Breaking Bharat: ‘কাজের চাপ আর টেনশন’ নিয়ে জেরবার (work pressure)? মুশকিল আসান এক মুহূর্তেই! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ নিয়ে দৌড় যেন আর থামেনা। প্রতিটা মানুষ তার নিজের মতো করে ব্যস্ততার মধ্যেই দিন রাত কিভাবে কাটিয়ে ফেলছে বুঝতে পারছেনা।
প্রতিমুহূর্তে চাপ বাড়ছে আর তার ফলে নানাবিধ সমস্যা জীবন টাকে দখল করে নিচ্ছে। নিজে ভালো থাকবেন কি করে সেই চিন্তা কখনো কখনো এতটাই বেশি হয়ে যাচ্ছে যে অন্যজনকে ভালো রাখবেন কি করে বা অন্যজনকে আদৌ ভালো রাখা যায় কিনা এগুলো সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না।
একটা কাজ করুন নিজের কিছু কাজকর্মকে একটু ভাগ করে নিতে শিখুন। অন্যের মধ্যে নয় নিজের মধ্যেই ভাগ করা যাবে, শুধু দরকার একটু প্ল্যানিং (Dealing with work pressure and stress)।
বাড়ছে ‘কাজের চাপ’ আর টেনশন :
প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা প্র্যাকটিস করুন। বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলে সকাল থেকেই আপনার সমস্ত রুটিন লেট হতে থাকবে। নিজেকে সুস্থ রাখাটা সবার আগে দরকার তবে কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।
আরো পড়ুন – Mosquitoes : বাড়ির চারপাশে মশাদের উৎপাত? ‘মশার উপদ্রব’ থেকে বাঁচতে অবশ্যই এই ব্যবস্থা নিন
আপনি যদি দেরি করে আপনার কাজ শুরু করেন বা অফিসে পৌঁছন তাহলে কিন্তু সারাদিন ধরেই আপনি লেট রান করবেন। সেই কাজ মেকআপ করতে গিয়ে রাত্রিবেলা ঘুমোতে দেরি হবে, আবার পরের দিন সকালে গিয়ে সেই দেরিতে ঘুম থেকে উঠবেন আর অফিসে আবার দেরিতে পৌঁছবেন।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া প্র্যাকটিস করুন:
মানে চক্রাকারে যেন এটা চলতেই থাকবে। তাই সবার আগে ‘তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা‘ এবং ‘রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া’ প্র্যাকটিস করুন। এরপর বলব অবশ্যই নিজের কাজ ভাগ করে নিতে এবং দিতে শিখুন। সব চাপ একা নিজে নিয়ে নিলে কিছুতেই আপনি সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন না।
সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজ ভাগ করতে হবে। একটু চেষ্টা করে দেখুন তাতে সময়ের মধ্যে সকলে মিলে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারবেন। আমি সব পারি বা আমি সব জানি দেখাবার অনেক জায়গা পাবেন। তাই নিজেকে আগে সময় দিন।
কাজের চাপে দুপুরের খাবার স্কিপ করবেন না:
মনে রাখবেন কাজ করা সবটাই কিন্তু দুবেলা খাওয়ার জন্য তাই ‘কাজের চাপে‘ দুপুরের খাবার মানে লাঞ্চ স্কিপ করবেন না। মনে রাখতে হবে ইঞ্জিন চালাতে গেলে সঠিক পরিমাণে পেট্রোল দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাই পেটে খাবার না দিলে কাজকর্ম করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন – জন্ম দাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন? শরীরের অযাচিত জায়গায় তিল? এবার হাতেই রয়েছে সমাধান
এবার দরকার একটা নির্দিষ্ট সময় ব্রেক নেওয়া। সেই নিয়মটা প্রতিদিন কাজের জন্য ঘাটতে থাকলে মাথার উপর চাপ বাড়বে বিকেলের পর তখন আর সন্ধ্যে পর্যন্ত কাজ করতে ইচ্ছা করবে না। ফলে কোনদিন কাজের চাপ বাড়লে কিছুতেই আর কনসেনট্রেট করে রাত পর্যন্ত কাজ তো করতেই পারবেন না।
কাজের জন্য প্রত্যেকটা মুহূর্তে খুব জরুরী:
কখন ‘ফুলস্টপ’ দেবেন কখন ‘কমা’ এটা কিন্তু আপনাকে নিজেকেই ঠিক করতে হবে। মাঝেমধ্যে ছুটি নিন লম্বা ছুটি এখান ওখানে ঘুরে আসতে পারেন অথবা কাজকর্ম থেকে দূরে থাকার জন্য বাড়িতেও নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটাতে পারেন।
আরো পড়ুন – Dust allergy : রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পড়তে হয়? ডাস্ট এলার্জির সমস্যা না তো? কী ভাবে মিলবে মুক্তি?
এক্ষেত্রে ল্যাপটপ মোবাইল যেগুলো কাজের জন্য প্রত্যেকটা মুহূর্তে খুব জরুরী তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন (Every moment is very important for work)। নিজের মেজাজটাকে যদি হালকা না রাখেন তাহলে তো ভালো থাকতে পারবেন না।
কাজের চাপ বা টেনশন থেকে মুক্ত রাখার উপায়:
চিকিৎসকের মতে একটানা কাজ করা শরীরের জন্য ভালো নয়।। একটানা ৯০ মিনিট বা ঘন্টা দেড়েকের বেশি কাজ করবেন না। এতে শারীরিক এবং মানসিক স্ট্রেস দুটোই বাড়ে আর এর ফলে কাজের প্রতি বিরক্তি আসা শুরু হয়। সব থেকে বড় কথা মাথার যন্ত্রণা শুরু হবে।
আরো পড়ুন – মন খারাপ? কোনও কিছুই ভালো লাগছে না? দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে? তাহলে উপায়?
তারপর আর কোনও কাজই করতে পারবেন না। এই কাজ করুন কিন্তু মাঝে মধ্যে অবসর খুঁজে নিন। এটা নিজেকে ‘কাজের চাপ বা টেনশন থেকে মুক্ত রাখার উপায়‘ (Ways to keep work stress free)।