Breaking Bharat: যেখানে গায়ের পোশাক থেকে পায়ের জুতো , সবকিছুতেই রয়েছে নিষেধাজ্ঞা! নিজের পছন্দমত কিনতে পারবেন না কিছুই?
বিভিন্ন দেশে কিছু না কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। কোথাও কোনো খাবার খাওয়া বারণ তো কোথাও কোন মানুষের যাওয়া বারণ। যে দেশে বা যে স্থানে যাচ্ছেন সেখানকার কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় সবাইকে। কিন্তু যদি এরকম ঠিকানার সন্ধান পান যেখানে গায়ের পোশাক থেকে পায়ের জুতো, সবকিছুতেই রয়েছে নিষেধাজ্ঞা তাহলে বাঁচতে পারবেন কি? একটি অদ্ভুত শুনতে লাগলেও আজ আপনাদের সেই কথাই বলবো।
পোষক ব্যাপারটা একেক মানুষের একেক রকম। এটা নির্ভর করে মানুষের পছন্দের ওপর। তবে হ্যাঁ চারপাশের অবস্থার প্রেক্ষিতে পোশাক নির্বাচন করাটা বাঞ্ছনীয়। যেমন ধরুন শ্রাদ্ধ বাড়িতে নিশ্চয়ই বেনারসি পড়ে যাবেন না আপনি কিংবা হসপিটালে বিয়ে বাড়ির মত সাজ সেজে রোগী দেখতে যাবেন না।
আসলেই সবকিছুর একটা মানানসই বলে ব্যাপার আছে। এই বিষয়টা স্পষ্ট করে জেনে নেওয়া দরকার। আগেকার দিনে পুরুষ বা মহিলাদের এক ধরনের পোশাক পরার চল ছিল। এখন সেটা অনেকটাই বদলে গেছে। ভারতের মতো দেশেই নানা বৈচিত্রের সমাহার দেখা যায়।
আর যদি বিদেশ ভ্রমণের কোন পরিকল্পনা থাকে তাহলে সেই দেশের ড্রেস কোড সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নেওয়া দরকার। আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নানা দেশের কিছু বিশেষ বিশেষ নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরবো এই প্রতিবেদনে।
হাই হিল পরে এদিকে ওদিকে চলাফেরা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ:
আমরা সকলেই জানি যে ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে পশ্চিমে দেশে বিকিনি পড়ে সমুদ্র সৈকত কিংবা এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ানোটা খুব একটা অশালীন নয়। কিন্তু এই কাজটি আপনি স্পেনে গিয়ে একেবারেই করবেন না। স্নানের পোশাক পড়ে সেই দেশে রাস্তায় বেরোনো দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিশেষ করে স্পেনের মাজোর্কা ও বার্সেলোনার পাশাপাশি ক্রোয়েশিয়া, মালদ্বীপ এবং তুরস্কের রাস্তায় যদি বিকিনি জাতীয় কোন স্নানের পোশাক পড়ে আপনি হাঁটতে বেরন তাহলে কিন্তু সেখানকার পুলিশ আপনার জরিমানা করবে। এখানেও শেষ নয়, শুনতে অবাক লাগলেও স্পেনে আপনি চটি পরে গাড়ি চালাতে পারবেন না। এটা ওই দেশে অপরাধ।
আরো পড়ুন – uterus problems : মহিলাদের জরায়ুতে সমস্যা! অজান্তেই ক্যান্সারের ঝুঁকি? বাজারে আসছে ভ্যাকসিন!
মহিলাদের মধ্যে অনেকেই হাই হিল করে চলাফেরা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি গ্রিস দেশে হাই হিল পরে এদিকে ওদিকে চলাফেরা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অবশ্য এর স্বপক্ষে সে দেশের সরকারের এবং প্রশাসনের একটি যুক্তি আছে আর সেটি হল স্থাপত্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
আরো পড়ুন – আজও দূরে অমিতাভ রেখা! রেখার ভাগ্য আর জয়া বচ্ছনের ভাগ্য যেন একে অন্যের সঙ্গে লড়াই!
আপনার নিজের দেশে যেমন আপনি যখন-তখন যেরকম খুশি পোশাক পড়তে পারেন । মানে ধরুন ইচ্ছে হলো তো সেনাবাহিনীর মতো পোশাক কখনও ইচ্ছে হলো তো সাহেবের মত পোশাক। কিন্তু এই কাজটি আপনি বার্বাডোজে করতে পারবেন না। আপনি যদি সেনাবাহিনীর লোক না হন তাহলে ওই জাতীয় ট্রাউজার বা শার্ট মজার ছলেও পরতে পারবেন না।
আরো পড়ুন – অম্বল হয়েছে, বুক জ্বালা করছে, পেট ফাঁপা,পেটের সমস্যা! আলসার হয়নি তো ? সাবধান!
বিশেষ করে বার্বাডোজের সেন্ট ভিনসেন্ট এবং সেন্ট লুসিয়াতে এমন বিভ্রান্তিকর পোশাক পরা মানি আপনি অপরাধ করছেন তার জন্য শাস্তি পেতে হবে। চারপাশ যখন মুখোশ ময় তখন মুখ আড়াল করার মত কোন পোশাক কিন্তু ফ্রান্সে সিদ্ধ নয়। ঠিকই শুনছেন মূলত দেশের উপর যাতে কোন আক্রমণ না হয় তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সচেতন থাকে ফরাসি সরকার।
আরো পড়ুন – চোখের জলের কোন দাম হয় না ? ডাক্তাররা বলছেন ভালো থাকতে গেলে চোখের জল ফেলা জরুরি ! কেন?
সেই কারণেই মুখ লুকিয়ে ফ্রান্সে ঘোড়া একদম সম্ভব নয়। প্রতিবেদনের শুরুতে বলেছিলাম নারী পুরুষ এখন যেরকম খুশি পোশাক পরতে পারেন বিশেষ করে পয়েন্ট বা শর্ট নারীদের কাছে ভীষণ কমন ব্যাপার। তবে সুদানে ব্যাপারটা একেবারেই সহজ নয়।
পুরুষদের কোন পোশাক নারী ব্যবহার করতে পারেন না। আবার সেখানে পুরুষ কোন রকমের মেকআপ সমগ্র ব্যবহার করতে পারবেন না। বলুন দেখি কী কান্ড! একেই বোধহয় বলে “যস্মিন দেশে যদাচার”!