Breaking Bharat: মহিলাদের জরায়ুতে সমস্যা (uterus problems)! অজান্তেই ক্যান্সারের ঝুঁকি? বাজারে আসছে ভ্যাকসিন! নারী ছাড়া জগত অন্ধকার! তবে নারীর জটিল শারীরিক সমস্যার সমাধান খুঁজেছেন কখনো?
ইদানিং কালে মহিলাদের মধ্যে জরায়ুতে নানা ধরনের সমস্যার কথা শোনা যায়। অজান্তেই এই সমস্যা কখন যে মারণ রোগ ক্যান্সারের কারণ হয়ে ওঠে তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। তবে এবার বাজারে আসছে এই রোগ প্রতিষেধক অর্থাৎ ভ্যাকসিন (Solution to women’s uterine problems)।
নারীদের জরায়ুর সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছে বিজ্ঞান:
এই পৃথিবীতে যা যা হচ্ছে তার প্রধান দায়িত্ব পালনে নারী এবং পুরুষ। একে অন্যকে ছাড়া এগিয়ে চলতে পারে না। আর নারী পুরুষ একসঙ্গে না এগোতে পারলে সভ্যতার সমাজ প্রজন্ম কিছুই এগোতে পারে না। এগিয়ে চলার পথে অনেকগুলো বাধা আসতে পারে যার মধ্যে সামাজিক এবং শারীরিক বাধা সবথেকে বেশি আসে মহিলাদের।
এমনিতেই শারীরিকভাবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দুর্বল ভাবা হয়। সন্তান ধারণের ক্ষমতা রাখেন যে নারী তার শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব সংসার। হবেই তো তা না হলে যে সমাজ প্রজন্ম এগোতে পারবে না। সভ্যতা স্তব্ধ হয়ে যাবে। নারীদের নানা সমস্যার মধ্যে একটা হচ্ছে জরায়ুর সমস্যা (Problems in the uterus)। এবার এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছে বিজ্ঞান।
মহিলাদের মধ্যে জরায়ুতে নানা ধরনের সমস্যা:
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে প্রত্যেকের। কিন্তু নানা কারণবশত শরীরের রোগ বাসা বাঁধে। হলে স্বাভাবিকভাবে জীবন এগিয়ে যেতে পারে না। ইদানিং কালে মহিলাদের মধ্যে জরায়ুতে নানা ধরনের সমস্যার কথা শোনা যায় (Various types of uterine problems in women)।
আরো পড়ুন – ৭৫ বছর পর ভাই বোনের হঠাৎ দেখা! হারিয়ে যাবার সম্পর্কের মিলন গাথা নিয়ে তৈরি এক রূপকথা
অজান্তেই এই সমস্যা কখন যে মারণ রোগ ক্যান্সারের কারণ হয়ে ওঠে তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। তবে এবার বাজারে আসছে এই রোগ প্রতিশোধ হোক অর্থাৎ ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং নিজে এই ভ্যাকসিনটি চালু করেন (Launched the vaccine)। এই বিশ্বের বুকে যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক রোগের কথা শোনা যায় তার মধ্যে দ্বাদশ স্থানে জরায়ুমুখ ক্যান্সার রয়েছে।
মেয়েরা জরায়ুর টীকা নেওয়ার যোগ্য:
প্রতি এক লক্ষের মধ্যে ১৬ জন নারী এই রোগে আক্রান্ত হন এবং তার অর্ধেক মারা যান। এ সমস্যাটা শুধু এদেশের নয় প্রায় আশি শতাংশ উন্নয়নশীল দেশেই এই একই ছবি ধরা পড়ে। এবার এসে গেল এই রোগের টিকা। দশ বছরের পর থেকেই মেয়েরা এই টীকা নেওয়ার যোগ্য।
আরো পড়ুন – চোখের জলের কোন দাম হয় না ? ডাক্তাররা বলছেন ভালো থাকতে গেলে চোখের জল ফেলা জরুরি ! কেন?
এই ভ্যাকসিনের মোট তিনটি ডোজ নিতে হবে l নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের মাস ছয়েক পর তৃতীয় ডোজ নিতে হয়। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি কে এই বিষয়ে ধন্যবাদ দিতেই হয় (uterus problem treatment)।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত থাকবে মেয়েরা:
কোয়াড্রিভ্যালেন্ট হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস ভ্যাকসিন তারাই চালু করেছে বলে জানা যায়। মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই ভ্যাকসিন এর প্রসঙ্গে জানান যে এটা সত্যিই খুব আনন্দের খবর। একদিকে প্রধানমন্ত্রী সর্বদা নারীদের উন্নতির কথা বলছেন। অন্যদিকে নারীদের সুরক্ষিত আর সুস্থ রাখার জন্য বিজ্ঞান এবং গবেষণা সংস্থা কাজ করছে (common female uterus problems)।
আরো পড়ুন – আজও দূরে অমিতাভ রেখা! রেখার ভাগ্য আর জয়া বচ্ছনের ভাগ্য যেন একে অন্যের সঙ্গে লড়াই!
আর এই দুইয়ের মেলবন্ধনেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে এখন অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে মেয়েরা। মাথায় রাখতে হবে, সংক্রমণ কমানোর জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করা দরকার। যদি কোন রকমের অস্বস্তি মনে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক। বিশ্বের বাজারে এই ভ্যাকসিনের ঘাটতি ছিল।
আরো পড়ুন – অম্বল হয়েছে, বুক জ্বালা করছে, পেট ফাঁপা,পেটের সমস্যা! আলসার হয়নি তো ? সাবধান!
তবে এবার সবটাই হল ভারতের নিজস্ব গবেষণার ফল। ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ইতি আরো বেশি করে কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন ডক্টর এন কে অরোরা।
বিবেকানন্দ বলেছিলেন নারী এগোতে না পারলে হতে পারে না। সুতরাং নারীকে সুস্থ সুরক্ষিত রাখা গোটা জাতির কর্তব্য এবং দায়িত্ব।