Breaking Bharat : করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়েছে দেশবাসীর। শিশুদের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল, অন্যদিকে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ! অন্তত কোভিড নিয়ে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে, তাতে তো এমনটাই বলা হয়েছে যে, যেকোনও মুহূর্তে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে।
তা রুখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বিপদের আশঙ্কা নিয়েও বহু কথা শোনা গেছে। সুতরাং, কোভিডের ক্ষেত্রে বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না শিশুদের। স্বাভাবিকভাবে তাদের জন্যও দরকার ভ্যাকসিনের (Vaccines are needed)।
অবশেষে কি এই দুশ্চিন্তার মেঘ কাটল?
এতদিন ১৮ বছরের উর্দ্ধে ভ্যাকসিন থাকলেও বাচ্চাদের কোনও টিকা ভারতীয় বাজারে ছিল না। অবশেষে কি এই দুশ্চিন্তার মেঘ কাটল? সম্প্রতি আপৎকালীন ভিত্তিতে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য করোনার ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিল ভারত সরকার (vaccine was approved by the Indian government), এমনটাই সূত্রের খবর।
ডিসিজিআই অর্থাৎ ড্রাগস অ্যান্ড কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই খুশির খবর দিল তারা। জরুরিকালীন ভিত্তিতে হায়দ্রাবাদের কোম্পানি ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা ‘কোভ্যাকসিন’-এ অনুমোদন দিল ডিসিজিআই। এই ভ্যাকসিন ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য কাজে লাগবে।
স্বাভাবিকভাবেই এই পুজোর মরসুমে খুশির খবর অভিভাবকদের জন্য। এমনিতেই দেশের সর্বত্র ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। তবে তা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। এবার সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গ্রিন সিগন্যাল মিললেই শুরু হবে শিশুদেরও টিকাকরণ প্রক্রিয়া। শিয়রে যখন কোভিড চোখ রাঙাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে এই খবর কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাবে দেশবাসীর মনে।
তবে ড্রাগস অ্যান্ড কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া চলতি বছরের জুলাই মাসেও আপৎকালীন ভিত্তিতে আর একটি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। ভারতেরই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলারের তৈরি সেই ভ্যাকসিনের নাম ছিল জাইকোভ বি।
তবে প্রায় তিনমাস আগে জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে ছাড়পত্র পেলেও এখনও পর্যন্ত বাজারে আসেনি সেই ভ্যাকসিন। তাই মঙ্গলবার অনুমোদন দেওয়া ভ্যাকসিন নিয়েও অনিশ্চয়তার প্রশ্ন উঠছে নেটিজেনদের একাংশের মনে। তবুও আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, এদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দেশের সর্বত্র টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু হলেও ভারতের তৈরি কো-ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সিলমোহর পায়নি। তাই কো-ভ্যাকসিন নেওয়া ভারতীয় নাগরিকদের বিদেশ সফরে নানা অসুবিধাও হচ্ছে। তবে শিগগিরই যাতে অনুমোদন মেলে, তার প্রক্রিয়াও চলছে বলেই সূত্রের খবর।