Breaking Bharat: রাস্তা থেকে কখনো টাকা কুড়িয়ে পেয়েছেন? জানেন কি এইরকম অবস্থায় কী করা উচিত আপনার? ধরুন কারুর ওয়ালেট কুড়িয়ে পেলেন আর তাতে রয়েছে প্রচুর টাকা। তখন কি নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন?
প্রতিটা মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লড়াই করছেন টাকা রোজগারের আশায়। ঘুম থেকে উঠে থেকে দৌড়াদৌড়ি শুরু। একটু ভালো থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করা অতিরিক্ত চাওয়া কখনোই নয়। কিন্তু সেখানেও কনফিউশন কারণ কারোর ভাগ্যে প্রচুর টাকা। আবার কেউ কিছু পায় না। তাহলে এখন কি উপায়?
রাস্তায় টাকা কুড়িয়ে পেয়েছেন:
ঈশ্বরের কাছে আস্ফালন করা, তাই না? এবার ধরুন হঠাৎ করে আচমকাই রাস্তা থেকে টাকা পেয়ে গেলেন। মানে বলতে চাইছি ধরুন কারুর ওয়ালেট কুড়িয়ে পেলেন আর তাতে রয়েছে প্রচুর টাকা। তখন কি নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন?
ইহকাল এবং পরকাল এই শব্দগুলোর প্রতি মানুষের অগাধ বিশ্বাস। একবারও বলছি না যে এই শব্দগুলোর অস্তিত্ব আছে কি নেই সেই নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ আমরা বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞানকে মেলাতে এই প্রতিবেদন তৈরি করছি না। আমরা একটা সাধারণ মানসিকতার মানুষ এই ধরনের সিচুয়েশনে পড়ে ঠিক কী করেন বা তার কোনটা করা উচিত সেই নিয়েই আলোচনা করছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার একটা লাইন ভীষণভাবে মনে পড়ছে,
“এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালীর ধন চুরি”
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন চাওয়ার কোন শেষ নেই। কিন্তু এটা সত্যি কথা যে পাওয়ার মতো ভাগ্য সকলের থাকে না। তাই হঠাৎ করে কিছু পেয়ে গেলে একটু অপ্রস্তুত হয়ে যেতে হয় আমাদের। এটার জন্য দায়ী অবশ্যই মধ্যবিত্ত মানসিকতা।
সে যাই হোক রাস্তা থেকে কারোর ওয়ালেট বা ‘টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পেলেন‘ সে ক্ষেত্রে সযত নেতা নিজের কাছে রেখে দেন নাকি পুলিশের কাছে যান না অন্য রকমের ভাবনা চিন্তা করেন এই সবটাই নির্ভর করে আপনার মানসিকতা এবং পরিস্থিতির উপর। আগেকার দিনে মা ঠাকুমারা এইভাবে নীতি শিক্ষার গল্প বলতেন।
তারা বলতেন ভগবান এই প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের অন্তরে কী আছে তা যাচাই করে নিতে চান। কিন্তু বাস্তবটা হল আপনার পরিস্থিতি কেমন আর আপনি গোটা বিষয়টাকে ঠিক কোন চোখে দেখছেন সবটাই একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। এই বিষয়ে উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে।
ধরুন আপনার খুব টাকার দরকার বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেই অবস্থায় হঠাৎ একদিন রাস্তায় টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পেলেন আপনি। তখন কি আর নিজের সৎ মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে সেই টাকার ব্যাগ ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন নাকি ভাবতে না আপাতত ওই টাকাগুলো আপনার দরকার আর ঈশ্বর হয়তো আপনাকে সাহায্য করতেই এভাবে টাকা দিয়ে দিয়েছে।
আবার এটাও হতে পারে হয়তো আপনারই মতো বিপদে পড়ে ওই টাকা জোগাড় করে নিয়ে যাচ্ছিলেন কেউ । ঘটনাচক্রে সেই ব্যক্তির হাত থেকে ব্যাগ হারিয়ে গেছে। থানা পুলিশ করবেন? কিন্তু সেখানেও যে আপনি সঠিক মানুষের কাছেই তার হারিয়ে যাওয়া জিনিসটি ফিরিয়ে দিতে পারছেন তার গ্যারান্টি পাবেন কি? আরে এতগুলো কনফিউশন থেকেই কেউ আর ঝক্কির মধ্যে যায় না পুরোটাই চেপে যায়।
আরো পড়ুন – রোজগারের টাকা সঞ্চয় হচ্ছে কি? ভেবে দেখুন না বিপদ বাড়বে আপনার!
অনেকেই সেই টাকা নিয়ে অনাথ আশ্রম বা বৃদ্ধাশ্রম বা নিদেন পক্ষে মন্দিরে দান করেন। এতে পুণ্যের পাল্লা ভারী হয় বলে বিশ্বাস করেন মানুষ। কিন্তু আমার প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। মানুষকে সাহায্য করার জন্য যার টাকা তার কাছে পৌঁছে দেওয়াটা দরকার সেক্ষেত্রে যদি সেই ব্যাগের মধ্যে কোন যোগাযোগের ঠিকানা থাকে সেই মাধ্যমকে ব্যবহার করা অবশ্যই উচিত।
আরো পড়ুন – মেয়েদের পোশাক বারবার কেন সমাজের প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে?
দেখুন খারাপ ভালো সব মানুষের মধ্যেই থাকে কিন্তু তাই বলে পুলিশ মাত্রই সে ঘুষ নেবে তা আপনার কথা শুনবে না এই ভাবনাকে যদি প্রশ্রয় দেন, তাহলে সমাজে কোনভাবেই উন্নতির পথ আপনি খুঁজে পাবেন না। চেষ্টা করুন নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করাতে।
আরো পড়ুন – জামাই নম্বর ওয়ান! বিয়ের সিজনে হিট জামাই ঠিক কেমন হয় বলুন তো?
ধরুন আপনি যে টাকাটি কুড়িয়ে পেয়েছেন সেটা আপনি নিজের কাজে লাগিয়েছেন কিন্তু সেই কথাটা ভুলবেন না। কোন না কোন ভাবে পে ব্যাক করার সময় এবং সুযোগ আপনি হয়তো ভবিষ্যতে পাবেন। তখন আর বিষয়টি হেলায় হারাবেন না। সাময়িকভাবে লোভ প্রতিটা মানুষের মধ্যেই আছে।
তাই সে সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই লোভের বশে আপনি কোন কাজ করছেন সেটার উপর কিন্তু ঈশ্বরের বিচার নির্ভর করে বলে মনে করেন ধর্ম বিশ্লেষকরা।