Breaking Bharat: ব্ল্যাক মাম্বা! এক ছোবলেই ছবি ? কোন সাপের মাত্র দু’ফোঁটা বিষে এক মুহূর্তে সব শেষ?
‘সাপ এমন এক সরীসৃপ‘ যার সম্পর্কে আগে থেকে কিছু বলা যায় না। সে যে কখন কী করবে সেটা আগে থেকে ধারনাও করা যায় না। আর নানা প্রজাতির সাপের কথা ভাবলেই চোখের সামনে যে ভয়ঙ্কর সব ছবি আসে তার মধ্যে অন্যতম হল ‘ব্ল্যাক মাম্বা‘। গতিবেগ কত জানেন?
এক ঘণ্টায় প্রায় ১২ মাইল, গাড়ির থেকেও দ্রুতগামী। তাই খপ্পরে পড়লে আর নিস্তার নেই। মানে যাকে বলে সাক্ষাৎ মৃত্যু! আর এনার সঙ্গেই বিস্তারিত পরিচয় করাব আপনার, তবে ভয় নেই সবটাই হবে লেখায় লেখায়, ছোবল খাওয়ার আশঙ্কা নেই।
আফ্রিকা মানেই নানা ধরণের প্রাণী। আর এই আফ্রিকার জঙ্গলে সবচেয়ে ভয়ংকর সাপ হলো আজকের আলোচিত ব্ল্যাক মাম্বা। অবশ্য শুধু আফ্রিকা নয়, এর সঙ্গে ইথিওপিয়া, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, নামিবিয়া, অ্যাঙ্গোলা, জাম্বিয়াউগান্ডা, মোজাম্বিক এবং সোয়াজিল্যান্ডে এই সাপ দেখা যায়। নামটা এমন হওয়ার কারণ হল সাপটির মুখের ভেতরের কালো রঙের কারণে একে ব্ল্যাক মাম্বা বলা হয়।
আশা রাখি জীবদ্দশায় এদের চাক্ষুষ করতে হবে না আপনাকে আমাকে তাই প্রতিবেদনেই এদের কথা জানা যাক। উচ্চতা প্রায় আড়াই মিটার অর্থাৎ সাড়ে ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। সবুজ প্রজাতির এই সাপও দেখা যায় যাদের গ্রিন মাম্বা বলে। তবে ‘ব্ল্যাক মাম্বা‘ কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রজাতির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা (black mamba venom effects)।
আরো পড়ুন – বলিউডি গ্রেট ভিলেন গব্বর নিজের স্ত্রীয়ের জন্য কী করেছিলেন ভাবতেও পারবেন না!
এরা একসঙ্গে ৬ থেকে ২০ ডিম পাড়তে পারে এবং পার্বত্য তরাই অঞ্চলে থাকাই এদের বেশি পছন্দের ৷ ভাবতে অবাক লাগে কিন্তু এই সাপ অত্যন্ত লাজুক স্বভাবের হয় বলে সাপ বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। একবার হামলার পর এরা শিকারকে বারবার আক্রমন করে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্ল্যাক মাম্বার গায়ের রং কখনও হলদে-বাদামি, ধূসর অথবা খাকিও হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন – ‘কাক’ শুভ সংকেত বহন করতে পারে সেটা কি আপনি জানেন? ‘কাক’ কখন দেখলে দিনটা ভালো?
এই সাপের মাথাটা আকারে বেশ বড়, দেখতে কফিনের মতো মনে হতে পারে।এরা এতটাই বিষাক্ত যে মাত্র দু’ফোঁটাতেই সব শেষে। এদের কামড়ে সহজেই হৃদ স্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞানিরা বলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বি সাপ এই ব্ল্যাক মাম্বা। অকারনেই হামলা করতে পারে।
জীবদ্দশা প্রায় ১১ বছর পর্যন্ত হয়। আপনি কি জানেন এই ব্ল্যাক মাম্বার ছোবলে গড়ে প্রায় ১০০ – ১২০ মিলিগ্রাম বিষ বেরোয়?তাহলেই ভাবুন এরপর কি আর বেঁচে থাকার লড়াই করা সম্ভব? এই জাতীয় সাপ যদি ছোটখাটো কোনো কিছু শিকার করে তবে শিকারকে ততক্ষণ জাপটে ধরে রাখে, যতক্ষণ না শিকার নড়াচড়া বন্ধ করে।
আরো পড়ুন – মনের কষ্ট ভোলাতে ‘মদ’ শরীরের শুধু নয় মনের জন্য কত ক্ষতিকারক জানেন?
কিন্তু বড় কোনো শিকার ধরলে নীতি বদলায়। এবং শিকারকে ছোবল দিয়ে ছেড়ে দেয় । দেখা গেছে এদের বাহ্যিক কোনো কান না থাকলেও মাটির মধ্যে হওয়া যে কোনও কম্পন এরা খুব সহজেই অনুভব করতে পারে। তাহলে একটু সাবধান!