Breaking Bharat: সমাজ মাধ্যমে চর্চায় ডিপফেক ভিডিও, কী করে চিনবেন সত্যি মিথ্যে? গত দুদিন ধরে বারবার সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় উঠে এসেছে ‘অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি ভিডিও‘। যেখানে আপত্তিকর পোশাকে দেখা গেছে তাকে। ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল শুরু থেকেই।
মুহূর্তের মধ্যে এটি ভাইরাল হতে শুরু করে। তারপর জানা যায় অন্য মহিলার সঙ্গে অভিনেত্রীর মুখ জুড়ে দিয়ে এই কাণ্ড করা হয়েছে। এই ধরনের কাজ যে একটা মানুষের সম্মানের কতটা ক্ষতি করে সেটা নিশ্চয়ই আপনি আন্দাজ করতে পারছেন।
‘ডিপফেক ভিডিও’ কী ভাবে চিনতে হয়?
স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন পর্যন্ত এই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রতিবাদ করেছেন। দক্ষিণের অভিনেত্রীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটা দুদিনের মাথায় বলিউড অভিনেত্রী ‘ক্যাটরিনা কাইফ‘ এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। আসন্ন সিনেমা টাইগার থ্রি এর একটি দৃশ্যে তোয়ালে জড়িয়ে ফাইট করেছেন ক্যাটরিনা।
ডিপফেক ভিডিওতে সেই তোয়ালেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি জানেন এই ধরনের ভিডিও কী ভাবে চিনতে হয়? ভুল জিনিস কখনো ছড়াবেন না। এতে আপনি নিজের, চারপাশের এবং সমাজের ক্ষতি করছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ধরনের ভিডিও চিনবেন কী করে।
রশ্মিকার কালো জিম-পোশাকে ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো:
সময় সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নতির এক একটা অধ্যায় সকলের সামনে উন্মোচিত হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে নিন্দনীয় কুরুচিকর কাজকর্ম করে অন্যকে অপমান করা অসম্মান করা কোন দিক দিয়েই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। শুধু তাই নয় সময় এসেছে সরকার এবং প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেই।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ‘ডিপফেক’ ভিডিয়োর সমাজমাধ্যমে এই মুহূর্তে রমরমা। রশ্মিকার কালো জিম-পোশাকে ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীদের সন্দেহ হয়, এই ভিডিয়োর কি আসল?
কিছু সময়ের মধ্যেই জানা গেল ভিডিয়োর মহিলা আদপে রশ্মিকা নন, জ়ারা পটেল নামে এক ব্রিটিশ ইনফ্লুয়েন্সারের ভিডিয়োতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। রশ্মিকা আতঙ্কিত আর যার ভিডিওতে নায়িকার মুখ বসানো হয়েছে তিনি গোটা ঘটনায় যথেষ্ট বিরক্ত বিরক্ত।
আরো পড়ুন – জাতীয় সড়কের উপর ধান চাষ করলেন ‘পাগলি’? হতবাক বিশেষজ্ঞরাও
এরকম চলতে থাকলে মহিলারা এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি বা ভিডিও দেওয়ার সাহস পাবেন না বলেই তিনি মনে করছেন। ইন্টারনেটে যা ঘুরছে তার সত্যতা আগে জানুন তারপর সেটা শেয়ার করুন এইটুকুই অনুরোধ করছেন সকলে।
আসলে ‘ডিপ লার্নিং টেকনোলজি’ ব্যবহার করে অডিয়ো, ভিডিয়ো ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয় যেটা দেখে আসল নকলের ফারাক করে উঠতে পারবেন না আপনি। তবু আমরা কিছু উপায় বলছি যেটা দেখে হয়তো সন্দেহ জাগতে পারে যে এই ভিডিওটা নকল।
আরো পড়ুন – ভারতকে পিছনে ফিরে এগিয়ে গেল চীন? আন্তর্জাতিক বাজার দখলের পথে লাল ফৌজের দেশ!
প্রথমেই দেখবেন যে ব্যক্তির ভিডিও করা হচ্ছে তার কথা বলা বা কাজের সঙ্গে চোখের চাউনির মিল থাকবে না। ব্যক্তির মুখ এবং আশেপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব দেখতে পাবেন। কারণ যেকোনো‘ডিপফেক’ নির্মাতাদের ভিডিয়োয় সঠিক রঙের টোন এবং আলোর প্রতিলিপি তৈরি করতে বেশ অসুবিধা হয়। এই ধরনের ভিডিওর অডিও লেভেল মনে সন্দেহ জাগাবে।
আরো পড়ুন – জবা ফুল ছাড়া কালী মায়ের পূজা হয়না তাইনা? জানেন কি কেন এমনটা করা হয়?
কারণ এআই জেনারেটেড অডিয়ো ব্যবহার করা করা হয়। এছাড়াও খুব ভালো করে যদি লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই ধরনের ভিডিয়োতে ব্যক্তি কথা বললে তাঁর বলা ও মুখভঙ্গির মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা লক্ষ করা যায়। ‘ডিপফেক’ ভিডিয়োয় ব্যক্তির শরীরের গঠন অনেকটাই বিকৃত হয়ে যায়।তাই কোন কিছু ইন্টারনেটে শেয়ার করার আগে ভালো করে যাচাই করুন।