Breaking Bharat: সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষেত্রে একটা ইগো যথেষ্ট, তাই নয় কি? ইগো আসলে নিজের সম্পর্কে নিজের একটা অহংকার বোধ (Can ego destroy a relationship?)
আগেকার দিনের মানুষ আর এখনকার দিনের মানুষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কোথায় বলুন তো? প্রতিবেদনের শুরুতে কেন এমন একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা? আসলে কি বলুন তো? আজকের বিষয়টা যে অনুভূতিকে নিয়ে আজ থেকে অন্তত বছর ৩০ আগে সেই অনুভূতিটা কোন জায়গায় ছিল না মানুষের জীবনে। আমরা বলছি ‘ইগোর‘ কথা।
‘ইগো‘ শব্দটা শুনলে প্রথমে যেটা মাথায় আসে সেটা হল সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়া। এটা কিন্তু আমাদের আগের প্রজন্মের মধ্যে খুব একটা ছিল না। তাহলে যা ভাঙ্গনের জন্য দায়ী তার কি আদৌ কোনো ভালো দিক থাকতে পারে চলুন আলোচনা করে দেখা যাক।
ইগো সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে:
ইগো আসলে নিজের সম্পর্কে নিজের একটা অহংকার বোধ। অর্থাৎ কাউকে পরোয়া করি না মনোভাব। আসলে মানুষ নিজেকে গুরুত্ব দিতে দিতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছে যে কারোর থেকে গুরুত্ব না পেলেই তার মনে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ব্যাস এখান থেকেই তৈরি হয় একটা নিজস্ব জগত যেখানে সে সবার অ্যাটেনশন পেতে চায়।
যখন মানুষ নিজেকে ঈশ্বর ভাবতে শুরু করে অর্থাৎ তার কথা সবাই মেনে চলবে তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই বাকিদের সঙ্গে একটা সংঘাতের আবহাওয়া তৈরি হয়। আর দুজন যদি সমান পদের অধিকারী হয় সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কিন্তু কোনভাবেই আর এডজাস্টমেন্টের ক্ষমতা থাকে না।
ইগো সম্পর্কে অনেক বেশি করে থাবা বসাতে পারে:
এখান থেকেই ইগোর শুরু। আসলে এখনকার সম্পর্কের বাঁধন গুলো এতটাই আলগা বা অপলকা যেখানে বিশ্বাসের কোন ভিত নেই। তাই সেখানেই সম্পর্ক যথেষ্ট নড়বড়ে। আমি যখন কাউকে ডকুমেন্ট করতে চাইছি আর সে আমার কথা শুনছে না সেখান থেকেই কোথাও একটা ‘ইগো শব্দের উৎপত্তি‘।
আরো পড়ুন – সকলেই বলাবলি করছেন পৃথিবী ধ্বংস হবে। কিন্তু কী ভাবে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎবাণী জানেন?
ইগো কিন্তু সব থেকে বেশি নিজের মানুষের সঙ্গে তৈরি হওয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায়। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী প্রেমিক প্রেমিকা যেখানে এই নিজস্ব একটা পরিসর তৈরি হয় সেখানেই ইগো অনেক বেশি করে থাবা বসাতে পারে যদি না সম্পর্কের বন্ধন গাঢ় হয়।
অনেকেই বলেন ইগো কমানোর পদ্ধতি কী?
আসলে কি বলুন তো সন্দেহ অনুমান রাগ এগুলো ভীষণ রকম ভাবে আপেক্ষিক অর্থাৎ কার ক্ষেত্রে কখন কী ভাবে আসবে সেটা আগে থেকে বোঝা মুশকিল। যার ফলে সেই সিচুয়েশনের মধ্যে আপনি যতক্ষণ না পড়ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার হাতে কোন অপশন নেই সেখান থেকে কাটিয়ে আসার উপায় খোঁজার ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুন – ক্রিকেট জ্বরে কাবু ভারত, টিম ইন্ডিয়া জার্সির রং কেন নীল এই নিয়ে ভেবেছেন কি?
আত্মসম্মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সেটা যদি অহংকারকে ছাপিয়ে যায় তাহলে সেটা অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আপনার আত্মসম্মান তখন অন্যকে সম্মান দিতে পারেনা। মানিয়ে গুছিয়ে চলার মধ্যে কষ্ট আছে আনন্দ আছে এবার সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন দিক থেকে বিষয়টাকে বিচার করছেন।
আরো পড়ুন – পাখির ডাক কি শয়তানের হাসি? লাফিং কুকাবুরা পাখি, যার কণ্ঠস্বর ‘পৈশাচিক হাসি’-র মতো?
একটা কথা মাথায় রাখবেন জীবনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না সেটা দুঃখ হোক বা আনন্দ, সেটা খারাপ থাকা হোক বা ভালো থাকা। যা কিছু আপনার প্রাপ্য তার থেকে বেশি যদি আপনি পেয়ে যান অচিরেই সেটা বিনাশ ডেকে আনে সম্পর্ক হোক বা জীবন।