Breaking Bharat: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধা নয়, প্রমান করলেন ভবেশ ভাটিয়া (Bhavesh Bhatia), কীভাবে? মোমবাতির আলোয় দৃষ্টি পেল অন্ধজনেরা। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় প্রমান মিলল আবারও। ভগবান সবাইকে সব কিছু দেন না, কিন্তু তাই বলে হার মানলে চলবে না । লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবেই অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। ভবেশ ভাটিয়া যেন ঠিক সেই কথাই প্রমান করে দিলেন।
গুজরাটের অঞ্জর গ্রামে জন্ম নিয়েছিল ছেলেটা। ছোটবেলায় সব কিছু স্বাভাবিক ছিল কিন্তু ভাগ্যের কোপ কখন এসে পড়ে তা বলা মুশকিল। ২০ বছর বয়সে রেটিনা ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন রোগে আক্রান্ত হন। দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলে সেই তরুণ। কিন্তু স্বপ্ন হারান নি। নিজের অক্ষমতাকে পরিনত করেছেন শক্তিতে (Bhavesh Bhatia Inspirational Success Story)।
মা বাবা তাঁকে সব সময় উৎসাহ দিয়েছে কিছু করার জন্য। কারও ওপর নির্ভরশীল হতে শেখেন নি তিনি। কিছু করে দেখাতে হবে, এই তাগিদ থেকেই মোমবাতি বানাতে শিখেছেন। তারপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বিক্রি করে নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন। এখন সেই ব্যবসা আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাতি লাভ করেছে।
শুধু তাই নয়, এবার বাকিদের স্বাবলম্বী করতে চাইছেন তিনি। তাঁর কোম্পানিতে তাই ৯৭০০-এরও বেশি বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের চোখেও কিছু করার স্বপ্ন। ভবেশের পরিবার সূত্রে জানা মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর স্কুলের পাট ওঠে। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়া শুরু।
সাইকেল চালাচ্ছিলেন যে বন্ধুটি তাঁর একটি পা নেই। তিনি সাইকেলের হ্যান্ডেল সামলেছেন আর ভবেশ করতেন প্যাডেল। মাত্র ৪৫ দিনে ৬০০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে রেকর্ড গড়ে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন ভবেশ (Bhavesh Bhatia)। বুঝেছিলেন এবার আরও এগিয়ে যেতে হবে। এরই মাঝে তাঁর মা মারা গেলেন ক্যানসারে। মানসিকভাবে খানিকটা ভেঙে পড়লেন তিনি।
আরো পড়ুন – Guava Market : জমিতে নয় বাজার ভেসে আছে জলে! এহেন অদ্ভুত বাজারের দেখা মিলল, কোথায় জানেন?
এরপর ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড অ্যান্ড ট্রেইন্ড’ সংস্থা থেকে মোমবাতি তৈরির প্রক্রিয়াটা ভালো করে শিখে নিয়েছিলেন ভবেশ। তৈরি করেন কোম্পানি নাম দেন ‘সানরাইজ ক্যান্ডেলস’। ব্যাস সেই শুরু।
আরো পড়ুন – ইতিহাস সৃষ্টিকারী DDLJ দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে-র এক মারাত্মক ভুলের জন্য এ কী হল?
আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন যে সানরাইজ ক্যান্ডেলস’ (Sunrise Candles) এখন রিলায়েন্স এবং বিগ বাজারের মতো ক্লায়েন্টকে মোমবাতি সরবরাহ করে। ভবেশের কিছু করে দেখানর মানসিকতাকে সম্মান জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ভালবেসেই বিয়ে করে ফেলেন একে অপরকে। এরপর অন্ধ ব্যাক্তিদের মোমবাতি বিক্রির কাজ দেন তাঁরা। কোম্পানি আরও বড় হতে থাকে (Sunrise Candles founder)।
আরো পড়ুন – kochuri : প্রচন্ড খিদে পেয়েছে? গরম গরম কচুরি আপনার জীবন বাঁচাতে পারে সে কথা জানেন?
এখন তাঁদের ৭২টি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বলে জানা যায়। স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তাঁরা। আসলে লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তাহলে মানুষ পথ হারায় না। ইচ্ছে শক্তি ঈশ্বরকেও নড়িয়ে দেয় । তিনিও সাহায্য করতে বাধ্য হন। প্রমান করলেন ভবেশ!