Breaking Bharat: ভিডিও গেম (video games)! আপনার জীবন বাঁচাবে এবং কমিয়ে দেবে মানসিক চাপ! কিভাবে? খেলতে খেলতে জীবন বাঁচানো আজকে দুনিয়ার সম্ভব? জীবন নিয়ে খেলা নয়, জীবন বাঁচানোর খেলায় এগিয়ে আছে ভিডিও গেম!
প্রতিবেদনের শুরুতে এরকম কথা শুনে কিছুটা অবাক হতে পারেন আপনি। ভাবতে পারেন ভিডিও গেম খেলার কথা জীবন বাঁচানোর কথা কি করে বলা যায় তাই না? আসলে এই প্রতিবেদনে যা যা তথ্য তুলে ধরা হয় সবটাই কিন্তু বিজ্ঞানীদের কথামতো আমরা উপস্থাপিত করি আপনাদের কাছে।
ভিডিও গেম খেলার উপকারিতা (video games) :
অবশ্য সবকিছুর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত বাড়ছে মানসিক সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান পেতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছুটে যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। ওরে কি আবার মানসিক সমস্যা হলেই ভেবে নেন পাগলের ডাক্তারের কথা।
দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। সে যাই হোক আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের বলব এক বিশেষ ধরনের খেলার কথা যা আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দেবে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি (Benefits of playing video games)!
নেশা বা আসক্তি কখনোই ঠিক নয়। ছোটদের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে ভিডিও গেম খেলার একটা প্রবণতা দেখা যায় (There is a tendency to play video games)। যে সময় কোন কাজ নেই সে সময় ইউটিউব চ্যানেলে অশ্লীল ভিডিও না দেখে যদি ভালো ভিডিও গেম খেলা যায় তাতে মস্তিষ্ক অনেক বেশি করে প্রসারিত হয়।
মানসিক স্ট্রেস কমাতে ভিডিও গেমের দারুন ব্যবহার:
কিন্তু সেটা নির্ধারণ করতে হবে আপনাকে যে আপনার পরিবারের সন্তানকে আপনি কিভাবে বড় করতে চাইছেন। কিন্তু এই প্রতিবেদনে নেশা মুক্তির কথা নয় আমরা বলছি মানসিক স্ট্রেস কমাতে ভিডিও গেমের দারুন ব্যবহারের কথা (Video games are great for reducing stress)। সবার আগে মনে রাখা দরকার স্ট্রেস বা মানসিক চাপ বলতে আপনি ঠিক কি বলছেন?
যেমন যে বাচ্চাটা একদম পড়াশোনা করতে চায় না তাকে পড়াশোনার কথা বলা মানে তার ভাষায় সেটা মানসিক স্ট্রেস। কিন্তু আপনি আমি প্রত্যেকেই জানি এটা তার প্রয়োজন এখানে কোন অন্যায় কিছু নেই। এক ঘণ্টার মধ্যে ৫০ টা অংক করার কথা যদি কোন ছাত্র বা ছাত্রীকে বলা হয় প্রাথমিকভাবে তার স্ট্রেস মনে হতে পারে।
ভিডিও গেমস মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়?
কিন্তু আবার দেখুন অনেকেই এক ঘন্টারও কম সময়ে এরও বেশি অংক করে দিতে পারছে। সেই পড়ুয়াদেরও দুটো হাত দুটো পা, তারা স্পেশাল কিছু নয়। এক্ষেত্রে চাপ নিয়ে কাজ করলে মস্তিষ্ক অনেক বেশি করে সক্রিয় থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন এক অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হলে জীবনটা দুর্বিষহ মনে হয়।
এই স্ট্রেস ক্ষতিকর। মানসিক সমস্যা তো হবেই পাশাপাশি এই ধরনের স্ট্রেসের সম্মুখীন হলে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং এর ফলে আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। এক কথা বলতে গেলে মস্তিষ্কের উপর গভীর প্রভাব পড়ে।
সেক্ষেত্রে এরকম অনেক ছোটখাটো ভিডিও গেমস আছে যা আপনার মেজাজকে হালকা রাখতে সাহায্য করে আর মুড ভালো থাকে। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন এমন অনেক ভিডিও গেম আছে যা আমাদের দৈনন্দিন মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমাবে এবং আদতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
ভিডিও গেম খেলা মানে তো মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকা তাই না?
এবার কিছু বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি দেওয়া যাক। এই ধরনের ভিডিও গেমগুলি সাময়িক খেললেই দেখা যায় সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামের দুটি নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়তে থাকে। আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলী হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আর এই সেরোটোনিন হরমোন আমাদের ব্যবহার, মানসিক অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, খিদে বাড়ানো ইত্যাদির সাথে সরাসরি যুক্ত। আর অন্যদিকে মেলাটোনিন সঠিক এবং পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সময়মতো জেগে ওঠার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এটা কি করে সম্ভব ?
আরো পড়ুন – Mandakini : ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ মানেই মন্দাকিনীর সাহসী দৃশ্য! এবার মুখ খুললেন মন্দাকিনী!
ভিডিও গেম খেলা মানে তো মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকা তাই না? একদম ঠিক ধরেছেন, এই ভিডিও গেমগুলি প্লেয়ারদেরকে বেশ কয়েক ঘন্টা খেলার মধ্যেই আটকে রাখে, ফলে বাইরের কোন কিছু সেই সময় মাথায় প্রবেশ করতে পারে না। ঠিক যেমনটা হয় ধ্যান করার সময়।
আরো পড়ুন – Eating Rice : প্রতিদিন কতটুকু ভাত খাওয়া উচিত? জানেন ভাতেই লুকিয়ে আছে অমরত্বের স্বাদ!
একটার দিকে মনুসংযোগ করতে থাকলে আর দীর্ঘদিন ধরে এই প্র্যাকটিসটা চললে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স আরও সক্রিয় হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি মস্তিষ্কের এই অংশই প্রধানত আমাদের বোধ বুদ্ধি, কাজকর্ম, ব্যক্তিত্ব নিয়ন্ত্রণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, সামাজিক আচার-আচরণ, বিভিন্ন রকমের স্মৃতিধারনে এবং স্মৃতিচারণায় সাহায্য করে।
আরো পড়ুন – female child : কেন বাড়ছে শিশু কন্যা হত্যা? নির্লজ্জের মত বাড়ছে পুত্র সন্তানের চাহিদা?
আমরা কিন্তু কোন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার বা অ্যাপসের প্রমোশনের জন্য এই প্রতিবেদন লিখছি না। মনোবিদরা বলছেন এই বিশেষ ভাবে তৈরি ভিডিও গেমগুলি খেলার ফলে মানুষের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র আরও কার্যকরী হয়।
আরো পড়ুন – PMJDY : বাড়ি বসেই লাখপতি? ‘জন ধন যোজনা’র মাধ্যমে এই কাজটি করে দেবে ব্যাংক!
যার ফলে হার্টরেট, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং অক্সিজেন সরবরাহ সঠিক মাত্রায় হয়। তবে কোন কিছুই নেশা হিসেবে তৈরি করে তোলা উচিত নয়। আবারো বলি যদি মনে হয় বাড়ির সব থেকে ছোট মানুষটির সঙ্গে বা সবথেকে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে একটা দারুন সময় কাটিয়ে নিজেকে হালকা রাখবেন তাহলে সেটা করুন। তিনি এবং আপনি দুজনেই ভালো থাকবেন।