Divorce after marriage: বিয়ের পর ডিভোর্স! সম্পর্কে ভাঙ্গন? তাহলে বিচ্ছেদে কি জীবনের সব শেষ? সাতপাকের বন্ধন ভাঙলে বদলে যায় পৃথিবী? একটা ‘ডিভোর্স’ কখনো কি জীবনকে বদলে দিতে পারে? সবটাই জানাবো এই প্রতিবেদনে ।
বিয়ে নিয়ে একাধিক বিশ্বাস রীতি আর সংস্কার জড়িয়ে আছে আমাদের মধ্যে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার মঙ্গল আর অমঙ্গলের কুসংস্কারও দোলাচলে রাখে আমাদের। সমাজ, পরিস্থিতি, শাস্ত্র, ধর্ম, ঈশ্বর আর নিজেদেরকে সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধিত হয় দুটি মন।
বিয়ের পর ডিভোর্স:
বিয়ের স্পষ্ট আর পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণে সুখী জীবনের আগামিকে আহবান করা হয়। কিন্তু সব সময় সেটা আদৌ সুখকর হয় কি? যদি না হয় তাহলে সম্পর্কে ভাঙ্গন আর তারপর একরাশ হতাশা আর সমাজের কঠিন জটিল মন্তব্যের শিকার ক্ষতি হয় আমাদের। জীবনটা কি সত্যিই বদলে যায়?
যেকোনো প্রতিবেদনে সবথেকে বেশি করে যে বিষয়ের উপর কথা বলতে হয় তা হল মূল্যবোধ। নীতি শিক্ষা যদি যথার্থ হয় তাহলে চরিত্র গঠনে কোন সমস্যা হয় না। আর চারিত্রিক দৃঢ়তাই পারে সব ভাঙ্গনকে রুখে দিয়ে মানুষকে ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি জোগাতে।
‘বিয়ের পর ডিভোর্স’ হওয়া খুব সাধারন ঘটনা:
বিয়ে জীবনের একটা অংশ মাত্র, যেটা অবশ্যম্ভবী মোটেই নয়। তাই বিয়ে হওয়া কিংবা বিয়ের পর ডিভোর্স হওয়া খুব সাধারন ঘটনা যা প্রতিমুহূর্তেই ঘুরতে থাকে। তবে সমস্যার জায়গাটা হল এই সব ঘটনাতেই কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে মেয়ে বা নারী।
দুজন মানুষ যদি একে অন্যের সঙ্গে থাকতে থাকতে অশান্তির পাহাড়ের মধ্যে বসবাস করতে শুরু করে তাহলে সেক্ষেত্রে দূরত্বের প্রয়োজন আছে বৈকি। সেটা হলে দুজন মানুষ যদি আলাদা আলাদা ভাবে ভালো থাকতে পারেন, তাহলে সমাজের কথা ভেবে আর চারপাশে লোকজন কী বলবে এই আশঙ্কায় প্রতিদিনের মৃত্যু কখনোই কাঙ্খিত নয়।
একটা ‘ডিভোর্স’ জীবনকে বদলে দিতে পারে?
একটা ডিভোর্স কখনোই জীবনকে বদলে দিতে পারেনা। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে এই কথাটা বলতে বা কাব্যে যতটা সুন্দর বাস্তবে ততটাই কঠিন। এখনো পর্যন্ত বিয়ে মানেই তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব মেয়েদের ওপর অনেক বেশি করে থেকে যায়। সবথেকে বেশি আঙুল ওঠে মেয়েদের উপরে।
আরো পড়ুন – Benefits of ayurveda: আয়ুর্বেদিক ঔষধের উপকারিতা! গাছ গাছালি থেকে কিভাবে ঔষধের আবিষ্কার ?
বিয়ে ভাঙ্গার দোষ যেন তাদের উপরই বর্তায়। সমাজ আঙুল তোলে, বাড়ির বাইরে পা রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এই সবগুলো সত্যি কথা কিন্তু এর বাইরে ও সবথেকে বড় সত্যি কী জানেন আপনি নিজে কতটা ভালো বা খারাপ আছেন সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া।
আরো পড়ুন – About mother: ‘মা’ শব্দের অর্থ কি? মায়ের শূন্যতা! ‘মায়ের মৃত্যু’ কখনো কি মেনে নেওয়া যায়?
কারণ আজকে হঠাৎ করে যদি মৃত্যু আসে জীবনে তাহলে ১০-১২ দিনের শোকের পরে সবটাই শূন্যে মিলিয়ে যায়, কেউ মনে রাখেনা। তাই যতক্ষণ বাঁচতে হবে যেটুকু নিয়ে বাঁচতে হবে তাতে নিজেকে ভালো রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সেটা অবশ্যই অন্যের ক্ষতি না করে।
ভরা চোখ সম্পর্কে দিনের পর দিন অত্যাচার চলছে। মুখ বুজে সেটাকে সহ্য করে যেতে হবে? কখনোই না অন্যায় ভাবে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া আর চলে না। প্রতিবাদ করতে হবে গর্জে উঠতে হবে, লোকে কী বলবে এই ভয় কুঁকড়ে থাকার দিন শেষ।
আরো পড়ুন – Body cool : অতিরিক্ত গরম! এই ‘প্রচন্ড গরমে এসি ছাড়াই নিজের শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়’ কি?
মনে রাখুন জীবন আপনার । একে সম্পূর্ণভাবে বাঁচার অধিকার শুধুমাত্র আপনার আছে। সুখী জীবন প্রত্যেকেই চায় , কিন্তু সুখের সংজ্ঞাটা কী সেটা কিন্তু নিজেকে ঠিক করতে হবে।
দুজন মানুষের একে অন্যের প্রতি মানসিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যায় তাই সাময়িক কষ্ট হবেই ,তবে সারা জীবন কষ্ট ভোগ করবেন কিনা বা যারা সমালোচনা করবে তাদের জবাব দেবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আগে নিজের কাছে পরিষ্কার হয়ে নেয়া দরকার। তারপর মোকাবেলা করবেন বাকি সমাজের।