Breaking Bharat: মানুষের নয়, আদর পুতুলের চাহিদা বাড়ছে? সেক্স ডল কি ফ্যান্টাসি না এক্সপেরিমেন্ট? মনোবিদরা বলছেন সেক্স ডল মানে যাকে আপনি আদর করে আদর পুতুল বলতে পারেন, তার চাহিদা এখন তুঙ্গে।
আর সব থেকে অবাক করা বিষয়টা হলো, এই তালিকায় নারী এবং পুরুষ দুজনেই রয়েছে। কেন এমন ঘটছে বলুন তো? মানুষ কি কম পড়িতেছে, যে অন্য তাই পুতুলকে সঙ্গী করার দরকার হচ্ছে? মানুষ মাত্রই যৌনতাকে উপভোগ করতে চায়।
কেউ সাধারণ ভাবে প্রাকৃতিক উন্মাদনার তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যায় কেউ আবার কৃত্রিম ভাবে যৌন উন্মাদনা তৈরি করে উত্তেজনার স্বাদ পেতে চায়। এর জন্য অবশ্য অনেক দূর পর্যন্ত ভাবনা চিন্তা করে আজকাল নানা কাণ্ড ঘটছে সমাজের বুকে। নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে পছন্দ করে একটা দারুন সময় কাটানোর কথা ভাবেন সবাই।
কেন বাড়ছে আদর পুতুলের চাহিদা?
কিন্তু আজকের দিনে যেন সম্পর্ক আর যৌনতার ছবিটা বদলে যাচ্ছে। কেন বাড়ছে বলুন তো আদর পুতুলের চাহিদা? অনেকেই বলেন যৌনতা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট বাড়ছে। নারী পুরুষ উভয়ের মিলনে তৈরি হওয়া নতুন সম্পর্কে চলে আসছে কৃত্রিমতা। বাড়ছে পরকীয়া ভাঙছে সম্পর্ক।
সাত পাকের বন্ধনে যে সম্পর্ক তা যেন একে অন্যের সঙ্গে তাকে জীবনটা আর কাটাতে পারছে না। সমীকরণটা কি শুধু বিছানা কেন্দ্রিক? তা না হলে কেনই বা সেক্স ডলের চাহিদা এত বাড়বে? বিষয়টি শুনতে খারাপ লাগলে এটা একদমই সত্যি ঘটনা। আসলের থেকে কৃত্রিমের প্রতি ঝুঁকেছে জেনওয়াইরা। যৌনতায় ক্রমশ বাড়ছে ‘সেক্স ডল’-এর চাহিদা, জানাল সমীক্ষা।
অনেকেরই হয়তো জানা নেই সেক্স ডল বিষয়টি। বাংলা করলে দাঁড়ায় আদর পুতুল । অবিকল জীবন্তের মতোই ৷ নরম তুলতুলে শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ৷ যৌনতার চাহিদা সে মিটিয়ে দিতে পারে ৷ তবুও সে সত্যি কোনও নারী নয় ৷ বিষয়টা কি এরকম যে নারীদেহে আক্রোশ বাড়লে যন্ত্রণা আসতে পারে, হয়তো নির্জীব শরীরে তার সম্ভাবনা কম?
এই ধরনের পুতুলগুলো কী উপাদানে তৈরি হয়?
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বদলে যাচ্ছে যৌনতার সংজ্ঞা। যৌনতাকে অনেকেই ফ্যান্টাসি হিসেবে তুলে ধরছেন। দেহ ছুঁয়ে একটা আলাদা অনুভূতি পাওয়া কৃত্রিমতার মোড়কে কতটা সাবলীল? এই ধরনের পুতুলগুলো কী উপাদানে তৈরি হয়? সম্প্রতি চিনে সেক্স ডল-এর ব্যবসার রমরমা বেড়েছে।
বর্তমানে চিনে ২,০০০-এর বেশি দোকান রয়েছে যেখানে সেক্স ডল বিক্রি করা হয়। এ ধরনের প্রোটোটাইপ পুতুলের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যোগ করার পরিকল্পনা আছে নির্মাতাদের। এতে পুতুলগুলো অনেকটাই মানুষের মতো হয়ে উঠবে। উপাদান হিসেবে এই পুতুলে আছে থার্মোপ্ল্যাস্টিক ইলাস্টোমার নামে একধরনের রবারগোত্রীয় পদার্থ৷ যা সিলিকনের থেকেও নরম৷
মেয়ে সেক্স ডল যতটা জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য, ছেলে সেক্স ডল কিন্তু ততটাই দুর্লভ। আসলে ছেলেরা একটা বয়সের পর থেকেই শরীর নিয়ে আসক্ত হয়ে পড়েন। তাই হয়তো উল্টোদিকের প্রতি চাহিদা বাড়তে থাকে। আর এই পুতুল কে যন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ফলে জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
মানে নিজের মতো করে চালনা করার প্রবণতা। রক্ত মাংসের শরীর নয়, এখন পুরুষরা আস্থা রাখছে যন্ত্রমানবীতে। তাদের কোনও টালবাহানা নেই। নেই কোনও অজুহাত। সব সময়ই তৈরি। যখন চাইবেন তখনই হাজির। কার কথা বলছি বুঝতেই পারছেন, ‘সেক্সবট’।
আদর করার পুতুল বা সেক্সবট:
আদর করার পুতুল বা সেক্সবট তার চোখের পাতার ওঠা-নামায়, মৃদু হাসি বা ঘাড় বাঁকানো ভঙ্গিমায় নিজের মনে কথা জানিয়ে দেয় পুরুষদের। আর এর থেকেই সমাজের বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এর ফলে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ বিঘ্নিত হতে পারে। সেটা সমাজের জন্য কখনোই কাঙ্খিত নয়।
আরো পড়ুন- Sinthir Sindur : সিঁদুর বিবাহিত মহিলার প্রতীক! সিঁথির এই সিঁদুরে, সবকিছু যেন বদলে গেল!
পুরুষ আর নারীর মিলনে সম্পর্ক হয় আর সেই থেকে জগৎ এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু এত কৃত্রিমতা থাকলে ভবিষ্যত্ যে অন্ধকার হয়ে যাবে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রাণ থাকা মহিলাদের থেকে বেশি আকর্ষণ পাচ্ছে প্রাণহীন পুতুল। ৪৮ শতাংশ পুরুষ যন্ত্রমানবীতে আস্থা রাখেন।
মানুষ ছেড়ে যন্ত্রের প্রতি ভরসা রাখা উচিত?
এমনকী ৪৩ শতাংশ পুরুষ তাদের প্রেমে পড়তেও চান। তবে মানুষ ছেড়ে যন্ত্রের প্রতি ভরসা রাখা উচিত? এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যন্ত্রমানবী তার মনিবের প্রেমে সঙ্গ দিতে পারে ঠিকই, আবার চরম মুহূর্তে মনিবকে চূড়ান্ত আঘাতও করতে পারে কিন্তু।
আরো পড়ুন- মান্না দে আর দেবী শেঠি : দুই গুণী মানুষের এক সহজ সরল সত্যি, যা জানলে চমকে যাবেন আপনিও!
লাভ অ্যান্ড সেক্স উইথ রোবট’ বইয়ের লেখক চিকিত্সক ডেভিড লেভি জানিয়েছেন, সমস্ত মেশিনের যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমন অসুবিধাও রয়েছে। যেভাবে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়, সেই একই প্রক্রিয়ায় সেক্সবটের যান্ত্রিক মাথাকেও চাইলে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এই আদর করার পুতুল তখন আপনার জন্য হয়ে যাবে মারণাস্ত্র।
আরো পড়ুন- Rich and poor : বড়লোক ফুলে ফেঁপে উঠছে আর গরিবরা মাটিতে মিশে যাচ্ছে, মাপ দণ্ড কিন্তু সেই টাকা!
সব কিছুর একটা ভালো দিক থাকে কিন্তু আবিষ্কারকে উল্টো পথে নিয়ে গেলে তার থেকে বিপজ্জনক আর কিছু হয় না। সম্পর্ককে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি মেনে এগিয়ে যেতে দিন।