Swasthya Sathi Card: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এ ক্যান্সারের চিকিৎসা কি সম্ভব? স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নয়া বদল আনল রাজ্য সরকার? মানুষের অসুস্থতা আগে থেকে জানান দিয়ে আসে না। যখন তখন শরীর খারাপ হতে পারে এবং তার জেরে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
কিন্তু কিছু লোক এমন আছে যেগুলো আপনাকে বড় সমস্যায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। যেমন ধরুন মারন রোগ ক্যান্সার। এই চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল এবং অবশ্যই কষ্টকর যে সাধারণ মানুষ রোগের নামটা শুনলেই কেমন যেন ভয় পেয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বোঝে মানুষের কষ্ট দুঃখ।
আর ঠিক সেই কারণের জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড’ (Swasthya Sathi Card)। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জনগণকে এই কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেছে তৃণমূল সরকার। অর্থাৎ হাসপাতালে এই কাজ দেখিয়ে আপনি চিকিৎসা করাতে পারবেন আপনাকে নিজে থেকে একটা টাকাও খরচ করতে হবে না।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এ ক্যান্সারের চিকিৎসা কি সম্ভব?
বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে এই কার্ডের ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল তবে এবার স্বাস্থ্য সাথীকে বড় বদল। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরাও পাবেন চিকিৎসা সুবিধা, এই কার্ড ব্যবহার করে (Cancer treatment in ‘Shashtya Sathi Card’)।
ক্যান্সার মানেই ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিশেষ করে কেমোথেরাপি নিয়ে চিন্তা বাড়ে সাধারণ মানুষের। এবার সেই চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গের মানবিক সরকার। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই একাধিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ।
এবার বেঁধে দেওয়া হল ক্যানসার চিকিৎসার খরচ। আপনি কি জানেন এই প্রকল্পের আওতায় এবার নির্দিষ্ট খরচে করানো যাবে রেডিয়েশন এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিন থেরাপিও। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে কেন এই বদল? আসলে কেমোথেরাপি ড্রাগসের অতিরিক্ত ব্যবহারে রাশ টানতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
আরো পড়ুন – গুগল পিক্সেল 7a ফোনে এক চার্জেই ৭২ ঘন্টা নিশ্চিন্ত! গুগল ফোনের মূল বৈশিষ্ট্য কী কী?
ঠিক কোন কোন বদল নিয়ে নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড?
এখানে জানিয়ে দিন নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মানে আপনাকে নতুন করে এপ্লাই করতে হবে না। আসলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহারের নিয়মের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনার কারণেই এভাবে নাম দেয়া হচ্ছে। দেখুন এতদিন পর্যন্ত ‘ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের খরচ‘ উল্লেখ করা থাকত না প্যাকেজে।
যার ফলে হাসপাতাল বা ডাক্তাররা কত টাকা কী ভাবে খরচ করছে সেটা বোঝা যেত না। হাসপাতাল বা নার্সিংহোম সরকারের থেকে রিইমবার্সমেন্ট অর্থাৎ ব্যয়পূরণের খরচ নিতে হাসপাতালের তরফে কেবলমাত্র একটি ইনভয়েস বা বিল পাঠিয়ে দেওয়া হত সংশ্লিষ্ট দফতরে। কিন্তু এবার সেটা হবে না।
আরো পড়ুন – জমির সঙ্গে নিজের বাড়ি? তাহলে আপনার জন্য ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্প!
এবার থেকে প্রতিটি চিকিৎসা বাবদ খরচ উল্লেখ করা থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য সাথী দফতর। রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি সহ ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রতিটি বিষয়ের খরচ নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে সরকারকে তবে টাকা মিলবে।
আসলে কিছু হলেই আজকালকার দিনে প্রাইভেট নার্সিংহোমে ছুটে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত। যাতে কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা মানুষ সরকারি হাসপাতাল থেকেই গ্রহণ করেন তার দিকে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আরো পড়ুন – Pure EV ePluto: চলে এল সেভেন জি স্কুটার? নয়া স্কুটার লঞ্চ করল ‘পিউর ইভি’। সিঙ্গেল চার্জে 150 কিমি?
বলা দরকার গত দু’বছরে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অত্যাধুনিক রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির মেশিন ইনস্টল করা হয়েছে। কিন্তু, এই সবকিছুর জন্য সরকারি হাসপাতালে তো আর রোগী যায় না সেই কারণে এইসব যন্ত্র অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। গোটা বিষয়টাই সজাগ দৃষ্টি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
আরো পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে প্রবেশ করে অবাক সলমন খান! কেন জানেন?
পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতাল নার্সিংহোমকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ডিটেলস স্বাস্থ্য সাথী পোর্টাল সহ সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে।