Breaking Bharat: প্রচুর পরিমাণে হাঁটাচলা (walking) করলে নাকি শরীর সুস্থ স্বাভাবিক থাকে, শরীর ভালো রাখতে হাঁটাহাঁটি করলে কী শরীর উল্টে খারাপ হতে পারে? অদ্ভুত প্রশ্ন মনে হলেও অস্বাভাবিক কি? কী লাভ এত হেঁটে? আমাদের জীবন সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট ধারণা আছে। যেমন বেশি করে জল খেতে হবে, বয়স বাড়লে মটন খাওয়া যাবেনা, সুগার ধরা পড়লে মিষ্টি খাওয়া বারণ।
তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হাঁটাচলা করা নিয়ে। আসলে মানুষের মধ্যে একটা বিশ্বাস যে প্রচুর পরিমাণে হাঁটাচলা করলে নাকি শরীর সুস্থ স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু আন্দাজে কিছু বলে দিলেই তো হলো না জানতে হবে আসল কারণ। যুক্তি দিয়ে মেডিকেল সাইন্সকে ব্যাখ্যা করতে হবে সবার কাছে। এই ভ্রান্ত ধারণা থেকেই বড় বিপদ, এমনকি জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে! সেই বিষয়ে কোন ধারনা আছে কি?
ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই কিন্তু সত্যি। যদি বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে সমস্যা বাড়তে পারে আপনার। শরীর ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাঁটাহাঁটির অবশ্যই প্রয়োজন কিন্তু বেশি হাঁটাহাঁটি করে শরীরের ব্যথা বাড়িয়ে যেন বিপাকে ফেলবেন না নিজেকে এবং আপনার পরিবারের মানুষদেরও।
প্রতিদিন কত কিলোমিটার হাটা উচিত? (walking):
তবে আপনি কি জানেন ঠিক কতটা পরিমাণ হাঁটলেই মৃত্যুকে দূরে ঠেলে জীবনকে আরও বেশি দিন বাঁচতে পারবেন। প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট করে হাঁটুন আর অমরত্বের দিকে এগিয়ে যান। সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যদি নির্দিষ্ট যা হাঁটার পরিমাণ তার থেকে ১০ মিনিট করে প্রতিদিন বেশি হাঁটতে পারেন তাহলে অন্তত এক লক্ষ দশ হাজার মানুষ মৃত্যুর কোপ থেকে রক্ষা পেয়ে যেতে পারেন।
তবে আপনাদেরকে জানিয়ে দিই আমরা এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করিনি। কিন্তু আমেরিকার এক গবেষণা সংস্থা এই দাবি করেছে বলে নেট দুনিয়ায় জানা যায়। সুস্থ থাকতে গেলে হাঁটাচলার যে প্রয়োজন (Walking is necessary to stay healthy) আছে এ কথা জানেন সবাই।সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মত অনুযায়ী তাই পরিশ্রম করে সুস্থ থাকার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম মানা দরকার।
প্রতিদিন হাটার উপকারিতা (Benefits of daily walking):
প্রথমেই বলি মস্তিষ্কের কথা বেশি হাঁটাহাঁটি করলে মস্তিষ্ক সচল থাকে অণু পরমাণুর মধ্যে সক্রিয়তা বজায় থাকে। কিন্তু শুয়ে বসে কাটালে মস্তিষ্ক অচল হয়ে পড়ে তাই অলস ভাব আসাটা স্বাভাবিক। যদি প্রচুর পরিমাণে হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে হজমের সমস্যা কম হবে।
আরো পড়ুন- Bad Dreams : ঘুমের মধ্যে মাঝরাতে যতসব আজে বাজে দুঃস্বপ্ন? স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন তৈরি হয় কী ভাবে?
বিশেষ করে খাবার পর যদি হাঁটা যায় তাহলে সহজে খাদ্য পরিপাক হয় এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের আছে তারাও তা থেকে রেহাই পেতে পারেন। এটা খুব স্বাভাবিক একটা অংক , হাঁটলে হজম ভালো হবে, কজন যদি ভালো হয় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবেই না।
গ্যাস্ট্রিক, আলসার এসবের প্রকোপ কমবে। অসুস্থ কম হবেন, ওষুধ কম খেতে হবে। স্বভাবতই দীর্ঘায়ু হওয়া আটকায় কে? হার্টের সমস্যায় ভোগেন যারা তাদের বিশেষভাবে হাঁটাচলা করা দরকার । রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। অনেক সময় মন ভালো করতেও কিন্তু হাঁটাচলা খুব উপকারী।
আরো পড়ুন- jalbhara sandesh : বাঙালি মানেই মিষ্টি প্রিয় জাতি, কিন্তু মানুষ ঠকাতে মিষ্টি তৈরি? তাও আবার জলভরা?
জীবনে প্রতিমুহূর্তে দ্বারা ব্যস্ততা থাকে তার মধ্যে থেকে একটু ভালো থাকার উপায় খুঁজতে কখনো নিজেকে নিয়ে নিজে বেরিয়ে পড়ুন। এটা একা এবং একলা করবেন, কোনও যানবাহন কেও সঙ্গী করবেন না । হাঁটতে থাকুন, খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত বাতাসে হাঁটাচলা করুন দেখবেন খারাপ মন ভালো হবেই। পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকবে।