Breaking Bharat: কাজ করতে ভালো লাগছে না? ‘অফিসে যেতে বিরক্তি’ লাগছে? এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়প্রফেশনাল কারণে জীবনটাকে একঘেয়ে মনে হচ্ছে? তাহলে পড়ুন এই প্রতিবেদন (I don’t feel like working anymore)
অফিসে যেতে বিরক্তি! কাজ করতে ভালো লাগছে না?
জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে রোজগার করা দরকার। কিন্তু রোজগার করতে গিয়ে যে কাজটা আপনি করছেন সেটা চাকরি হোক বা ব্যবসা বা স্বাধীনভাবে কোন কিছু করা – তার প্রতি কতটা আগ্রহ রাখতে পারছেন? অফিসে যেতে বিরক্তি লাগছে? এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। যদি এরকম ঘটনা আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার জীবনে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
জব স্যাটিসফেকশন বা কাজ করে কাজের প্রতি মুগ্ধতা না থাকলে, সেই কাজের কোন আনন্দ নেই। একদিকে একরাশ ইএমআই-এর বোঝা, অন্যদিকে আবার ‘কাজের প্রতি ভালো না লাগা‘ (Do not like work)। আর এই দুই মিলেমিশে তৈরি করে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন। ঠিক তখনই মেজাজ যায় বিগড়ে।
চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কিছু করার ভাবনা:
হুট করে ‘চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কিছু করার কথা‘ ভাবতে গেলেও কিছুটা সময় নিতে হয়। কারণ আচমকা কোন কিছু করলে তার রেশ অনেকদূর পর্যন্ত থেকে যায়। সেক্ষেত্রে যাদের চাকরিটা সংসার কে বাঁচানোর জন্য তাদের কাছে এটা একটা বড় সমস্যা। তাই আমরা বরং গুটি কয়েক কথা বলি আপনাকে।
তাহলে হয়তো বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে। কাজের জায়গার ক্ষেত্রে আপনি কী করতে চান বা পরের দিনের টার্গেট কী, সেটা ছোট্ট করে একটা নোট নিয়ে রাখুন। কোন কম্পিটিশন নয় বরং কাজটাকে সকলের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে হাসি মজা আর আড্ডার ছলে পরিবেশটাকে সুস্থ রাখুন।
‘অফিস পলিটিক্স‘ কাজের প্রতি মন উঠিয়ে দেয়:
আপনার যদি কাজে মন না লাগে তাহলে বুঝতে হবে তার পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ রয়েছে। সেটা হতে পারে কোনও অভিজ্ঞতা বা কোনও ঘটনা। সাধারণত ‘অফিস পলিটিক্স‘ কাজের প্রতি মন উঠিয়ে দেয়। এসব থেকে দূরে থাকুন।
আপনার বস যদি কোন প্রজেক্ট নিজে করতে চান তাহলে আপনি তাকে সাহায্য করতেই পারেন। এর পাশাপাশি বন্ধুত্বপূর্ণ একটা পরিবেশ তৈরি করে অন্যের কাজেও সাহায্য করুন। তবে হ্যাঁ মাথায় রাখতে হবে কেউ যেন এটার সুযোগ নিতে না শুরু করে। কাজের জায়গায় একটা স্বচ্ছতা থাকা দরকার।
আরো পড়ুন – ‘চটি গল্প’ নিয়ে আসক্তি কি বেড়েই চলেছে? এই ‘চটি বইয়ের গল্প’ আপনার ক্ষতি করছে না তো?
আর নিজের এবং চারপাশের মেজাজটাকেও সুন্দর সুস্থ স্বাভাবিক রাখা বাঞ্ছনীয়। এর জন্য নিজেকে একটু পরিপাটি করে অফিসের মধ্যে রাখা প্রয়োজন। এলোমেলোভাবে অফিসে পৌঁছবেন না বা কাজের মধ্যেও যেন তার কোনো প্রকাশ না ঘটে।
আরো পড়ুন – আপনার ‘বাড়ির বাচ্চা’ কি দুষ্টু? কিছুতেই কথা শুনছে না? ‘বাচ্চা সর্বক্ষণ জেদ’ করছে?
গুছিয়ে কাজ করতে পারলে কাজ সহজে শেষ হবে এবং ডেড লাইনের প্রেসার মাথার উপর থেকে সরে যাবে। একটানা কাজ করলে একটা বিরক্তি আসতে পারে, এটা খুব স্বাভাবিক। তাই মাঝে মাঝে ব্রেক নিন, প্রয়োজনে একটু গল্প করুন বা গান শুনুন বা এক রাউন্ড ক্যান্টিন থেকে চক্কর মেরে আসুন।
আরো পড়ুন – নাচ, গান, আঁকা, কবিতা এই সব নিয়েই আমাদের সাংস্কৃতিক! এবার নেশাই হবে পেশা! কিভাবে?
ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করা দরকার তা না হলে কিন্তু ক্লান্তি আসবে আর কাজে মন লাগবেনা। দিনের পর দিন এটা চলতে থাকলে অবসাদ আসতে বাধ্য। মাঝেমধ্যে সহকর্মীদের কাজে প্রশংসা করুন আর নিজের কাজের সময় মনোযোগ একত্রিত করে কাজ করুন। একটু সুন্দর পোশাক সঙ্গে, পারফিউম আর লাইট মিউজিক মেজাজ হালকা রাখে।
একটু এইভাবে চিন্তাভাবনা বদলে কাজ করুন তাহলে দেখবেন জব স্যাটিসফেকশন আস্তে আস্তে তৈরি হয়ে গেছে।