Breaking Bharat: পৃথিবীর মানুষের আয়ু কি শেষ হয়ে আসছে? অক্সিজেন নিয়ে বড় দুঃসংবাদ শোনালেন বিজ্ঞানীরা?
ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি একটি গাছ একটি প্রাণ তার কারণ গাছের থেকে আমরা অক্সিজেন পাই যা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। অথচ সেই অক্সিজেনের ভান্ডারকে সুরক্ষিত রাখার কোন চেষ্টাই আমাদের মধ্যে দেখা যায় না। বিষয়টা খুবই ক্যাজুয়াল বলে মনে করেন অনেকে। যেন মনে হয় আজকে যেহেতু আমার কোন ক্ষতি হচ্ছে না তাই আমার ভাবনা চিন্তার কোন প্রয়োজন নেই।
চিন্তা বাড়ছে মানুষ আর কতদিন বাঁচবে?
মানুষ আসলে ভীষণভাবে আত্মকেন্দ্রিক এক প্রাণী যে নিজের টুকু হয়ে গেলেই প্রয়োজন মিটে গেছে বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনার কাজটা আদৌ হয়ে গেছে কিনা সেটা তো আপনি জানেন না।
কতটা অক্সিজেন একজন মানুষের প্রয়োজন সেই হিসেবটা কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয় অথচ যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাসের কোন সমস্যা হচ্ছে না তাই কে গাছ কাটল আর কে গাছ রোপন করল তাতে কারোর কোন হেলদোল নেই। আর এতেই বাড়ছে নির্বিচারে গাছ কাটার প্রবণতা। বিজ্ঞানীরা বলছেন ক্রমাগত অক্সিজেনের ভান্ডার ফুরিয়ে আসছে। চিন্তা বাড়ছে মানুষ আর কতদিন বাঁচবে?
নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে তুলতে গিয়ে আমাদের অনেক বেশি জায়গার প্রয়োজন হচ্ছে। যার একটা বাড়ি আছে সে সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের আলাদা সংসার তৈরি করে ফ্ল্যাট বা আলাদা একটা বাড়ি খুজছেন। এটা করতে গিয়ে হয় গাছ কেটে পুকুর বুজিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে অথবা জমি ভরাট করা হচ্ছে সেখানে ছোট চারা গাছ থেকে মহীরুহ সবাইকে সমাধি দেওয়া হচ্ছে।
এই সবের কারণ একটাই মানুষের থাকার জন্য আরও বেশি জায়গা চাই। প্রয়োজন নেই হয়তো কিন্তু বিলাসিতাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এই ইচ্ছেকেই নেসেসিটির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরো একটু বেশি হলে ক্ষতি কী -এটাই যেন এখন মানুষের সব চাওয়ার মূল মন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন – সকলেই বলাবলি করছেন পৃথিবী ধ্বংস হবে। কিন্তু কী ভাবে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎবাণী জানেন?
নিজের স্ট্যাটাস মেনটেন করতে গিয়ে আমরা এখন কাঠের ফার্নিচারের দিকে মন দিচ্ছি। অনেকেই বলছেন এতে ক্লাস মেইনটেইন করা যায়। কিন্তু এই বড়লোকি চালের জন্য যে কত গাছ অতিরিক্ত কাটতে হচ্ছে সেটার কথা একবারও ভেবে দেখেছেন?
অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা অদূর ভবিষ্যতে কতটা?
বিজ্ঞানীরা বলছেন যত বেশি গাছ কাটা হচ্ছে ততই অক্সিজেনের ভান্ডারে টান পড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সৌজন্যে জন্মহার বেড়েছে মৃত্যুহার কমেছে। অর্থাৎ প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু সেই মতো গাছের সংখ্যা বাড়ছে না। উপরন্ত যে গাছ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে মানুষের বসবাস এবং বিলাসিতার শর্ত পূরণ করার জন্য।
আরো পড়ুন – ক্রিকেট জ্বরে কাবু ভারত, টিম ইন্ডিয়া জার্সির রং কেন নীল এই নিয়ে ভেবেছেন কি?
তাহলে ভাবুন অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা অদূর ভবিষ্যতে কতটা পূরণ করা যাবে তা নিয়ে গবেষকদের মনে সংশয় তৈরি হওয়া কি খুব অস্বাভাবিক? কৃত্রিম অক্সিজেন দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার পদ্ধতি এখনো পর্যন্ত খুব একটা বেশি পরীক্ষিত নয় যদিও কিছু কিছু ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা করা হয় কিন্তু সারাক্ষণ মানুষ মুখে সিলিন্ডার লাগিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন না।
আরো পড়ুন – পাখির ডাক কি শয়তানের হাসি? লাফিং কুকাবুরা পাখি, যার কণ্ঠস্বর ‘পৈশাচিক হাসি’-র মতো?
তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে বা প্রাণীদের বেঁচে থাকতে হলে গাছকেও সমান ভাবে বেঁচে থাকতে হবে। এটা যদি এখনো আমরা না বুঝতে পারি তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে না, তার আগেই মানুষ শেষ হয়ে যাবে।