Breaking Bharat: চাকা দেখতে চকচক , দেখতেও তাই কিন্তু শুধু হাওয়া খেয়েই এনার্জি পায়? আর হাওয়া খায় কেন?দুই , চার কিংবা দশ , মাটির সঙ্গে চাকা লেগে থাকার মানে আপনি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাই না? কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন , চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু চাকা খায় কী? আপনি হয়তো ভাবছেন এই উত্তর তো সবার জানা। চাকায় হাওয়া (Car tires) দিলে তা ফুলে যায় আর হাওয়া না থাকলে চুপসে যায়। কিন্তু বারে বারে হাওয়া দিতে হয় কেন? নিরেট টায়ার কেন বানানো হয় না? (Which tyre brand lasts longest?)
গাড়ির টায়ারে কেন বাতাসের প্রয়োজন হয়?
আজকের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হবে ।সেখানেই যুক্তিসম্মত ভাবে কারণ ব্যাখ্যা করা আছে, সেটা খুঁজে দেখা যাক। সাল ১৮৪৫, রর্বাট থমসন প্রথম নুম্যাটিক টায়ার উদ্ভাবন করেন । এগুলো হোক উচ্চচাপের বায়ুপূর্ণ টায়ার। যদিও এর আগেও চাকার ব্যবহার ছিল। আগে রবারের তৈরী নিরেট টায়ার সাইকেল বা ঘোড়ায় টানা গাড়িতে ব্যবহার করা হত। এবার এই টায়ারের বিষয়ে একটু জানা যাক। নুম্যাটিক টায়ারের কিছু বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য একে রবারের তৈরী নিরেট টায়ারের থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য আর জনপ্রিয় করেছে। (car tyre price tubeless)
প্রথমতঃ একটা টায়ার তৈরিতে যত বেশী পরিমান রাবার ব্যবহার করা হবে সেই টায়ারের রোলিং রেজিস্ট্যান্স তত বেশী হবে ।আবার টায়ারের রোলিং রেজিস্ট্যান্স যত বেশী হবে গাড়ির জ্বালানি খরচ তত বেশী হবে। নিরেট টায়ার তৈরীতে বেশী রবার লাগে তাই এর রোলিং রেজিস্ট্যান্স বেশী হয় এবং গাড়ির জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। তবে এর বিপরীত হিসেব চলে নুম্যাটিক টায়ারের ক্ষেত্রে (car tyre company)।
দ্বিতীয়তঃ রিম এবং টায়ার , এই দুয়ের মিলিত ওজন যত কম হবে গাড়ির র্স্টাটিং এবং স্টপিং পারফরম্যান্স তত ভালো হবে । এটা একটু বলে দেওয়া দরকার, আসলে গাড়ি র্স্টার্ট দেওয়ার পর খুব কম সময়ে উচ্চগতি অর্জন করতে পারবে আবার ব্রেক করলে গাড়ি দ্রুত থামবে এই ব্যাপারটা রিম এবং টায়ারের উপর নির্ভরশীল।টায়ারের ভেতর বাতাসের যে ওজন সেটা খুব কম, তাই নুম্যাটিক টায়ার হাল্কা এবং এই টায়ার লাগানো গাড়ির র্স্টাটিং এব স্টপিং পারফরম্যান্স খুব ভালো।
আরো পড়ুন- আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কোনটি? যাকে ছাড়া আপনি অচল?
তৃতীয়তঃ উদাহরণ দিয়ে একটু ব্যাপারটা বোঝা যাক। একটা চাকাকে স্থির অবস্থায় রেখে এক টুকরো লোহার রডকে দুই হাতে ধরে যদি টায়ারের উপর চাপ দেন তাহলে কী হবে? খুবই সহজ ব্যাপার। অল্প চাপ দিয়েই টায়ারটাকে বেশকিছুটা পরিমান দাবাতে পারবেন। কিন্তু দুই হাতের মধ্যে একটা ইট বা আয়তকার লোহার পাত দিয়ে টায়ারের উপর বল প্রয়োগকরে টায়ারটাকে দাবাতে চান তাহলে অনেকটা বল প্রয়োগ করতে হচ্ছে।এই দুই পরিমান বলের অনুপাত একটা টায়ারের রাইড কোএফিসিন্ট নির্ধারন করে ।টায়ারের রাইড কোএফিসিয়েন্ট ভালো হলে আরোহীদের যাত্রা আরামদায়ক হয়। রবারের তৈরী নিরেট টায়ার মোটেই আরামদায়ক নয়।
আরো পড়ুন- বিস্কুট খেতে কে না ভালোবাসে, কিন্তু খাওয়ার সময় বিস্কুটের বিশেষ বৈশিষ্ট লক্ষ্য করেন কি?
আরো পড়ুন- জীবনে ক্যারিয়ারে সাফল্য পেতে চাইলে এই কাজগুলো অবশ্যই আপনাকে করতে হবে!
চতুর্থতঃ নুম্যাটিক টায়ার অমসৃন বা এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় গাড়ির জ্বালানি খরচ বাচায়। পদার্থবিদ্যার এই বিভাগটি যাদের পড়াশোনার বিষয় তারা খুব ভাল করেই এর গঠন প্রকৃতি অনুধাবন করতে পারবেন। মোদ্দা বিষয় যা দাঁড়াল তা হল সাশ্রয়, আর এর জন্য বারবার টায়ারে হাওয়া ভরতে হয়।