Breaking Bharat: ইয়ারফোন ব্যবহার করেন? তাহলে অবশ্যই ইয়ারফোন কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন। গান শুনতে ভালোবাসেন? কানে ভালো গান না রাখলে মুড টাই যায় বিগড়ে, তাই না? শুনবেন কী ভাবে? জীবনের ব্যস্ততার মাঝেই শখ-আহ্লাদ গুলো ক্রমশই চাপা পড়ে যায়।
তবু একটু আধটু এদিক ওদিক থেকে হঠাৎ করে উড়ে আসা ভালোলাগা আবার জীবনটাকে চনমনে করে। তখন জীবনের গান নতুন সুরে বাঁধ তে ইচ্ছে করে ( Earphone) গান শুনতে ভালোবাসেন?
কানে ভালো গান না রাখলে মুড টাই যায় বিগড়ে, তাই না? শুনবেন কী ভাবে? জীবনের ব্যস্ততার মাঝেই শখ-আহ্লাদ গুলো ক্রমশই চাপা পড়ে যায়। এই কথাগুলোর সঙ্গে আশা রাখি প্রত্যেকেই নিজেদের মিল খুঁজে পাবেন। কিন্তু জীবনের সুর খুঁজে পেতে গানকে যে ভালবাসতে হবে।
তবেই না প্রেমের সুরলোকে জীবনের জয়গান গাওয়া যাবে। আরে গানকে আপন করে কান। আর একান্ত নিবিড়ে বা কোলাহল থেকে অনেক দূরে গানকে মনে পৌঁছে দেয় ইয়ারফোন। যত দিন যাচ্ছে এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। আর মার্কেটে আসছে ভেজাল ইয়ারফোন (Fake earphones)। মানে যাকে দেখে আপনাকে বলতে হবে নকল হইতে সাবধান। কিন্তু বুঝবেন কীকরে কে আসল আর কে নকল?
যখনই কোনও ইলেকট্রনিক্স জিনিস কিনবেন মাথায় রাখুন ব্র্যান্ডেড জিনিস কেনা টাই শ্রেয় (Which brand earphone is best?)। প্রাথমিকভাবে দামের ঝটকা হয়তো সামলাতে হবে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে আপনার কান আরাম পাবে।
ইয়ারফোন কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন:
ইয়ারফোন যদি ভালো না হয়, তাহলে একদিকে যেমন আপনার কানের ক্ষতি অন্যদিকে আবার মোবাইলের ক্ষতি (Mobile damage)। একটু ভেবে দেখুন শুধু মিউজিক শোনার জন্যই ইয়ারফোন ব্যবহার করা হয়? (Earphones are used for listening to music)
আসলে তা নয়। হাত কে ফ্রী রাখার জন্য ইয়ারফোন এর মাধ্যমে মোবাইলকে কার্যকরী বা অ্যাক্টিভ করে রাখা হয়। মাল্টিটাস্কিং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইয়ারফোন। ফোন ধরে রেখে ঘাড় বেঁকিয়ে কাজ করতে হবে না। যদি ইয়ারফোন কানে থাকে, দু’হাতে টাইপিং বা লেখা দেখে যা খুশি করতে পারেন সহজেই। আপনাকে জানাই ভাল ইয়ারফোন চেনার একমাত্র উপায় হচ্ছে ব্র্যান্ডেড ইয়ারফোন কেনা।
তবে সবসময় পকেট আপনাকে হাই হ্যালো নয় বলতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্বল্প দামের মধ্যে চাইনিজ ব্র্যান্ড কিছু আছে যাদের পরিষেবা মোটামুটি ভালো। তবে যদি শাওমি (xiaomi), ওয়ানপ্লাস (OnePlus), লেনোভো এবং উইসি – এইসব ব্র্যান্ডের ইয়ারফোন কেনেন তাহলে দাম কিছুটা বেশি পড়লেও বেশ টেকশই হয় এগুলো।
আরও ভাল চাইলে কিনতে পারেন (price of earphone) এডিফায়ার, একেজি, সনি কিংবা সেনহাইসার এর ইয়ারফোন। তবে যাই কিনুন স্পেসিফিকেশন আগে থেকেই জেনে নিন।
ইয়ারফোন কিনতে গেলে সাউন্ড প্রেশার লেভেল চেক করুন। এটা যত বেশি হয়, ইয়ারফোনের শব্দ ততটা জোড়ালো হয়। এটিকে ‘db’ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ১০০ এর উপরে থাকা ভালো। ব্লুটুথ ইয়ারফোন (earphone bluetooth) ইদানিং কালে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
সেই ধরনের কিছু কেনার ভাবনা-চিন্তা করে থাকলে , জেনে এবং বুঝে নিন যে, ব্যাটারি ব্যাক-আপ কেমন হবে? আর কতটা দূরত্ব পর্যন্ত ব্লুটুথ ডিভাইস এর সংযোগ থাকতে পারে। সেই সাথে মাইক্রোফোনের মান কেমন হবে, এগুলো ইউটিউব থেকে রিভিউ দেখে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন- Molasses : গুড়ের মিষ্টি গন্ধ আর স্বাদ মানুষের মন কেড়ে নেয়, কিন্তু সাবধান ! ভেজাল গুড় খাচ্ছেন না তো?
যদিও এই প্রতিবেদনে আমরা কোনও বিজ্ঞাপন দিচ্ছি না। আপনাকে যা জানানো হচ্ছে সবটাই সমীক্ষা থেকে পাওয়া। আপনি অবশ্যই ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার পছন্দ এবং যে ডিভাইসটির সম্পর্কে আপনি লিখছেন তার গুণগত আমাদের জানান , জানবো আমরাও। ইয়ারফোন কেনার ক্ষেত্রে ড্রাইভার সাইজ গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন- Electric Shock : হঠাৎ করে কেউ বিদ্যু পৃষ্ঠ হলে কি করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত
যত বড় ড্রাইভার সাইজ, তত পরিষ্কার এবং ওয়াইড সাউন্ড লেভেল পাওয়া যায় ক্ষেত্র বিশেষে।সেক্ষেত্রে আপনার ফোনের পোর্টটি যদি হয় টাইপ-সি, কিনে নিতে পারেন টাইপ-সি ইয়ারফোন। বর্তমান বাজারে ওয়ানপ্লাস এর টাইপ-সি ইয়ারফোনটি স্বল্প দামের ভেতর বেশ জনপ্রিয় হয়েছে (best earphones)।
আরো পড়ুন- Item Songs : আইটেম গার্ল মানে কী? সিনেমা মানে নাচ গান, তাহলে আইটেম সং ছাড়া জমে কি ?
আপনাকে অনুরোধ করব কোনও জিনিস কেনার আগে সেই বিষয়ে জেনে তবেই কিনতে যাবেন। কারোর মুখের কথা বিশ্বাস করে কিছু কিনবেন না। আর আজকাল জানার যে হাজার একটা উপায় আছে সে তো আপনি নিশ্চয়ই জানেন, তাই না?