Breaking Bharat: সুখবর! মারণ রোগ ক্যানসার নিয়ে আর চিন্তা নেই, এসে গেল ওষুধ, ক্যানসার নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা সেই কবেকার (Cancer medicine)। কিন্তু এবার সমস্যার সমাধান। এল ক্যানসার জয় করার ওষুধ। বিজ্ঞানীরা এক ক্যানসারের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির খোঁজ পেলেন। আর হাসি ফুটল বিজ্ঞানীদের মুখে। এই প্রথম মানুষের শরীরে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ করা হল। কী হল তারপর, জানা আছে?
কী হবে ভবিষ্যত, কেউ তা জানে না। কিন্তু তবুও নিজেদের আগামীকে ভালো রাখতে সদা সচেষ্ট আমরা। তাই সব জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে চলেছি প্রতি মুহূর্তে। এবার সেই পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বিজ্ঞান। আবিষ্কার হল ক্যান্সারের ওষুধ (Discovery is the cure for cancer)! শুধু তাই নয় এই প্রথম মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হল বটে।
এর আগে অন্য প্রাণীদের শরীরে এই ওষুধের প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গিয়েছে। এবার সেটিই প্রথম বার প্রয়োগ করা হল মানুষের শরীরে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হচ্ছে oncolytic virus therapy, তবে এটি ওষুধ ঠিক নয়। আসলে একটি বিশেষ ভাইরাস।
যা কিনা ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে নষ্ট করতে পারে। ফলে ক্যানসার আর ছড়াতে পারে না। কীভাবে পুরো প্রক্রিয়া ঘটে, জানাব আপনাদের। আসলে এই থেরাপিতে Vaxinia নামের একটি ভাইরাস শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেই ভাইরাস ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে (Cancer cells) ধরে ধরে মারতে শুরু করে।
কিন্তু আশপাশের সুস্থ কোষের কোনও ক্ষতি করে না। অন্য প্রাণীদের উপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছে, সুফল মিলেছে। তাই এবার ফাইনাল পরীক্ষা করা হল মানব দেহে। এই থেরাপির কথা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে Eurek Alert নামের একটি জার্নালে।
কিন্তু আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে বাইরে থেকে ভাইরাস প্রয়োগ করে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া আদৌ কতটা নিরাপদ? এক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে রাখি Vaxinia ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই (Fight against cancer) করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
আরো পড়ুন- Google Cloud : ক্লাউড নাইন শুনেছেন হয়তো,গুগল ক্লাউড সম্পর্কে কতটা জানেন সাধারণ মানুষ?
বিজ্ঞানীরা বলছেন এর থেকে অন্য কোনও সমস্যা হয়েছে বলে এখনও প্রমাণ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত এর বিশেষ কোনও বড়সড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি। তবে এখনই এ বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না বিজ্ঞানীরা।
আরো পড়ুন- Eiffel Tower : আইফেল টাওয়ার বিবাহিত জানেন? আইফেল টাওয়ারের ইতিহাস জানেন ?
আসলে কোনও কিছু আবিষ্কার করা যেমন সহজ নয় তেমনই প্রথম বারেই সাফল্য মেলে না সব ক্ষেত্রে। বিজ্ঞান হচ্ছে পরীক্ষা আর পর্যবেক্ষণের মেলবন্ধন। তাই একের পর এক পরীক্ষা করে তবেই নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে।
আরো পড়ুন- পিঠের চামড়া তুলে নেবার হুমকি! প্রাচীন ভাষার রীতিতেও শাসকের দম্ভ আর ঔদ্ধত্য কেন দেখা যায়?
সেক্ষেত্রে গোড়াতেই সন্তোষজনক ফল নাও মিলতে পারে। কিন্তু এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি (cancer New treatment methods) যদি কার্যকরী হয়, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। যা মানব কল্যাণে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।