকতে রেষারেষি তৈরি হয়ে যায়। আর এখান থেকেই শুরু হয় ‘রাজনীতি বা পলিটিক্স‘। কি ঠিক কি ভুল কাকে কতটা গুরুত্ব বা পরিশ্রমিক দেয়া উচিত তা নিয়ে অবিরাম চলে আলোচনা সমালোচনা।
আসলে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে সেই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে রাজনৈতিক দোলাচল। কে কতটা কাজ করছে আর তার জন্য কতটা মূল্য পাচ্ছে তা নিয়ে চলে নিজেদের মধ্যে হিসেব নিকেশ। এর সঙ্গে রয়েছে একে অন্যের ব্যাপারে নালিশ করা, অন্যের কাজের ভুল ধরা ইত্যাদি (types of office politics)।
অফিসের কাজে বৈষম্য বা বিভাজনের জন্ম দেয়:
অফিস মানেই একটা প্রতিযোগিতার জায়গা থাকবেই কিন্তু এই প্রতিযোগিতা থেকে একটা তিক্ততা এবং কোথাও গিয়ে বৈষম্য তৈরি হয় যা বড়সড়ো বিভাজনের জন্ম দেয়। এক্ষেত্রে নিজের কাজে মন দিন অন্যের কাজের ব্যাপারে নাক গলাতে যাবেন না।
আরো পড়ুন – মন খারাপ? কোনও কিছুই ভালো লাগছে না? দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে? তাহলে উপায়?
তিনি যে কাজটি করছেন তার জন্য অফিস কতটা পারিশ্রমিক ধার্য করেছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সেই ব্যক্তি এবং অফিসের যিনি মালিক অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে। এই রেষারেষি এবং হিংসার পরিবেশ তৈরি করে অফিসের পরিস্থিতিকে অস্বস্তিকর করে তোলার কোন মানেই হয় না (Making the office situation uncomfortable)।
আরো পড়ুন – জন্ম দাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন? শরীরের অযাচিত জায়গায় তিল? এবার হাতেই রয়েছে সমাধান
অফিসে একে অন্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার:
সকলে মিলে কাজ করতে গেলে ঠিক ভুল তর্ক-বিতর্ক আলোচনা সমালোচনা সবটাই হবে কিন্তু মাথায় রাখা দরকার এই সব কিছুর কোন খারাপ প্রভাব যেন কারোর ক্যারিয়ারে বা ব্যক্তিগত জীবনে না পড়ে।
এই যে অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের কাজের জায়গায় বিশেষ সুবিধা ও মনোযোগ লাভের জন্য একে অন্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন (Abuse of power against each other in the office)।
আরো পড়ুন – work pressure : কাজের চাপ আর টেনশন নিয়ে জেরবার? মুশকিল আসান এক মুহূর্তেই!
এর ফলে মাথার মধ্যে সবসময় জটিল কুটিল প্যাঁচ ঘুরতে থাকে। চেষ্টা করুন না এই সব থেকে একটু দূরে থাকার। পারলে নিজের কাজে মন দিন নিজের ক্যারিয়ার আরো এগিয়ে নিয়ে যান। সব সময় অন্যের কথা ভাবলেই আপনি নিজে কোনদিনই ভালো থাকতে পারবেন না।
অফিসে আপনার সমস্যা ও পদোন্নতি নাও হতে পারে:
আর আপনার নিজের ভালো থাকার জন্য অন্যের খারাপ থাকা কোন ভাবেই দায়ী নয়। তাই নিজের কর্মটুকু নিজের করুন বাকিটা কিছুটা সময়ের হাতে কিছুটা ভাগ্যের হাতে ছাড়তে হবে। মাথায় রাখবেন আপনি যদি সৎ এবং পরিশ্রমী হন তাহলে হয়তো আপনার সমস্যা হবে অফিসে পদোন্নতি নাও হতে পারে কিন্তু মানুষ হিসেবে খুব খারাপ আপনি থাকবেন না।
আরো পড়ুন – work at night : অফিসের নাইট ডিউটি ! দিনের পর দিন ‘রাত জেগে কাজ’ করলে সুস্থ থাকবেন কী করে ?
এমন নয় যে বিলাসবহুল জীবন বা সুস্থ জীবন থাকবে তবে যে বিপদে আসুক না কেন কোন না কোন ভাবে ঠিক সেটা কেটে যাবে। অতএব নিজের ওপর এবং ঈশ্বরের ওপর অর্থাৎ আপনি যাকে বিশ্বাস করেন যদি ঈশ্বরকে বিশ্বাস না করে কোন শক্তিকে বিশ্বাস করে থাকেন তার উপরই আস্থা বজায় রাখুন ভালো থাকবেন।