Breaking Bharat: জোম্যাটো, সুইগির ডেলিভারি কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক কী? অবাক করা সমীক্ষার রিপোর্ট! আজ আপনার অনলাইন অ্যাপে অর্ডার করা খাবার হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়া মানুষের কথা বলব আপনাকে।
আমরা এমন একটা সময়ে বাস করি যেখানে শিক্ষার থেকে উজ্জ্বলতা পায় বেনারসি শাড়ির ফুলকি আর বুদ্ধির চেয়ে দীপ্তিমান হয়ে ওঠে অন্ধকারের হীরে জহরত! এই কথা আমরা নয় বলছেন সাহিত্যিকরা। আসলে আজকাল যারা ক্ষমতায় থাকা মানুষ তাদের প্রতি এতটুকু অসম্মান না করেই বলা যায় যে সব সময় তাদের যোগ্যতা মতো পদ তারা পান না।
কারণ আমাদের দুর্ভাগ্য যে শীর্ষ স্থানে থাকা নেতৃত্বের শিক্ষার নিরিখে অনেক আম আদমির থেকে পিছিয়ে আছেন। কিন্তু ভাগ্য বলেও একটা ব্যাপার আছে বটে তাই হয়তো সেই কারণের জন্যই এমন পার্থক্য। এবার তারসঙ্গে যদি বুদ্ধিমত্তা জুড়ে দেন তাহলে ছবিটা পাল্টে যাবে। এত কথা বলার কারণ আশা করছি শিরোনামেই কিছুটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
জোম্যাটো, সুইগির ডেলিভারি কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা:
যাদের ডেলিভারি বয় বলে গুরুত্ব দিতে পারেন না আপনি তারাই শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে অনেক মানুষ কে মোটা মাইনের অফিসারের পিছনে ফেলে দেবে। নাহলে ভাবতে পারেন শিক্ষাগত যোগ্যতা ঢের বেশি এমন কর্মীর হার ৩৯.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে? আজ আপনার অনলাইন অ্যাপে অর্ডার করা খাবার হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়া মানুষের কথা বলব আপনাকে (Educational Qualification of Delivery Staff)।
ভাবতে অবাক করার মতো তথ্য হলেও এটাই সত্যি যে দেশের অর্থনীতি চলছে এক পথে, শ্রমিকদের আয় তার থেকে শত যোজন দূরে। দেখবেন পিঠে ব্যাগ নেওয়া, লাল জামা পরা জটলা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এটা প্রতি দুটো বা তিনটে পাড়ার গ্যাপে দেখতে পাবেন। জানেন এটাই যে প্রমাণ করে প্রতিবছর পাশ করে বেরনো ছাত্রদের গন্তব্য কী?
যারা একটু সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তারা অন্য জায়গায় গিয়ে কাজ করতে দুবার ভাবছেন না। এটার মধ্যে ন্যায় আছে কি অন্যায় আছে সেটা পরিস্থিতির ওপর বিচার করা হয়। কিন্তু সবাই তো আর এটা করতে পারছেন না তাই যারা যেতে পারছেন না তাদের ঠিকানা হয়ে উঠছে জোম্যাটো বা সুইগি।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
হ্যাঁ এটাই বাস্তব যে হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর বঞ্চনা হয়ে উঠছে শিক্ষিত প্রজন্মের ভবিতব্য। যারা আপনার দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের সংখ্যা কত দেশে? একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, এইমুহুর্তে Zomato এবং Swiggy-র মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে ৭ লক্ষ থেকে ১ মিলিয়ন খাদ্য সরবরাহকারী কর্মী রয়েছেন।
এবার ভাবুন চাহিদার মরশুম অনুযায়ী এই সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। আর আরও অবাক করার মতো বিষয় হল এই কর্মীদের একটা বড় অংশই গ্র্যাজুয়েট! এটাই শিক্ষার ভবিষ্যত।
আরো পড়ুন – Durga Puja: ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট এই প্রতিবেদনে দেখে নিন
একে আপনি দেশের লজ্জা বলবেন নাকি বলবেন বেকার হয়ে বসে না থেকে নিজেদের কাজ করে উপার্জনের চেষ্টা করছে যারা তাদেরকে কুর্নিশ জানানো উচিত? ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক রিসার্চের একটি গবেষণা অনুযায়ী, এই ডেলিভারি কর্মীদের প্রায় প্রত্যেকেরই স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে তারা নিজেদের যোগ্যতা মতো কাজ পাননি।
আরো পড়ুন – চন্দ্রযান-৩ মিশনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? ইসরো প্রধান এস সোমনাথের কত স্যালারি পান?
আমরা কোন কাজকে ছোট বা বড় বলছি না। কিন্তু তারা যে কাজ করেন তারজন্য এত উচ্চ শিক্ষিত না হলেও চলে যায়। আরো এক তথ্য হল এই ডেলিভারি কর্মীরা তাদের সমসাময়িকদের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি কাজ করে অথচ মাইনে দেখুন, তাদের থেকে ৮ শতাংশ কম উপার্জন তাদের বর্তমান অবস্থা।
আরো পড়ুন – আদিত্য এল ওয়ান সূর্য সম্পর্কে ঠিক কোন কোন তথ্য দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে?
গতবছর মনে ২০২২ সালে ৪ শতাংশ বেড়ে ২০,০২৬ টাকা হয়েছে।আর করোনার আগে ২০১৯ সালে প্রতি মাসে এই টাকার পরিমাণ ছিল ১৯,২৩৯ টাকা। এটা উন্নতি? না মেধার সম্মান?