Breaking Bharat : হাইওয়ে বরাবর ছুটবে গাড়ি (Cursed Highway)। চারপাশের গাছগাছালি, শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ উপভোগ করতে করতে মনের মধ্যে গুনগুন করবে ‘আজকে আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা’। ভ্রমণপিপাসু অনেকেরই এমন রোমহর্ষক, ‘আউট অফ দ্য বক্স’ অভিজ্ঞতা পছন্দ করেন। আর তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা হতে পারে এদেশের একাধিক হাইওয়ে।
তবে হ্যাঁ, ভূতে ভয় থাকলে চলবে না। কারণ, যে হাইওয়েগুলি দিনের বেলায় মেলে ধরে সৌন্দর্য, রাতের অন্ধকারে সেগুলিই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর (In the darkness of the night they became terrible)। কেড়ে নেয় পথচারীদের ঘুম।
গা ছমছমে ভারতের এমনই পাঁচটি হাইওয়ে:
জাতীয় সড়ক ৩৩, রাঁচি-জামশেদপুর (National Highway 33,Ranchi-Jamshedpur)
এই হাইওয়েতে যে সমস্ত দুর্ঘটনার কথা জানা গেছে, সেগুলির অধিকাংশই সব অদ্ভুত। হাইওয়ের ধারে রয়েছে একটি মন্দিরও। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, ওই মন্দিরের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় কেউ যদি দাঁড়িয়ে প্রার্থনা না করেন, তাহলে বিপদের মুখে পড়েন পথচারীরা। তাই এই রাস্তাটিকে অভিশপ্ত রাস্তা বলেও মনে করা হয়।
মুম্বইয়ের নাসিকের কাসারা ঘাট: (Kasara Ghat in Nasik,Mumbai)
দিনের বেলায় এই হাইওয়ে ধরে গেলে পর্যটকরা প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না। পথের দু’ধারে গাছগাছালি। অনাবিল সুন্দর। কিন্তু এই হাইওয়ের ওপর কসারা ঘাট এলাকায় রয়েছে ভূতের উৎপাত। বহু পথিকের চোখে পড়েছে মাথাকাটা এক মহিলার অবয়ব। আর তার বিকট হাসি।
জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের খুনি নালা: (Jammu-Srinagar highway)
জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের একটি নির্দিষ্ট স্থানকে খুনি নালা বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অনেকে রাতের অন্ধকারে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বাচ্চা কোলে দেখে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এই এলাকায়। স্থানীয়রা বলেন, এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এই স্থানে আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই পথচারীরা এই ঘটনার সম্মুখীন হন।
তামিলনাড়ুর ন্যাশনাল হাইওয়ে ২০৯-এর সথ্যামঙ্গলম ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি করিডোর (Sathyamangalam Wildlife Sanctuary Corridor)
২০৯ নং জাতীয় সড়কের একটা অংশ সথ্যমঙ্গলম ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির মধ্যে দিয়ে গেছে। জঙ্গলের মাঝখান থেকে যে রাস্তা গেছে তা পর্যটককে মুগ্ধ করবেই। তবে তামিলনাড়ুর সবচেয়ে ভৌতিক উৎপাতের এলাকা বলা হয় এই স্থানটিকে। এই জঙ্গলেই ঘাঁটি ছিল চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের। অনেকে বলেন, বীরাপ্পনের অশরীরী আত্মা এখনও ওই স্থানে রয়েছে। তবে এই পথ পেরনোর সময় আর্ত চিৎকার শুনেছেন অনেকেই।
দিল্লি জয়পুর হাইওয়ে:(Delhi Jaipur Highway)
দিল্লি থেকে আলওয়ার হয়ে জয়পুর যেতে, মাঝে একটা রাস্তা পড়ে, যেখান থেকে পৌঁছে যাওয়া যায় ভানগড় দুর্গে। এই এলাকার ভূতের উপদ্রবের কথাও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কানাঘুষো শোনা যায়। এমনকী, প্রত্যক্ষদর্শীরা যে সব অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন, যার যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি কেউ।
শুধু এই পাঁচটিই নয়, গোয়া থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে কসেড়ি ঘাট, চেন্নাই-পণ্ডিচেরীর টু লেন ইস্ট কোস্ট রোড, দিল্লির ক্যান্টনমেণ্ট রোড, চেন্নাইয়ের ব্লু ক্রস রোড, থানের ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে,গোয়ার আইগরকেম রোড, এন এইচ ১৭ বা মুম্বই-গোয়া হাইওয়ে, মহারাষ্ট্রের মুলন্দে জন্সন অ্যাণ্ড জন্সন রোড, মার্ভে এবং মঢ় আইল্যাণ্ড রোড—এই সমস্ত হাইওয়েগুলি শুধু ভয়ঙ্কর বললেই কম বলা হবে, রাতের অন্ধকার এই হাইওয়ের প্রতিটা রাস্তার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকে রহস্য, বিপদের অশনি সংকেত।