Breaking Bharat : বিভিন্ন সুযোগ, সুবিধা বা পরিষেবার কথা মাথায় রেখে নতুন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট (Bank Account) খোলেন অনেকেই। কিন্তু পুরনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ে ভেবেছেন কখনও?
অনেকেই হয়তো ভাবেন, পুরনো অ্যাকাউন্টে তো আর লেনদেন হয় না। তাহলে আবার সমস্যা কোথায়? কিন্তু সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত। অব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জেরে গ্রাহকের অজান্তেই বাড়ে খরচ। শুধু খরচই নয়, এর ফলে ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়া বা অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখেও পড়তে হয় গ্রাহককে। কীভাবে বাড়ে খরচ? কীভাবেই বা এই সমস্যার সমাধান করবেন?
ব্যাঙ্কিং নিয়ম অনুসারে, কোনও অ্যাকাউন্টে যদি টানা একবছর কোনও লেনদেন না হয়, সেগুলি ইনঅ্যাক্টিভ বা নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে যেসমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টানা দু’বছর ধরে কোনও লেনদেন হয় না, সেগুলি ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুসারে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই বিষয়ে হয়তো অনেকেই জানেন। তবে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে কী, কী সমস্যা?
১. একাধিক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষন করা হয় সবচেয়ে কঠিন। কারণ সেগুলির মেইনটেনেন্স চার্জ, ডেবিট কার্ড, এসএমএস চার্জ ছাড়াও ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার মতো একাধিক নিয়ম বহাল থাকে। সেদিক থেকে গ্রাহকের যতগুলো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে থাকে, ততগুণ চার্জের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। উদাহরণ হিসেবে ব্যাঙ্কে ন্যূনতম ব্যালেন্স সংক্রান্ত চার্জের কথা বলা যায়।
যেমন, HDFC ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে হয় ১০ হাজার টাকা, তবে গ্রামীণ এলাকার জন্য ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা রাখলেই হয়। তবে এই নিয়ম অমান্য করলে ৭৫০ টাকা জরিমানা হতে পারে। এভাবে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে মোট চার্জের রাশি আন্দাজ করত অসুবিধা হয় না।
আরো পড়ুন- Sleeping : অনিদ্রা? রাত্রে একেবারেই ঘুম আসছে না? কি করবেন জেনে নিন
২. একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে? কোনওটা ইনঅ্যাক্টিভ, কোনওটা আবার ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট। গ্রাহক কোনওরকম লেনদেন করেন না ভেবে নিশ্চিন্তে থাকেন, তবে এভাবে চলতে থাকলে সিবিল স্কোরে প্রভাব পড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সিবিল স্কোরে প্রভাব পড়লে কোনও লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক সেই গ্রাহককে ঋণ দিতে গররাজিও হতে পারেন।
৩. ২৪ মাসের বেশি লেনদেন বন্ধ থাকলে ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট ঘোষণা করার নিয়ম হয়তো সবাই জানেন। কিন্তু এই ধরনের অ্যাকাউন্টে জালিয়াতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়, এটা জানতেন? সুতরাং সাবধান!
৪. একাধিক অ্যাকাউন্টের জেরে ঝক্কি পোহাতে হয় রিটার্ন ফাইল করার ক্ষেত্রেও। আয়কর পরামর্শ দাতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, যদি একটি ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট থাকে তবে রিটার্ন দাখিল করা অনেক সহজ হয়।
আরো পড়ুন- Post office : ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করতে চান?
৫. চাকরির সূত্রে স্যালারি অ্যাকাউন্ট থাকে অনেকেরই। কর্মক্ষেত্র বদলালে অনেকসময় স্যালারি অ্যাকাউন্টও বদলে যায়। সেক্ষেত্রে পুরনো স্যালারি অ্যাকাউন্টকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে বদলে দেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
অর্থাৎ গ্রাহকের অজান্তেই চার্জ বাড়তে থাকে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টের খাতে। এক্ষেত্রে একের বেশি অ্যাকাউন্ট যদি বেসরকারি ব্যাঙ্কে থাকে, তাহলে তো চাপ আরও বেশি। মেনটেইনেন্স চার্জ-সহ অন্যান্য চার্জে জেরবার দশা হয় গ্রাহকের। অযথা ফাইন গুনতে হয় গ্রাহককে।