Virat Kohli: বিরাট কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ার বাঁচিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? ভারতীয় ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন কুল সকলের কাছে আজও জনপ্রিয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জার্সি বদল হয়েছে তো কি হয়েছে আইপিএল খেলায় এখনো তার জবাব নেই। তিনি যে ভারতকে একটা নতুন দিশায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সেটা তার ক্রিকেট অধিনায়কত্ব দেখলে গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।
আজকে তিনি টিম ইন্ডিয়ায় অংশ নন কিন্তু টিম ইন্ডিয়াকে এমন ভাবে তৈরি করে দিয়ে গেছেন যে বারবার ড্রেসিংরুমে ফিরে আসে মাহির কথা। আজকে বিরাট কোহলি কে নিয়ে এত কথাবার্তা অথচ এই কোহলির ক্যারিয়ার তৈরি করেছিলেন মাহি।আমরা সকলেই জানি যে ২০০৭ সালে দেশের তরুণ তুর্কিদের নিয়ে তিনি প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয় করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।
বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার কিভাবে বাঁচিয়েছিলেন ধোনি?
১৯৮৩ সালের পর যে বিশ্বকাপ নিজের দেশে আনা অধরা স্বপ্ন হয়ে গেছিল তাকে সত্যি করেছিলেন মাহি ২০১১ সালে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই ছক্কা আজও ভারতীয় ক্রিকেটার সমর্থকদের মনের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন এই মানুষটাই (Dhoni saved Virat Kohli’s cricket career)?
একের পর এক রেকর্ড করছেন আর তারপর সেই রেকর্ড ভাঙছেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিং কোহলি। অনেকেই মনে করছেন আধুনিক ক্রিকেটের শচীনের সমকক্ষ যদি কেউ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে সেই ক্ষমতা একমাত্র বিরাট কোহলির মধ্যে রয়েছে।
বিরাট কোহলি কে টিমে নিতেই চাইছিল না?
কিন্তু একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নাকি বিরাট কোহলি কে টিমে নিতেই চাইছিল না। ২০১১ সালে যখন বারবার ব্যাকহাতে ব্যর্থ হছিলেন কোহলি তখন নির্বাচকরা কোনভাবেই টিম ইন্ডিয়ার ১১ জনের সদস্যদের মধ্যে বিরাটের নাম রাখতে চাননি। কিন্তু কোহলি দক্ষতা বুঝেছিলেন মাহি ,তাই তাকে বাদ পড়তে দেননি।
আরো পড়ুন – সানি দেওয়ালের ডায়লগেই ঘায়েল পাকিস্তান? কী কাণ্ড ঘটেছে কাঁটাতারের ওপারে?
এই সুযোগ কাজে লাগাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি বিরাট এবং নিজের দাপুটে ইনিংস দিয়েই কাম ব্যাক করেছিলেন। কোহলির কেরিয়ার গ্রাফ দেখলে বোঝা যায় সেই সময় পার্থের কঠিন উইকেটে বিরাট দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪৪ এবং ৭৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাডিলেড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে ১১৬ রান করে ওই গোটা সফরে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র তিনি শতরান করতে পেরেছিলেন।
আরো পড়ুন – রিলায়েন্স থেকে এক টাকাও স্যালারি নেন না মুকেশ আম্বানি? কিন্তু কেন জানেন?
মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজের ছত্রছায়ায় বিরাটকে নিয়ে নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন। তিনি যতদিন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কে ততদিন সহ অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছিল যাতে তিনি কিছু শিখতে পারেন। মানে, বিরাটের ডুবন্ত ক্যারিয়ারকে শুধু যে বাঁচিয়েছিলেন তা নয় একটা উজ্জ্বল দিকে চালনা করতে দারুণ অবদান রাখেন মাহি।
আরো পড়ুন – চাঁদে সত্যিই মানুষ গেলে সেখানে টয়লেট মানে বাথরুম থাকবে কি?
২০১৪ সালের টেস্ট ক্রিকেট থেকে এবং ২০১৭ সালে সাদা বনের খেলা থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মাহি। তারপর একের পর এক রেকর্ড গড়ে অধিনায়ক হিসেবে বিরাজ নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন আর অবশ্যই মুখ রক্ষা করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বাসের। আজ আবার তার ব্যাটিং এর উপর ভর করেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত।