Breaking Bharat: কত মানুষ আর কত বিষয় নিয়ে কত কত কথার জন্ম হয় প্রতিদিন। কিন্তু মানুষের চেনা বুলি বা ভাষা যা কিনা কথার আকারে অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সেটা ছাড়াও প্রাণ কেমন করে বেঁচে থাকতে পারে তা বোধহয় অন্য প্রাণীদের না দেখলে বোঝা দায়! সত্যি বলতে কি এই পৃথিবীতে কত রকমের প্রাণী আছে তার হিসেব বোধহয় কল্পনাতেও আনা যায় না।
বৈচিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোজন ঘটিয়ে মানুষ এই পৃথিবীর উন্নত জীব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত আর প্রমাণিত করতে পেরেছে। অন্য প্রাণীরা পারিনি বলেই হয়তো পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই আর সেখান থেকেই উঠে আসে অজানা নানা তথ্য।
আপনি কি জানেন, আজকে যাদের নিয়ে কথা তারা কিন্তু অদ্ভুত প্রতিভার অধিকারী? মানে বলতে পারেন আর চার পাঁচটা প্রাণী যা করে এরা তার উল্টো কাজ করে । এটাই ওদের স্বভাব আর বিশেষত্ব। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিতে পারি এই ব্যাপারে। এরা চোখ খোলা রেখে খাবার খেতে পারে না। মানে কোনও কিছু খাওয়ার সময় এরা চোখ বন্ধ করে নেয়।
আবার যখন চোখ বন্ধ করার সময়, মানে সবাই যখন ঘুমোয় তখন জেগে থাকে। শুধু একটা বিশেষ সময়ই নয় ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন মানে আজীবন এরা জেগেই থাকে, ঘুমোয় না। (Do frogs sleep?) আজ্ঞে হ্যাঁ, এরা একমাত্র জন্তু যারা ঘুমোয় না। অনায়াসেই হেঁড়ে গলায় গান গাইতে পারে, আবার শিক্ষার্থীর প্রয়োজনে বায়োলজি ল্যাবে কাটাছেঁড়ার কাজে অনায়াসে আত্মবলিদান দিতে পারে। এতক্ষণে বোধহয় বুঝতে পেরে গেছেন। আজকে বলছি ব্যাঙ- দের কথা। অবাক করা প্রাণী বটে ব্যাঙ! (Where does the frog live?)
ব্যাঙ নামটা শুনলেই কেমন যেন গা ঘিন ঘিন করে, তাই না? দিন নেই রাত নেই, কোথায় কোথায় যে এদের বসবাস আপনি কল্পনাতেও আনতে পারবেন না। পৃথিবীতে প্রায় ৫০০০ হাজার প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। আদি বিশেষ পরিচিতি ও কোলা ব্যাঙ ও সোনা ব্যাঙ। খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম এর ব্যাপারে আগেই বলেছি। এবার এদের সমাজ সেবামূলক কাজের কথা বলা যাক (What type of animal is frog?)।
আরো পড়ুন- Hello : কথায় কথায় হ্যালো বলেন, কিন্তু শব্দটা এল কোথা থেকে? ইতিহাস জানেন ?
আপনি কি জানেন একটি ব্যাঙ তার পুরো জীবনে গড়ে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার ফসল রক্ষা করে। শুধু তাই নয় এরা যথেষ্ট পরিবেশ-সচেতন মানে প্রাণীদের মধ্যে আবহাওয়া দফতরে কাজ করার যোগ্য একমাত্র এই ব্যাঙ প্রজাতি। ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব? তাহলে জানাই কুনো ব্যাঙ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পায়। এরা পূর্বাভাস পেয়ে ভূমিকম্পের ৫দিন আগে ঐ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় (Bang kakhono Ghumay na )।
আরো পড়ুন- Itching is fun: চুলকানিতে সমস্যা, অথচ চুলকাতে বেশ মজা লাগে তাই না? কেন জানেন ?
আরো পড়ুন- মেয়েদের মন বোঝা, নয় রে নয় সোজা – একথা কেন বলেন পুরুষেরা?
What the frogs eat? ব্যাঙ সাধারণত ছোট পোকামাকড় খেয়ে থাকে এমন কি এরা ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু মশা ও খেয়ে ফেলে। আবার কিছু প্রজাতির ব্যাঙ কাকড়া ও সাপ খায়। এদের সব প্রজাতিই যে ক্ষতিকর তা কিন্তু নয় তবে রঙিন ব্যাঙ সাধারণত বিষাক্ত হয়ে থাকে (can frogs jump)। ব্যাঙ জল খায় না এরা চামড়ার মাধ্যমে জল শোষণ করে শরীরের উষ্ণতা এবং জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। ব্যাঙ এর চোখ এতোটাই শক্তিশালী যে, এরা এদের আশে-পাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে স্ক্যান করতে পারে। তাহলে এবার বুঝলেন তো কত ট্যালেন্টেড প্রাণী এই বাবাজীরা!