Breaking Bharat: টয়লেটের সঙ্গে টুথপেস্ট এর সম্পর্ক থাকতে পারে? (clean teeth) মুখ বিকৃত করলেও আজকের প্রতিবেদনে উঠে আসবে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
সভ্যতার আলো যত পৌঁছেছে ততই আধুনিক হয়েছে মানুষ। প্রাচীনকালের অভ্যাস ছেড়ে এবার নতুন করে এগিয়ে চলা। তবু কিছু কিছু অভ্যাস যেন আজও রয়ে গেছে। সময় বিশেষে বদল ঘটেছে অনেকটা। বিশেষ করে এখন মানুষ অনেক বেশি করে স্বাস্থ্য সচেতন।
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য সচেতনতা মানে কুসংস্কার কখনোই নয়। আগেকার দিনে মানুষ অনেক টোটকা ব্যবহার করতেন যার কোন বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি ছিল না। আপনি নিশ্চয়ই জানেন দাঁতের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরী (How important is dental care?)। ঝকঝকে মুক্তোর মতো দাঁত সকলেই চায়। এর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে দাঁতের যত্ন নিলেই কাজটা সহজ হয়।
প্রাচীনকালে দাঁতের যত্ন নিতে প্রস্রাব দিয়ে দাঁত পরিষ্কার:
কিন্তু আপনি বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না যে প্রাচীনকালে দাঁতের যত্ন নিতে প্রস্রাব দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করার রীতিও প্রচলিত ছিল। অজ্ঞতা যে মানুষকে কতটা অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারে এটাই তার প্রমান!
আধুনিক যুগের সব থেকে বড় সুবিধা হল আজ গোটা পৃথিবী হাতের মুঠোয়। মাত্র একটা ক্লিকে সমাধান চোখের সামনে। আর সেখান থেকেই হাইজিন সম্পর্কে নানা জ্ঞান অর্জন করতে পারি আমরা। কথায় কথায় কথা বাড়ে, তাই কথার অন্যতম উপযোগী দাঁতের কথা এবার বলা যাক।
বিজ্ঞান অনেক নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করে সকলের সামনে জ্ঞানের পরিধি খুলে দিয়েছেন। তবে আজ অতীতের কিছু জঘন্য অভ্যাসের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই যাতে আপনি বুঝতে পারেন বিবর্তনের পথে মানুষ কতটা এগোতে পেরেছেন। ]
দাঁতের দাগ দূর করতে প্রস্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার:
আপনি কি জানেন, আজকাল আমরা যে টুথব্রাশ, টুথপেষ্ট কিংবা বাথরুমের টয়লেট পেপার ব্যবহার করছি সেই অভ্যাস কিন্তু ২০০ বছরের বেশি পুরনো নয়। প্রাচীন রোমান সভ্যতার কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করলে হিসেবটা পরিষ্কার হয়ে যায়। রোমানরা দাঁতের দাগ দূর করতে প্রস্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন।
আপনার শুনতে ঘেন্না লাগলেও বাস্তবে এমনটা হতো। কিন্তু এই ধরনের কার্যকলাপের পেছনে তাদের যুক্তি ছিল সেটা এবার বলি। আসলে প্রস্রাব যদি পৌঁছে যায় সেটা অ্যামোনিয়া এসিডে পরিণত হয়। আর অ্যামোনিয়ার তীব্র গন্ধের কথা আমরা সবাই জানি।
নাগরিকদের প্রস্রাব অর্থের বিনিময়ে কিনে আনতেন:
এমনিতেই বিভিন্ন টয়লেট ক্লিনার হিসেবে অ্যামোনিয়ার নানা ধরনের যৌগ রাসায়নিকভাবে প্রস্তুত করে দোকানে বিক্রি করা হয়। রোমানরা মনে করতেন মানুষের প্রস্রাব দিয়ে মুখ ধুলে প্রস্রাব পচে গিয়ে যে অ্যামোনিয়া তাতে উৎপন্ন হয়, তার থেকে দাঁতের দাগ (teeth stains) দূর হতে পারে।
এমনকি যেসব রোমানরা তুলনামূলকভাবে একটু ধনী ছিলেন, তারা তো পর্তুগাল থেকে সেখানকার নাগরিকদের প্রস্রাব অর্থের বিনিময়ে কিনে আনতেন। আরো অদ্ভুত কথা শুনতে হবে আপনাকে এই প্রতিবেদনে। যদি মনে করেন না কোন রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখবেন সেভাবে প্রতিবেদন করতে পারেন আপত্তি নেই।
পাবলিক টয়লেট তৈরি করেছিল তারাই:
জানিয়ে রাখি অপরিচিত মানুষদের সাথে বাট ব্রাশ শেয়ার করায় প্রাচীন রোমানদের জুড়ি মেলা ভার। রোমানরা ছিলেন ভালো নির্মাণ কর্তা। পাবলিক টয়লেট তৈরি করেছিল তারাই। এমনকি সেই পাবলিক টয়লেটে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন – Black magic : যেখানে অমাবস্যায় যেতে ভয় পান সকলেই? জাদু করে বশ করা হয় মানুষকে?
আসলে সেই সময় থেকেই পাবলিক টয়লেটগুলির লক্ষ্য ছিল রোমের বড় শহরগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করা। টয়লেট পেপার , টিস্যু এইসব নিয়েও তারা সচেতন ছিল। মলত্যাগের পরে মলদ্বার পরিষ্কার রাখার জন্য জাইলোস্পনজিয়াম নামে এক ধরনের স্পঞ্জ ব্যবহার করতো। তারা ব্যবহারের পরে এই জিনিসটাকে মনে ভরা জলের বালতিতে রেখে দিত যাতে অন্যরা পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারে।
আরো পড়ুন – Kottankulangara : শাড়ি কি শুধুই মহিলাদের পোশাক? ভারতের কোন স্থানে পুরুষ শাড়ি পরে, জানেন কি?
জোঁক পদ্ধতির কথা জানেন?
আরো কিছু অভ্যাসের কথা বলব এরপর। জোঁক পদ্ধতির কথা জানেন? আসলে প্রাচীন মিশরে এই রীতি প্রচলিত ছিল। চিকিৎসকেরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হিসাবে জোঁক ব্যবহার করতেন। সপ্তদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতেও এই পদ্ধতি ব্যবহার হত।
আরো পড়ুন – Destination Wedding : বাড়িতে বিয়ে এখন অতীত, বিবাহ বাসরেই কেল্লাফতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর?
ডাক্তারেরা কখনো কখনো রক্তপাত করানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেন। আর সেই রক্তপাতের একটি সাধারণ পদ্ধতি ছিল ব্যক্তির ত্বকে জোঁক প্রয়োগ করা। জানেন গর্ভপাত করাতে গর্ভপাত গোবরের ব্যবহার করা হত।
নারীদের যৌন মিলনের আগে যোনিতে কুমিরের মল:
জানা যায় প্রাচীন মিশরীয় নারীদের যৌন মিলনের আগে যোনিতে কুমিরের মল বা গোবর দিয়ে দেওয়া হত। এর পেছনের যুক্তি ছিল যেহেতু গোবরে ক্ষার হিসেবে প্রচলিত, তাই এটি শুক্রাণুনাশক হিসাবে কাজ করতে পারে।
আরো পড়ুন – adventure : অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন? এক একটা অ্যাডভেঞ্চার করতে প্রায় ৩০ লক্ষের মতো খরচ! জানেন?
প্রাচীনকালের অদ্ভুত কিছু যুক্তির তালিকা টা শেষ হবেনা। ওই যে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু আর তর্কে বহুদূর। এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের সমস্যা হতো। কিন্তু কে কাকে বোঝাবে। অবশ্য আজকের ছবিটা সম্পূর্ণ বিপরীত।