Breaking Bharat: ভুঁড়ি বাড়ছে? কী করবেন? মেনে চলুন পেটের ভুঁড়ি নিজে থেকে নিয়ন্ত্রনে আসবে উপায় বলছি আমরা, মানা না মানা আপনার ব্যাপার!
মহিলা হোন বা পুরুষ সুন্দর দৈহিক গঠন সকলেই চান। কিন্তু সবসময় চাইলেই কি প্রতিকার মেলে? তাহলে আর সাহিত্যিকরা কেনই বা বলবেন ” যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না”। তবে হ্যাঁ একটা সুস্থ জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা দরকার। আর তার জন্য দরকার হেলদি লাইফ স্টাইল।
প্রয়োজনের বেশি খাবার খাওয়া একদম নয়, মোটা হওয়া চলবে না। একটা বয়সের পর পুরুষ বা নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই ভুঁড়ি বাড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। ১৫ দিন নিয়ম মেনে চলুন পেটের ভুঁড়ি নিজের থেকে নিয়ন্ত্রনে আসবে।
ওবিসিটির সমস্যা অনেকের থাকে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু নিয়ম এবং ওষুধপত্রকে সঙ্গী করতে পারলে মুক্তি মেলে সমস্যা থেকে। আজ সেই কথাই বলবো আপনাকে। যাই করুন, যাই খান – জল পর্যাপ্ত পরিমাণে না খেলে আপনার জীবনে সমস্যার শেষ থাকবে না।
পেট ও কোমর সরু রাখার জন্য কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। পর্যাপ্ত জল যতটা দরকার কোল্ডড্রিংস বা ঠান্ডা পানীয় ততটা দূরে সরান। চেষ্টা মেটানোর চক্করে শরীরে বড় সমস্যা তৈরি হয়, জল না খেয়ে জলের বিকল্প হিসেবে কোল্ডড্রিংস বা অন্য ঠান্ডা পানীয় খেলে।
এর থেকে ভুঁড়ি বাড়তে পারে, সে খেয়াল আছে? আসলে শরীরে যে জলাভাব ঘটে তার পরিণামে শরীরের বিভিন্ন টিস্যু তাদের অভ্যন্তরস্থ জলীয় উপাদান নিজেদের মধ্যে সঞ্চিত করে রাখে। তার ফলে কোষগুলি ফুলে য়ায় আয়তনে, এবং পেটকেও ফোলা লাগে।
কাজেই পরিমাণমতো জল খান। অনেকেই ভাবেন খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় (Eating food can make you fat) কিন্তু খাবার ঠিকমতো না খেলেও পেটের ভুঁড়ি বাড়ে! খাওয়ার সময় খাবার ঠিকমতো না চিবিয়ে গিলে নিলে তা হজম হতে সময় লাগে, পরিপাক প্রক্রিয়ার গতিও ধীর হয়ে আসে। পরিণামে পেট ফুলে যায়।
অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময়ে ভাল করে চিবিয়ে তবেই তা খাওয়া উচিত। কোন জিনিস মুখে গেলে অন্তত ২০ বার চিবিয়ে তারপর গিলে ফেলুন। অদ্ভুত শুনতে লাগলেও এটাই স্বাস্থ্যসম্মত। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাঁদের পেটেও গ্যাস তৈরি হয় (Stomach gas)। এর ফলে পেট ফুলে থাকে।
আরো পড়ুন- Adnan Sami : আদনান সামি বলিউডের বিখ্যাত গায়ক, কিন্তু আদনান সামি কিভাবে মোটা থেকে রোগা হলেন?
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর ফাইবার যুক্ত খাবার খান, দৈনিক কিছু হালকা এক্সারসাইজ করুন। আর মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা করান।বেশি প্রোটিন বা ফ্যাট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। দুধ চা এর পরিবর্তে লিকার চা বা গ্রিন টি ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন- Hard Times : জীবনে কঠিন সময় এলে তা কাটিয়ে ওঠা বড়ই কঠিন! তাহলে খারাপ সময় আসলে কি করবেন?
ভাত কম খান রুটি জাতীয় খাবারের দিকে মন দিন। যদি ফল ভালোবাসেন তাহলে সেটা সকালের দিকে খাওয়াটাই ভালো। সন্ধ্যের পর টক জাতীয় ফল যদিও বা খেতে পারেন, অন্য ফল একদম নয় । অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আরো পড়ুন- Use Zero : জীবন মানেই মহা শূন্যতা, জীবনটা একটা অঙ্কের মত, যেন শূন্যতেই সব শেষ?
সকাল বেলা উঠে হাঁটা প্র্যাকটিস করুন এবং সেটা অল্প সময়ের জন্য নয় অনেকক্ষণ ধরে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন। এতে আপনার শরীরে যদি অন্য কোনও সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রেও উপকার পাবেন, মানে এক ঢিলে দুই পাখি।
আরো পড়ুন- Titanic : টাইটানিককে বাঁচানো যেত কি? কাছের তিন জাহাজ কেন বাঁচালো না টাইটানিককে?
সবশেষে বলি বিভিন্ন সমীক্ষা, নানা জায়গা থেকে পড়াশোনা ,এসবের ভিত্তিতেই তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করা হয়। কিন্তু যেহেতু স্বাস্থ্যই সম্পদ তাই কোন কম্প্রোমাইজ না করে ডাক্তারের পরামর্শে একটা ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। সেটি মেনটেন করুন দেখবেন ভালো থাকতে সুস্থ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।