Breaking Bharat: শাহরুখের নতুন ছবি ‘ডানকি’ নাকি illegalal immigration নিয়ে কথা বলবে? জানেন ‘ডানকি ফ্লাইট’ মানে কি?
শাহরুখ খানের জন্মদিনে মুক্তি পেল নতুন ছবির টিজার। কিং খান এই বছরে যে সিনেমা করছেন সেখানেই দারুণ সাফল্য পাচ্ছেন। তাই বছর শেষেও সেই ম্যাজিক অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এবার আর মারকাটারি লড়াই নয় বরং সিরিয়াস মেসেজ দিতে আসছেন শাহরুখ।
যেহেতু রাকুমার হিরানির ছবি তাই ফ্যামিলি মেলোড্রামা থাকবে আশা করাই যায়। সেই ঝলক মিলেছে টিজারে। তবে ‘ডানকি ফ্লাইট‘ কথাটা যে বারবার করে উঠে আসছে তাঁর আসল অর্থ কতজন জানেন? এটা আসলে একটা চক্র বটে। কীভাবে কাজ করে জানেন?
‘ডানকি ফ্লাইট’ কীভাবে কাজ করে জানেন?
দেখুন যুগ যুগ ধরেই বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন সব মানুষের। কেউ পারেন কারোর পক্ষে আবার সেটা সম্ভব হয় না। তবে বলাই বাহুল্য যে বিদেশ গিয়ে অর্থ উপার্জনের লোভে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের হাল ফেরাতে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ভিসার আবেদন জানান। কিন্তু সব ভিসা পাওয়া যায় না। তাই বাঁকা পথ অবলম্বন করতে হয় অনেককেই। সেই কাণ্ড টাই এবার বড় আকারে আসছে।
আসলে অবৈধ ভাবে কয়েক জন যুবক-যুবতীর ভারত থেকে লন্ডনে পাড়ি দেওয়ার গল্প বলতে চলেছে এই ছবি। অনেকেই হয়তো জানেন না যে বৈধ কাগজপত্র ছা়ড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করাকে ‘ডানকি ফ্লাইট’ বলা হয়। বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা এবং ব্রিটেনের মতো দেশগুলিতে ভারত থেকে যাওয়ার বৈধ অনুমতি না পাওয়া গেলে তখন বিকল্প পথ বেছে নেওয়া হয়।
‘ডানকি ফ্লাইট’ কথাটির জন্ম কীভাবে জানেন?
সেটা নিয়েই এত আলোচনা। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের বলছে, ভারতীয়দের মধ্যে পাঞ্জাবিরা প্রায়ই নিজেদের পছন্দের দেশে প্রবেশের জন্য অবৈধ পথ ব্যবহার করেন। ‘ডানকি ফ্লাইট’ কথাটির জন্ম পাঞ্জাবে। এর আসল মানে হল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরতে থাকা।
অনেক সময় ট্রাভেল এজেন্সি গুলো বারবার করে নকল পরিচয় পত্র বের করে দেওয়া এবং বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থাপনার কথা বলে। কিন্তু কথার কথা সবটাই। ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে এই লোক গুলো আসলে মোটা টাকা আদায় করে।
আরো পড়ুন – শাহরুখ খান কে এখনো অপছন্দ করেন সানি দেওল? দূরত্ব বাড়তে শুরু করে শাহরুখ আর সানির মধ্যে?
তবে সে দেশে পাঠানোর পর নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না তারা। সেক্ষেত্রে মূলত মালবাহী জাহাজের মাধ্যমে ভারত থেকে অন্য দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ চলে। কখনও আবার বিদেশি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অনেকে। সেক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই সেটা গণ্য করা হয়।তখন আপনাকে বিদেশে হাজতবাসও করতে হয়।
আরো পড়ুন – ভারতের কোন অভিনেতা সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক নেন জানেন? ৫ লক্ষ টাকা প্রতিদিন?
আসলে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশকারীর তালিকায় মূলত থাকেন অদক্ষ শ্রমিকেরা। ব্রিটেনে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরণের অনুপ্রবেশকারীদের প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন – পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা বাংলাদেশের নায়ক নায়িকাদেরই বেশ পছন্দ করেন কেন?
এই বিষয়ে যারা ভুক্তভুগি তাঁরা বলছেন অনেকে এমন আছেন যাদের লক্ষাধিক টাকা দিয়ে অস্ট্রিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে ট্রেনে চেপে অস্ট্রিয়া থেকে ফ্রান্স । সেখান থেকে ট্রেনের মধ্যে মালপত্র রাখার কামরায় লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধরা পড়লে ৭ বছরের জেল বটে।