Breaking Bharat: শিকারী পাখি বলতে কাদের কথা মনে পড়ে? আপনি কি বলতে পারবেন ঈগল আর বাজ পাখি ঠিক কোথায় আলাদা? এই প্রতিবেদনে আমরা তিন শিকারী পাখি – বাজ পাখি,ঈগল পাখি আর চিলের সম্বন্ধে কিছু কথা বলবো।
প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখে ভাবছি বুঝি এখন zoology ক্লাস শুরু হবে? এমন ভাবনার কোন প্রয়োজন নেই তার কারণ আমরা প্রত্যেকদিন নিত্য নতুন ভাবনাকে আপনার সামনে নিয়ে আসার পাশাপাশি চিরাচরিত ঘটনা নিয়েও আলোকপাত করি।
আজকে অনেকটা সেই লক্ষ্য নিয়ে খুব সাধারণ একটা বিষয় অথচ তার গভীরে লুকিয়ে থাকা অসাধারণ কারন গুলো খুঁজে বের করব। ঈগল পাখি আর বাজ পাখি আমাদের খুব চেনা হলেও দুজনকে আমাদের চিনতে অসুবিধা হয় যদি এক ঝলকে দেখা যায়। এদের দুজনের মধ্যে একাধিক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু দুজনেই শিকারী পাখি হিসেবেই পরিচিত।
ঈগল পাখি – বাজ পাখি আর চিলের পার্থক্য কোথায়?
আজকের এই প্রতিবেদনে দুই শিকারী পাখি বাজ এবং ঈগলকে নিয়ে কিছু কথা। জীবনধারণের জন্য প্রতিটি প্রাণী শিকার করে। সেই দিক থেকে দেখলে সকলেই শিকারী বটে। কিন্তু বিশেষ করে এই দুটি পাখিকেই শিকারী তালিকাভুক্ত করা হয়। দাঁড়ান দাঁড়ান, তালিকা এখানেই শেষ হলো বুঝি?
আজ্ঞে না চিলকে যদি এই লিস্টে না এন লিস্ট না করা যায় তাহলে তো মহাবিপদ। তাহলে সংখ্যাটা কত দাঁড়ালো? এক দুই তিন অর্থাৎ তিন পাখির মধ্যে কার কত বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলব আজ। অনেকেই জানেন তীক্ষ্ণতা এবং ক্ষিপ্রতার বিষয়ে সবার আগে ঈগলের নাম আসে।
ঈগল পাখির বৈশিষ্ট্য কি (Eagles)?
সারা বিশ্বে এখনো পর্যন্ত মোট চার ধরনের ঈগল দেখতে পাওয়া যায়। সোনালি ঈগল, গস হক, স্প্যারো হক ও আমেরিকান ঈগল – নামে এদের চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোনালি ঈগলকে জাতীয় প্রতীক ও পাখি হিসেবে স্বীকৃত। এরা কিন্তু নিজেদের ঘর নিয়ে সচেতন থাকে। তাই একটু বেশি স্পেস ব্যবহার করে বাড়ি মানে বাসা বানাতে।
মোটামুটি ধরুন ৬ মিটার গভীর এবং ৯১ সে.মি. বেড় বিশিষ্ট পর্যন্ত এদের বাসা হতে দেখা গেছে। চোখ এবং কান দুটোই যথেষ্ট প্রখর। এই দুই অঙ্গ সংবেদনশীল হওয়ার কারণে যে কোন পাখি, খরগোশ বা ধরুন ইঁদুর জাতীয় ছোট্ট প্রাণী এদের নজরে সহজেই চলে আসে।
আরো পড়ুন – ব্যবসা মানেই কেন মাড়োয়ারিদের রমরমা? মাড়োয়ারিদের ব্যবসার গোপন রহস্যে জেনে নিন।
জলজ প্রাণী মাছ এমন কি সাপকেও ছোঁ মেরে ধরতে পারে এরা। কোথা থেকে উড়ে এসে পায়ের ধারালো নখে বর্শার মতো গেঁথে ফেলবে শিকারকে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি জানেন এই পাখি উড়ন্ত অবস্থায় নিজের খাবার খেতে সক্ষম? এরা খুব একটা বেশি মাটিতে নামতে চায় না। সারাক্ষণ আকাশে চক্কর কাটতে থাকে। শিকার দেখলে দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে।গায়ের রং হালকা বাদামি বা সোনালী , কখনো কখনো ধূসর হতে পারে।
এবার বাজপাখির বৈশিষ্ট্য জেনে নেওয়া যাক:
এবার বলি বাজপাখির কথা। ঈগলের তুলনায় এর আকারে ছোট। তবে শিকারি পাখিদের মধ্যে সবথেকে দ্রুত উড়তে পারে এরাই। দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত প্রখর। খুব দ্রুত নিজেদের টার্গেট ফিক্স করতে পারে। ধরুনউড়ন্ত কোনও পাখি যদি এদের নজরে আসে, তবে এরা পাখা গুটিয়ে নিচে নেমে আসে এবং পায়ের নখ দিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে শিকারকে গেঁথে ফেলে।
আরো পড়ুন – জিনের নাচ দেখেছেন? একটা খড়ের গাদা ঘূর্ণিঝড়ের মতো তান্ডব চালাচ্ছে, কালা জাদু নয়তো?
চিল পাখির সম্বন্ধে কতটা জানেন?
এবার বুঝি চিলের কথা। যদি গায়ের রং দিয়ে চিনতে চান, তাহলে লালচে হলুদ, গলা থেকে মাথা সাদা এবং বাহারি নৌকার দাঁড়ের মধ্যে ত্রিভুজ আকৃতির লেজ – এই বৈশিষ্ট্যকেই মাথায় রাখতে হবে। এদের দৃষ্টি শক্তিও অত্যন্ত তীক্ষ্ণ।
ভারতে যে ধরনের চিল মূলত দেখা যায় তা হল গোদা চিল, শঙ্খ চিল, ভুবন চিল এবং সাধারণ চিল। এই পাখির সঙ্গে অভিকর্ষের একটা সম্পর্ক আছে। যে কারণে দ্রুততার গতি বেড়ে যায়। টার্গেট কি লক্ষ্য করে এরা অনেক উচু থেকে নিজের সর্বোচ্চ গতি দিয়ে মাটির দিকে দ্রুত ছুটে আসে।
আরো পড়ুন – সন্তান সবার প্রিয়, কিন্তু যদি হিজড়া সন্তান হয় তাহলে? আজ আমরা বলবো হিজড়াদের কথা
আর ঠিক সেই সময় ওই গতির সঙ্গে জুড়ে যায় অভিকর্ষজ ত্বরন g, যার মান 9.81ms^-2। এই সবকিছুর জন্য গোটা বিষয়টা এত তাড়াতাড়ি ঘটে যে সহজেই সম্ভব হয়ে যায়।