Breaking Bharat: বাঘকে যদি ভয় পান তাহলে ‘বাঘের মাসি বিড়াল’কে ভালোবেসে আদর করে বাড়িতে পোষ্য করে রাখেন কেন? বাঘকে আমরা সকলেই ভয় পাই, আবার সেই বাঘের মাসিকেই আদর করে বাড়িতে পোষ্য করে রাখি? ব্যাপারটা একটু গোলমেলে ঠেকছে না? তাহলে বাঘের মাসির ব্যাপারটা আগে একটু পরিষ্কার করে বুঝে নেওয়া যাক।
নানা মানুষের নানা রকমের শখ থাকে। কেউ বাড়িতে টিয়া পাখি ময়না পাখি পোষেন কেউ আবার দামি কুকুর বা পছন্দের বিড়াল। তবে যাই বলুন বাড়িতে বাঘের মাসিকে রাখার একটা আলাদা আভিজাত্য আছে। না মানে বিড়ালের কথা বলছি, বিষয়টা একটু অবাক করার মতো না?
বিড়াল’কে বাঘের মত হিংস্র প্রাণীর মাসি বলা হয়?
আদপ কায়দা থেকে শুরু করে বসার স্টাইল চেহারা সবটাই মিনি বাঘের মত। কিন্তু শুধুই কি এই কারণেই এত ছোট্ট একটা প্রাণীকে বাঘের মত হিংস্র প্রাণীর মাসি বলা হয়? নাকি এর পেছনে অন্য কোন যুক্তি আছে? আসলে গোটা বিষয়টা বুঝতে গেলে বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হবে আমাদের।
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে বিড়ালের ডিএনএর ৯৫ শতাংশের সঙ্গে বাঘের অভূতপূর্ব মিল রয়েছে। বিড়াল প্রায় বারো হাত পর্যন্ত লাফাতে পারে যেমনটা বাঘ পারে। আদর করে যে পোষ্যকে বাড়িতে রেখেছেন।
বিড়ালের থাবা কিন্তু সাংঘাতিক জানেন কি?
একবার টুপি চিপে ধরলে আর তাকে, মানে বিড়াল যাকে ধরেছে জীবিত পাওয়া সম্ভব নয়। বিড়ালের মুখ চোখ দেখলে বেশি একটা বাঘ বাঘ আভাস পাওয়া যায়। বিড়াল খুব হিংসুটে প্রাণী। নিজের এলাকায় অন্য বিড়ালকে সহ্য করতে পারে না। স্বভাবগত মিন পুরোপুরি বাঘের সঙ্গে কারণ বাঘ যেখানে থাকে সেখানে সেই রাজা অন্য কোন বাঘ সেখানে থাবা বসাতে পারে না।
আরো পড়ুন – পান খেতে ভালোবাসেন? উপকারিতা অপকারিতা দুটোই জানা আছে নিশ্চয়ই!
এমনকি মাঝেমধ্যে দুই বাঘের মধ্যে লড়াই পর্যন্ত হয় এলাকা দখল কে কেন্দ্র করে। এই একই বিষয়ে বিড়ালের মধ্যেও দেখা যায়। যে বাড়িতে বিড়াল আছে সেই বাড়িতে অন্য কোন বিড়াল এলে সারাক্ষণ একটা রেষারেষি হিংস্রতা দুই বিড়ালের মধ্যে বজায় থাকে। যেভাবে বিড়াল ছুটে পালায় সেই স্টাইলটা বাঘের গতিকে মনে করায় যে গতি অপ্রতিরোধ্য।
বাহ সত্যি এক আজব প্রাণী যাকে নিয়ে কৌতূহলের আজও শেষ নেই। সব ধরনের খাবার খেলেও মানুষের প্রতি বাঘের জন্য এক আলাদা টান যেমন বিড়ালের মাছের প্রতি। এরা আসলে একটি খাবার কে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে ধরে নেয় এটা অনেকটা জেনেটিক পদ্ধতিতে আগে থেকেই হয়ে আসছে। বাঘের মতোই বিড়ালকে দেখবেন কোন কিছুতে থাবা বা নখ বের করতে ।
আরো পড়ুন – জীবনে ঠিক কতটা শক্তিশালী হলে অন্যকে আঘাত না করেও জেতা যায়?
বাঘ যেহেতু বড় প্রাণী তাই সে থাবা দিয়ে আঘাত করে। বিড়াল ছোট প্রাণী তাই তার মধ্যেও অল্প করে হলেও এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ে যাওয়া উঁচু উঁচুর দিকে লক্ষ্য স্থির করে উঠতে চাওয়া এইসব কিছুই বাগ আর বিড়ালের সাদৃশ্যকে ইঙ্গিত করে।
বাঘ এবং বিড়াল দুজনকেই দেখবেন দিনের বেলা ঘুমোতে ভালোবাসে তারা। নিজের স্বীকার এবং খাবারটুকু পাওয়া হয়ে গেলে খুব একটা বেশি কিছু করতে আগ্রহী নয় তারা। বিড়াল বাঘের সবকটা গুণাবলী নিয়েই এই পৃথিবীতে যুগের পর যুগ ধরে বেঁচে আছে।
আরো পড়ুন – আপনার কি যখন তখন কান খোঁচানোর অভ্যাস আছে? অভ্যাস বদলান না হলে বিপদ বাড়বে!
সবশেষে বলি গবেষকরা বলছেন বিড়াল কোনভাবেই বাঘের মাসি নয় বরং বাঘেরই গোত্রভুক্ত এই প্রাণীটি। ছোট সংস্করণ বললেও ভুল বলা হবে না।