Breaking Bharat: চায়ের দোকানে বাঙ্গালীর আড্ডা এ যেন চিরন্তন একটা ব্যাপার। অবশ্য এর সাথে বেকার জীবনের দিনগুলো অনেক বেশি করে জড়িয়ে আছে। এক কাপ চা আর দুটো বিস্কুট। এ যেন এক স্বর্গীয় স্বাদ। অনেক ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বা কাগজের কাপ ব্যবহার করা হলেও, ভাঁড়ে চা অনেক বেশি প্রিয় বাঙালির। কি নস্টালজিয়ায় ফিরতে ইচ্ছে করে?চলুন তাহলে ফেরা যাক!(Chat special in tea shop)
কেন জানিনা আপনার মনে হয় ফেলে আসা দিন গুলোই ভালো ছিল। মনের কথাটা পড়ে ফেললাম তো ? আসলে ফেলে আসা দিনগুলো আমাদের মনের ভেতরে অনেক বেশি করে জায়গা নিয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম এই চা আর রকের আড্ডা। রাস্তার ধারে চায়ের দোকান (Road side tea shop) মানে একসাথে অনেক সুবিধা। রাস্তার ধারে হাওয়া খেতে খেতে চা সাথে খোশমেজাজে গল্প আর অনেক কিছু চোখের সামনে দেখতে পাওয়া।
এসবের একটা ম্যাজিক কম্বিনেশন ।আছে। “দাদা একটা কে দুটো” – মনে পড়ে কথাগুলো? যেকোনো বড় নাটক বা সিনেমা কিংবা রাজনীতির আইডিয়া আলোচনা রাস্তার ধারে চায়ের দোকান থেকেই জন্ম নিয়েছে। তাই এক কথায় বলতে গেলে চায়ের দোকানের মহিমা অপার।চায়ের দোকানে আসা নানারকম লোকজনের নানারকম কথা শোনার সুযোগ।
আরো পড়ুন- Savings bank Account: ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা কী?
কারোর আবার এখান থেকেই হয়তো চাকরি বা ভবিষ্যতের কোনো ক্লু পেয়ে যাওয়া। এখানে দোকানীর একটা বড় ভূমিকা থাকে। বড় জায়গায় বসলে বিল নিয়ে চলে আসা মানেই আপনাকে উঠতে হবে। চায়ের দোকানের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। বরং দোকানি নিজেই তার কাস্টমারদের জন্য সব ব্যবস্থা করে রাখেন।
আরো পড়ুন- Avoid these people: এই ধরনের মানুষদের কখনো পাত্তা দেওয়া উচিত নয়, কেন জানেন ?
সবকিছুর যেমন শেষ হয় সেভাবেই , একের পর এক প্রজন্ম চায়ের দোকানে, রাস্তার ধারে ভিড় করে। আবার কালের নিয়মে তারা চলে যায় অন্য কোথাও। তবু আজকে নয় কালকে নিও, এইভাবে ধার বাকিতে চা খাওয়া রাস্তার ধারের চেনা দোকান ছাড়া আর কোথাও সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন- Stop Spam call: বারবার স্প্যাম কল আসছে ? কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? জানেন কারা করছে এই কাজ?
বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলেমিশে অনেকটা সময় কাটানোর এই জায়গাটা বাঙালির মনে চিরকাল থেকে যাবে।