Breaking Bharat: দেশে কি এবার খরা আসতে চলেছে? সাত বছর পর ফিরে এল উষ্ণস্রোত। প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণস্রোত নিয়ে বাড়ছে চিন্তা! এবার কি বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে? জানুন বিস্তারিত
দেশে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই আছে। বিশেষ করে ঝড় আর একটু বেশি বৃষ্টি মানেই বন্যার ভ্রুকুটি । তবে এবার কিন্তু অন্য রকমের টেনশন বাড়ছে। পরিবেশে বড় বদল আসছে। আর চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগর। ফিরে এল উষ্ণস্রোত। কী এই নিনো, কেউ কি জানে? এর সঙ্গে খরা কিংবা প্রকৃতির ঠিক কতটা সম্পর্ক আছে?
প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণস্রোত নিয়ে বাড়ছে চিন্তা!
আমরা আপনাদের জানাতে চাই পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে কোনও কোনও বছর উষ্ণ দক্ষিণমুখী এক স্রোতের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাব পড়ে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র এবং সারা বিশ্বের আবহাওয়ায়। সাত বছর পর ফিরে এল উষ্ণস্রোত। এবার বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। কেন সেটাই বিস্তারিত জানাব আপনাদের।
যারা পরিবেশ নিয়ে কিংবা ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করেন তাঁরা সমুদ্রের জলের গতিবিধির দিকে নিয়মিত নজর রাখেন। নিনো নামটা তাঁরা ছাড়া আর কেউ খুব একটা জানেন না হয়তো বা। ভূগোল বলছে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে পেরু, ইকুয়েডর বরাবর কোনও কোনও বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ এক প্রকার উষ্ণ দক্ষিণমুখী স্রোতের সৃষ্টি হয় তারই নাম হল এল ‘নিনো‘।
এল নিনো কি? নিনোর প্রভাবে কি বিপর্যস্ত হয় প্রকৃতি?
এটা আসলে স্প্যানিশ শব্দ। আবার পেরু, ইকুয়েডর উপকূলেই মাঝেমাঝে এল নিনোর বিপরীত একটি শীতল স্রোত সৃষ্টি হয়। তার নাম হল ‘লা নিনা’। দুই বিপরীত স্রোতে বিপর্যস্ত হয় প্রকৃতি। এর প্রভাব পড়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ায়। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে বিজ্ঞানীদের মতে ‘এল নিনোর প্রভাবে‘ পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তরমুখী শীতল পেরু স্রোত বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আরো পড়ুন – দিল্লির হেড কনস্টেবল কী ভাবে সাফল্য পেলেন? কী তার নাম, কীভাবে বদলালো জীবন?
যে কারণে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র সাময়িক ভাবে ঘেঁটে যায়। আমেরিকার ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনস্ট্রেশন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনোর দেখা মিলেছে। মাঝে ২০০০ সাল থেকে ধরলে এই নিয়ে পঞ্চম বার উষ্ণ স্রোতটির আবির্ভাব হল (el nino returns after seven years in pacific ocean)।
আরো পড়ুন – বিশ্বকাপ দেখতে আর পয়সা লাগবে না? কোন পদ্ধতিতে বিনামূল্যে খেলা দেখতে পারবেন আপনি?
এর প্রভাবে আয়নবায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে। এই বাতাস এশিয়ার দিকে আসার পরিবর্তে পশ্চিম আমেরিকার উপকূলেই থেমে যায়। যার জেরে নিরক্ষরেখা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের জল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ থাকে।
ভারতে গত ১০০ বছরে আপনি ১৮ বার খরা হয়েছে । কিন্তু জানেন কি ১৩টির নেপথ্যেই রয়েছে এল নিনোর হাত। প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ জল অতীতে আমাদের দেশে খরা ডেকে এনেছে বার বার। হিসেব বলছে ১৯০০ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরে সাত বার এল নিনোর সৃষ্টি হয়েছিল।
আরো পড়ুন – গরমের চরম অস্বস্তিতে কেমন ব্রা পরলে মিলবে স্বস্তি? অন্তর্বাস নিয়ে কথা বলতে কেন এত সমস্যা?
কিন্তু ১৯৫১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এর দেখা মিলেছে অন্তত ১৫ বার। এই এল নিনোর কারণে এই ১৫টি বছরে ৯ বার ভারতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। যে কারণে গরমে হাঁসফাঁস করার মতো অবস্থা দিন দিন বাড়ছে। আবারও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে খরা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।