Breaking Bharat: দুধ না খেলে হবে না ভাল ছেলে, কিন্তু কী করবেন যদি বাঘের দুধ পেয়ে যান?অনেকেই বাঘের দুধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রথমত এটি পাওয়া যায় কিনা, আর দ্বিতীয়তঃ এটি খাওয়া যায় কিনা?
দুধ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা পদার্থ। এই তরল প্রয়োজনীয় প্রোটিন সমৃদ্ধ। শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেওয়ার কথা ডাক্তারেরা ভাবতেই পারেন না। এটা কি শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই হয় এমনটা কিন্তু নয় প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য অর্থাৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী মানেই শিশু সন্তান তার মায়ের দুধ খেয়ে বড় হবে।
কিন্তু এত রকমের দুধ নিয়ে কথাবার্তা হয় কিন্তু কথার কথা বোঝাতে গেলে শুধুই বাঘের দুধের কথা কেন বলা হয়? বিশেষ করে প্রায় অসম্ভব কোন কিছুকে বর্ণনা করতে গেলেই এই উপমা দেয়ার একটা রীতি আছে। কখনো ভেবে দেখেছেন সব ছেড়ে কেন বাঘবাবাজীর দুধ নিয়ে এত কথা?
‘বাঘের দুধ’ কখনো ভেবে দেখেছেন?
প্রাণীরা তার মায়ের দুধ খেয়ে ছোট থেকে বড় হয়। এটা যেমন মানুষের ক্ষেত্রে সত্যি তেমনি অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে মানুষের ক্ষেত্রে অনেক বেশি অপশন রয়েছে এই যেমন ধরুন গরুর দুধ বা ছাগলের দুধ ইত্যাদি। আসলে যত সময় যায় মানুষ তত নিজেকে আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা করতে থাকে। এই ঘটনাও তার ব্যতিক্রম একেবারেই নয়।
আরো পড়ুন – খেলোয়াড় একজন করে শিশুকে নিয়ে কেন মাঠের দিকে রওনা দেন?
কিন্তু গরুর দুধ নিয়ে এত আলোচনা হয় না ছাগলের দুধ নিয়েও খুব একটা কথা হয় না। অনেকে তো মোষের দুধও খেয়ে থাকেন। তবে সবথেকে জনপ্রিয় ব্যাপার হল উটের দুধ, নাম শুনেছেন? এর অবশ্য আরও একটা নাম আছে। একে সাদা সোনা বলা হয়। এর মধ্যে অলৌকিক উপকরণ আছে বলে মানা হয়, পাশাপাশি ওষুধ তৈরিতে ভীষণ প্রয়োজনীয়।
অনেকেই ‘বাঘের দুধ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন?
সৌদি আরবের মানুষ অবশ্যই এই দুধকে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ বলে মানেন এছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু দেশেও দুধ খাওয়ার প্রচলন আছে। আমাদের আজকের আলোচ্য প্রাণী হলেন বাঘ বাবাজী। এবার আসা যাক বাঘের দুধের প্রসঙ্গে।
অনেকেই বাঘের দুধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রথমত এটি পাওয়া যায় কিনা, আর দ্বিতীয়তঃ এটি খাওয়া যায় কিনা? দুটোর কারণ অবশ্যই “হ্যাঁ” । কারণ বাঘের সন্তান তো আর নিশ্চয়ই গরুর দুধ খেয়ে বড় হবে না। তাই বাঘের দুধ পাওয়া যায় এবং খাওয়াও যায়। তবে সেই দুধ হজম করা বড় শক্ত কারণ উচ্চমাত্রায় প্রোটিনের উপস্থিতি। বাঘ মাংসাশী এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী।
আরো পড়ুন – কিছু মানুষকে দেখলে কুকুর মাত্রা অতিরিক্ত চিৎকার করে কেন?
বাঘ দুধ উৎপাদন করে এবং তার সন্তান জন্ম নেওয়ার পর কয়েক মাস পর্যন্ত সেই দুধ খেয়েই বেঁচে থাকে। নিজের খাদ্যাভ্যাসের জন্য বাঘের দুধ উচ্চ মাত্রায় এসিড সম্পন্ন। হাই প্রোটিন সাধারণ মানুষ বা অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা তৈরি করলেও বাঘের জন্য সেটা যথোপযুক্ত। অনেকে মনে করেন বাঘের দুধ নাকি পাথরের মত শক্ত। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।
আরো পড়ুন – বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় বাংলাদেশের ছবি কি একেবারেই নেই?
দুধ মানে সেটি তরল আর তা বাঘের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে ‘বাঘের দুধ’ বাজারে আসবে কিনা এটা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ কোন জিনিস বাজারে আসতে গেলে তার চাহিদা এবং যোগানের কথা মাথায় রাখতে হয়। সেদিক দিয়ে বিচার করলে হয়তো ভবিষ্যতে বাঘের দুধ আসবে এমন কথা পুরোপুরি ভাবে নাকচ করে দেওয়া না গেলেও, আশা কম।।