Breaking Bharat: এই উপহার গুলো ভুলেও কাউকে দেবেন না! তাহলে আপনার জীবনে নেমে আসবে চরম দুঃখ! উপহারের (Gift) কোনও নাম হয় না, কিন্তু উপহার দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন (Do not give these gifts to anyone)?
উপহার শব্দটার মধ্যে একটা মিষ্টি আন্তরিকতা আর ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে। কিন্তু সব উপহার সবার জন্য নয়। আবার সঠিক উপহার নির্বাচন করাটাও একটা চিন্তার বিষয়। কথাই বলি কি উপহার দেয়া হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যিনি দিচ্ছেন তিনি কেমন মানসিকতার মানুষ
এবং কোন ভাবনা থেকে দিচ্ছেন সেটাই আসল কথা। তবে আমাদের সামাজিক জীবনযাত্রায় এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলোকে উপহার হিসেবে দেয়া উচিত নয় বলেই মনে করেন অনেকে। চলুন তাহলে তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক।
সুগন্ধি বা পারফিউম নাকি কাউকে গিফট করতে নেই?
খুব চেনা জানা আর প্রয়োজনীয় উপহার হলো ‘পারফিউম‘ (Perfume)। প্রতিটা মানুষেরই কমবেশি সুগন্ধির প্রয়োজন হয়। সেই কারণে মাসিক বাজেটে সুগন্ধির জন্য প্রত্যেকের একটা আলাদা বরাদ্দ থাকে। কেউ যদি সেই সুগন্ধি আপনাকে দিয়ে দেয় তাহলে আপনার টাকা বেঁচে যেতে পারে তাই না?
কিন্তু কি মুশকিল বলুন দেখি ‘সুগন্ধি বা পারফিউম নাকি কাউকে গিফট করতে নেই’। এতে নাকি সম্পর্ক খারাপ হয়। সবটাই প্রচলিত বিশ্বাস, সত্যতা যাচাই এর কোন জায়গায় নেই। অনেকে বলেন কাউকে নাকি ‘রুমাল বা তোয়ালে‘ এইগুলো উপহার হিসেবে দেয়া উচিত নয়।
এতে সংসারী আর্থিক অভাব অনটন নেমে আসে। বাস্তু মতে এর নাকি গভীর প্রভাব পড়ে জীবনে। তাই দারু তো পক্ষে এই ধরনের গিফট নিশ্চয়ই কেউ কাউকে দিতে চায় না। তবে ভালোবাসার ছলে ভালবেসে কেউ কোন কিছু দিলে সেখানে বোধহয় আন্তরিকতায় সব থেকে বেশি প্রাধান্য পায়।
ঠাকুর দেবতার ছবি বা মূর্তি উপহার:
কোনও সংস্কার বা কুসংস্কার নয়। অনেকেই ধার্মিক মানুষ হন। আস্তিক মানুষের ঠাকুর দেবতার উপর বিশ্বাস থাকে কিন্তু কাউকে ‘ঠাকুর দেবতার ছবি বা মূর্তি উপহার‘ হিসেবে দেওয়ার আগে একটু ভাবা দরকার।
আরো পড়ুন – রাতে ঘুমের মধ্যে কাশি আসে? আসলে ‘রাতের কাশি ঘুমের দফারফা’ করে দেয়। কিন্তু এর কারণ কী?
কারণ সেটি কোন স্থানে রাখতে হবে বা কিভাবে রাখতে হবে সেটা হয়তো তিনি নাও জানতে পারেন। এর পাশাপাশি এটাও সত্যি কথা আপনি যে মানুষটিকে উপহার দিচ্ছেন তিনি কতটা ভক্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে ঈশ্বর আরাধনা করেন অর্থাৎ তার ঈশ্বর বিশ্বাস কতটা গভীর সেটা জেনে নেওয়াটাই ভালো ।
না হলে ঈশ্বর অনাদরে পড়ে থাকবেন সেটা নিশ্চয় কাঙ্খিত নয়। তাই না জেনে এই উপহার না দেওয়াই ভালো। আপনি যে কাজের সঙ্গে যুক্ত অর্থাৎ ‘মা সরস্বতীর আশীর্বাদে’ আপনি যেভাবে কাজকর্ম করছেন সেই জায়গার বা সেই বিষয় সম্বলিত কোনো কিছু উপহার হিসেবে না দেওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুন – ‘রসুন চাষে’ দু লাখ আয়? সামান্য বিনিয়োগেই লাখপতি? রসুন চাষে বিরাট সাফল্য!
এটা একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝালে সুবিধা হবে বুঝতে। যেমন আপনি যদি লেখক মানুষ হন বা কবি কিংবা সাহিত্যিক তাহলে আপনি কাউকে পেন দেবেন না । মনে করা হয় এতে নাকি আপনি আপনার নিজস্বাকে অন্যকে দিয়ে দিচ্ছেন। ফলত: এরপর সেটি আর আপনার কাছে আসবে না।
জল জাতীয় কিছু মানে সেটা ‘জল ছবি হোক বা অ্যাকোয়ারিয়াম‘ কিংবা ধরুন ‘ফিস বোল‘ এসব কাউকে দেয়া উচিত নয়। আবারো বলছি এই সপ্তাহে কিন্তু প্রচলিত বিশ্বাস স্বপক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি বা ব্যাখ্যা কোনটাই নেই।
আরো পড়ুন – Subarnarekha River : যে নদীর সঙ্গে জুড়ে আছে ‘সোনার সম্পর্ক’! আজও রহস্যে মোড়া সুবর্ণরেখা?
সমাজে একটা বিশ্বাস রয়েছে সেটা হল, ধারাল কোনও জিনিস যেমন কারুকার্য করা ‘ছুরি বা তরোয়াল‘ কাউকে কখনও উপহার দিতে নেই বা উপহার হিসেবে নিতেও নেই। এতে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করার সম্ভাবনা প্রবল।
পরিশেষে বলি, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। এই প্রবাদটা প্রতিটি পরতে পরতে মিলে যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। এটা তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যে উপহারের মধ্যে ভালোলাগা ভালোবাসার স্মৃতিটুকু থাকে। তবে এটাও ঠিক যে বহু যুগ ধরে চলে আসা বিশ্বাসে সজোরে আঘাত করা যায় না।
আরো পড়ুন – বলিউড স্টারদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানেন কি? প্রেম হোক বা যৌনতা সবেতেই লাইমলাইটে তারা!
হয়তো ঘটনাচক্রে তার পেছনে কোন খারাপ প্রভাবে যুক্তি সময়ের গভীরেই তৈরি হয়ে গেছে। তবে যাকে উপহার দিন না কেন ফুলের মত ভাল উপহার কিন্তু হয় না আর মন থেকে অন্যকে ভালো রাখার প্রার্থনা – সেরা উপহার।।