Breaking Bharat: বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কোণঠাসা পরিস্থিতি চীনের (China)। পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত শুল্ক সংক্রান্ত যেসব সুবিধা পেত চীন, তাতে যৌথভাবে লাগাম টানছে আমেরিকা ও ইউরোপের ৩০টিরও বেশি দেশ। অর্থাৎ ওই সমস্ত দেশে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কের বিষয়ে পাওয়া সুবিধা থেকে এবার বঞ্চিত হবে চীন। এমনকী, চীনের সংস্থাগুলি ওই দেশগুলিতে যে বাণিজ্যিক সুবিধা পাচ্ছিল, তা থেকেও বঞ্চিত হবে। আর এর ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে তারা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই ব্যাপারে ভিন্ন সুর চীনের। যেকোনওরকম প্রতিযোগিতার জন্য যে তারা প্রস্তুত, সরকারিভাবে জানিয়েছে বেজিং।
গোটা বিশ্বে চীনের ভাবমূর্তি নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন। গত বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়েও একাধিক দেশ আঙুল তুলেছে বেজিংয়ের দিকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জেরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ‘না’ করার সিদ্ধান্তও জানিয়েছে বহু দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কড়া পদক্ষেপ করেছেন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে ফের ধাক্কার মুখে চীন, এমনটাই জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। আর এবারও সেই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই পড়ল কোপ।
সূত্রের খবর, বিশ্বের ৩২টি দেশ পণ্য প্রবেশের জন্য চীনকে নানা সুবিধা দিত। ১৯৭৮ সাল থেকেই চলছিল এই নিয়ম। বিশেষত শুল্কে ছাড়ের সুবিধা পেত। কিন্তু আগামী মাস থেকে সেই নিয়মের বদল আসতে চলেছে। ওই দেশগুলি যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামনের মাস থেকে শুল্কে ছাড়ের নিয়মটি তারা আর চালু রাখবে না। যার ফলে চীনের অর্থনীতির ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে বলে অনুমান।
আরো পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা! যেখানে আজও পর্যটন নিষিদ্ধ! কেন জানেন?
হংকং-এর সংবাদ সংস্থা HK01-এর সূত্রে জানা গেছে, ৩২টি দেশ চিনকে তাদের বাণিজ্য পছন্দের তালিকায় থাকা বেশ কিছু শুল্কমুক্ত পণ্যের সুবিধা থেকে সরিয়ে দেবে বলে সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে। সংবাদসূত্রের ওই প্রতিবেদনে সম্প্রতি জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ কাস্টম্স চায়না-র একটি বিবৃতিও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন- সিঙ্গাপুর হয়ে উঠেছে বিত্তশালী! কিন্তু কীভাবে এই দেশটি এত উন্নত ও ধনী হলো?
এদিকে চিনের কাস্টমসের তরফে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের ৩২টি দেশ আর কোনও রকম অনুকূল শুল্ক প্রদান করবে না বেজিংকে। সেই দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা, কানাডা, তুরস্ক, ইউক্রেন এবং লিচেনস্টাইন উল্লেখযোগ্য। তারা GSP বাণিজ্য সুবিধার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত মনে করছে না বলেই চীনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই তালিকায় নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি নেই। বরং তারা একত্র হয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনুকূলই রেখেছে।
আরো পড়ুন- আকাশে প্লেন ও পাখির মুখোমুখি সংঘর্ষে কী হয় জানেন?
তবে এই সিদ্ধান্তের জেরে অর্থনীতিবিদরা যে বারবার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন, সেরকম সুর শোনা যায়নি বেজিং কর্তৃপক্ষের বয়ানে। উল্টে এই সিদ্ধান্তে তাদের বাণিজ্যে যে সামান্যও প্রভাব পড়বে না, সেই ব্যাপারে আশাবাদী তারা। তাই সরকারিভাবে এই বিষয়টিকে সামান্যতম গুরুত্ব দিতেও নারাজ চীন। পাশাপাশি তারা এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এর দলে কোনও নিম্ন-আয়ের এবং নিম্ন-মধ্যম-আয়ের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যের রাস্তা বেরিয়ে আসবে৷ চীনা পণ্য যে আন্তর্জাতিক দরবারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম, সেই কথাও শোনা গেছে বেজিং কর্তৃপক্ষের কথায়৷