Breaking Bharat: সারাক্ষন ইন্টারনেটে মগ্ন থাকে বাড়ির বাচ্চারা? কী করছে সে জানেন? যতদিন যাচ্ছে ভার্চুয়াল জগতের প্রতি আপনার সন্তানের আগ্রহ কি বাড়ছে? সন্তান কি করছে সারাদিন মোবাইল আর ইন্টারনেট নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন (Children use the Internet all the time)?
আজকাল সবকিছুই ভার্চুয়াল হয়ে গেছে অর্থাৎ অ্যাকচুয়ালের সময় শেষ ভার্চুয়াল সময় শুরু। ভাবতেও অবাক লাগে বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে শেষকৃত্য সবটাই ভার্চুয়ালি করা যায় আজকাল। আসলে করোনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিগত একটা পরিসর তৈরি করা।
আইসোলেশন শব্দটা শুধুমাত্র একটা রোগের জন্য নয় জীবনের জন্য কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই শিক্ষা আমরা আগে পাইনি। এইসবের জেরেই ভার্চুয়াল জগতে মোহবন্দী হচ্ছি আমরা আর আমাদের সন্তানরা। সারাক্ষণ মুঠোফোনে তৈরি একটা স্বপ্নের জগৎ। কী হচ্ছে সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারি কি সবসময়?
অনলাইন দুনিয়ায় আটকে আছে বাড়ির সন্তানরা:
অনলাইন দুনিয়া ৭০ বা ৮০ বা ৯০ এর দশকের মানুষ দেখেননি কিন্তু তাই বলে কি তারা বাঁচেননি? সবটাই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে আজ সবকিছুই বন্ধ দরজার ওপারে। কারণটা অবশ্য সঙ্গত ছিল কারণ রোগের ভাইরাস জীবনের পর জীবন তছনছ করে দিচ্ছিল।
কিন্তু পরিস্থিতির স্বাভাবিক হবার সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতাও কি আগের মত জায়গায় ফিরল? এরপর যখন কোন কিছুরই নেশা তৈরি হয় সেটা কাটিয়ে ওঠা খুব একটা সহজ বোধহয় হয় না। আর্থিক সেই কারণেই আমাদের ঘুমোতে যাওয়া খাওয়া-দাওয়া করা এইসবের মতোই রোজকার রুটিনে ঢুকেছে অনলাইন দুনিয়ার আধিপত্য।
সন্তান কি করছে সারাদিন মোবাইল আর ইন্টারনেট নিয়ে?
পড়াশোনা হয়েছিল অনলাইনে প্রায় বছর দুই। তারপর থেকে বাড়ির সন্তানরা ওইখানেই আটকে আছে। আর বাবা-মাও কেমন যেন নিশ্চিন্ত হাতের মধ্যে একটা মোবাইল ফোন তুলে দিয়ে। সন্তান কি করছো সারাদিন মোবাইল আর ইন্টারনেট নিয়ে সে বিষয়ে কারোর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
মা-বাবারও ব্যস্ত তাই তাদের হাতেও সময় নেই। যেটুকু সময় পাচ্ছেন, তাতে মানুষের বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে আত্মীয়তা নয়, বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব পাতানোর আর দেশের দশের বিষয় নিয়ে পিএনপিসি করা সুযোগ খুঁজছেন। এটা শিখছে বাড়ির ছোট মানুষগুলোও।
আরো পড়ুন – একতরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায়! ভালোবাসার কষ্ট আর নিতে পারছি না!
একই ফর্মুলা তারাও অ্যাপ্লাই করছে তাদের অনলাইন জগতে আর অফলাইন মানসিকতায়। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখেছেন যত সময় যাচ্ছে মানুষ কত হিংস্র হয়ে পড়ছে? আজকালকার বাচ্চারা যেভাবে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে বা সাধারন কথোপকথনের মধ্যে যে শব্দ ব্যবহার করে সেগুলো কোথা থেকে শিখছে তারা? সবটাই কিন্তু ইন্টারনেট দুনিয়ার কেরামতি।
একটা বাচ্চারা সারাক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার:
আপনি ভালো স্কুল আর ভালো নম্বরের পেছনে ছুটছেন ভালো মানুষ হওয়ার কথা ভাবলে বোধহয় পৃথিবীটা আরো সুন্দর হয় শুধু আপনার বাচ্চার নয় বাকিদেরও। শারীরিক দূরত্ব রোগের কারণে বাড়াতে হয়েছিল কিন্তু মানুষের দূরত্ব বাড়াবার মতো প্রয়োজনীয়তা করছে কেন এই বিষয়টা নিয়ে বোধহয় এবার ভাবনা চিন্তা করার দরকার।
আরো পড়ুন – Fake Eggs: ডিম খেতে ভালোবাসেন? বাজার ভর্তি নকল ডিম! খাঁটি চেনা দেয়, তাই না?
ইন্টারনেটে অনেক কিছু থাকে একটা ‘বাচ্চার সারাক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার’ করতে পারলে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিকৃষ্ট এবং নিষিদ্ধ জিনিসের দিকে তারা আগ্রহ বাড়বে যা আখেরে সমাজের ক্ষতি করবে।
এসব কিছু কাটিয়ে ওঠার একটা সহজ উপায় হল আপনার সন্তানের সঙ্গে আপনার যোগাযোগটা আরো গভীর হওয়া। এমন সময় আসবে কেন যাতে আপনার সন্তান কি সময় কাটানোর জন্য মোবাইল হাতে তুলে নিতে হয়।
আরো পড়ুন – ডেবিট ক্রেডিট কার্ডের উপরে থাকা Visa, Mastercard এবং Rupay নামের অর্থ কি?
কোন সমস্যা হলে আগে সে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে ভালো ঘটনা সেটা মা-বাবাকে জানাবে । এভাবেই তো ভাই বোন দাদা দিদি বাবা মা সবার সঙ্গে একটা দারুন সম্পর্ক হবে। দাদু ঠাকুমারাও সাহায্য করবেন। কিন্তু এখন দূরত্ব এতটাই বেড়ে গেছে যে বাবা-মা শাসন করলেও সেটা বকুনি বলে মনে হয়।
ফলে একটু একটু করে সন্তান তার মা বাবা আর আত্মীয়দের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে অনলাইন দুনিয়ার হাতছানিতে। মাথা রাখবেন শিশুর বয়স যদি ১৪-১৫ এর নিচে হয় তাহলে তাকে শাসন করা যেমন দরকার তেমনি শিশুসুলভ আচরণটা করতে হবে ।
আরো পড়ুন – টাইট জামা কাপড় একদম নয়! টাইট জিন্স পড়লে বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে, জানেন?
বয়স বাড়লে তার বন্ধু হয়ে মিশতে হবে আপনাকে। সবকিছুর একটা উপযুক্ত সময় আর বয়স আছে। এই কথাটা যদি একবার আপনার সন্তান বুঝে যায়, আর তার মধ্যে যদি মূল্যবোধকে ভালো করে ঢুকিয়ে দিতে পারেন আপনি তাহলে হাজার একটা নিষিদ্ধ বা খারাপের হাতছানিও তাকে বিপথে চালিত করতে পারবে না। ফলে বিপদ আসবে না নিশ্চিন্তে থাকুন আপনি।