coromandel express accident: ভারতের রেল দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশ! প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণায় কাঁদছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস? কেন উদ্বেগে বাংলাদেশ? যথেষ্ট উদ্বেগে চিন্তায় সারারাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি বাংলাদেশীরা।
দশকের অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী হল শুক্রবার সন্ধ্যার বালেশ্বর। ওডিশার বালেশ্বরের বাহানাগা ষ্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত! এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শুধুই মৃত্যু মিছিল আর হাহাকারে ভিজলো সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা।
কেন উদ্বেগে বাংলাদেশ?
শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস নয়, সেখানে একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে হাওড়া বেঙ্গালুরু যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি মালগাড়ি। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রেলমন্ত্রকের তরফে এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রান্ত তহবিলের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আর্থিক ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু এইটুকুই কি যথেষ্ট উদ্বেগে চিন্তায় সারারাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি বাংলাদেশীরা। প্রত্যেক বছর চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যান অসংখ্য বাংলাদেশী, হয়তো তাদের মধ্যে কিছু জন এই ট্রেনেও ছিলেন যাদের সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
যেভাবে রক্তস্নাত এই ট্রেন আর তার ছবি ভাইরাল হয়েছে তাতে শিউরে উঠছেন প্রত্যেকে। আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন ভারতে। অনেকেই চিকিৎসা করান কলকাতায়, আবার অনেকেই বাংলার বাসিন্দাদের মতই চিকিৎসার জন্য চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালুরুতেও যান।
আজ শনিবার সেই তালিকায় অনেকগুলো বাংলাদেশী প্যাসেঞ্জারের নাম ছিল। যারা হাওড়া স্টেশনে বসে ভয়াবহ আতঙ্কের প্রহর গুনেছেন কাল সারারাত। বাহানাগা ষ্টেশনের কাছে ‘চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস‘ এবং ‘হাওড়া বেঙ্গালুরু যশবন্তপুর এক্সপ্রেস‘ একে অপরকে ধাক্কা মারায় বহু মানুষ আহত এবং নিহত।
আরো পড়ুন – Dum virus: স্মার্টফোনের নতুন আতঙ্ক ডাম ভাইরাস! ‘ডাম ভাইরাস’ কতটা ভয়ংকর?
যার মধ্যে বাংলাদেশের অধিবাসীরা ও রয়েছেন কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি। ভয় কাঁপছে বাংলাদেশ না জানি কার বাড়িতে কোন সন্তান চিরকালের মত মাকে ফেলে রেখে চলে গেল গভীর ঘুমের দেশে। সুস্থ হওয়ার আশায় চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে গিয়ে এই মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন গতকাল রাতেই এবং তার পাশাপাশি উড়িষ্যা সরকার ও ভারতীয় রেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সুচার খবর হাওড়া এবং শালিমার স্টেশনে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি নবান্নেও বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন – ধেয়ে আসছে বীভৎস ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’! দুই বাংলাকে কি তছনছ করতে চলেছে?
রেলমন্ত্রীর স্বয়ং ঘটনা স্থলে পৌঁছে গেছেন । প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফ নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ করে টাকা এবং গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা, অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ।
আরো পড়ুন – সমকামী হলেও মা-বাবা হতে কোন বাধা নেই? যুগান্তকারী আবিষ্কার চমকে দেবে আপনাকে!
গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান নবীন পট্টনায়ক। সঠিক সংখ্যাটা এখনো পর্যন্ত বলা মুশকিল কিন্তু মৃত আর আহতদের সংখ্যা যে প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে সেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকগুলি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়ুসেনার সাহায্যও নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের মানুষেরা। একাধিক ট্রেন বাতিল ফলে সেদিক দিয়েও রেল দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।